• অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ এখন বৈচিত্র্যহীন: ফিঞ্চ

    অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ এখন বৈচিত্র্যহীন: ফিঞ্চ    

     

    নিজের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়টা হয়ত পার করছেন তাঁরা। টানা সাত ওয়ানডে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ওয়ানডে হেরে অবশ্য সিরিজটা আর জেতা হয়নি অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়ার। একের পর এক হারে হতাশা ফিঞ্চ বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণে এখন কোনোই বৈচিত্র্য নেই।

    মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সরা আছেন। আছেন অ্যাডাম জাম্পার মতো স্পিনারও। তবে ফিঞ্চের মতে, কাগজে কলমে ভালো হলেও আগের মতো ধার নেই অজিদের বোলিং আক্রমণে, ‘কাগজে কলমে আমাদের বোলিং লাইনআপ দারুণ। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা নয়। আমাদের দলের বোলিংটা বৈচিত্র্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকে আমি অসম্মান করতে চাই না, কিন্তু এটার জন্যই আমাদের জয় পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে।’

    মাঝের ওভারের সময়ে আরও বেশি উইকেট চান ফিঞ্চ, ‘মাঝের ২০ থেকে ২৫ ওভারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে যদি ভালো বোলিং না হয়, উইকেট না আসে, তাহলে প্রতিপক্ষ অনেকটাই এগিয়ে যায়। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে দুই মাসের মতো সময় আছে। এর মাঝে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটা দলের জন্য ভালো হবে।’

    পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তাঁরা। বর্তমানে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে অজিদের অবস্থা ছয়ে। নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারছেন না দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান স্মিথ-ওয়ার্নার, বিশ্বকাপেও তাদের খেলা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড-ভারত যেভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে, সেভাবেই অস্ট্রেলিয়াকে গুছাতে চান ফিঞ্চ, ‘ভারতের দিকে তাকান, তাঁরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত হিসাব করে ব্যাটিং করে প্রতিটা পাওয়ার প্লেতে। আর রান তাড়া করায় তো গত পাঁচ-ছয় বছরে নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে তাঁরা। ইংল্যান্ডও দারুণ খেলছে। তবে তাঁরা একটু বেশিই আক্রমণাত্মক। আসলে ভারত কিংবা ইংল্যান্ড, সব দলের খেলার ধরনই আলাদা। চাইলেই তাদের মতো খেলা সম্ভব না। কিন্তু দলে ভারসাম্য আনাতাই আসল ব্যাপার।’

    বিশ্বকাপের আগে নিজেদের কতটুক গুছিয়ে নিতে পারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা, সেটা সময়ই বলে দেবে।