হ্যাটট্রিক আর সুপার ওভারের ম্যাচে বিকেএসপির জয়
দোলেশ্বর ২০ ওভারে ১১১/৯
বিকেএসপি ২০ ওভারে ১১১
সুপার ওভারে ২ রানে বিকেএসপির জয়
এক ম্যাচে ১১ জনের টি-টোয়েন্টি অভিষেক। সেটি বড় ঘটনা নয়। এর মধ্যে একজন আবার করেছেন হ্যাটট্রিক, তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গেছে, সেটিও হারতে হারতে জিতে গেছে বিকেএসপি। ফতুল্লায় প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে ম্যাচে আজ এমন নাটকই হলো।
টসে জিতে আজ ব্যাট করতে নেমেছিল দোলেশ্বর। শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে, এক মাহমুদুল হাসানই শুধু এক প্রান্ত আগলে ছিলেন। ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছল দোলেশ্বর। এরপর ৭৪ রানে যখন পঞ্চম উইকেট হারাল, এরপরেই আবার হুড়মুড় করে পথ হারাল তারা। ১০৩ রান তুলতে হারিয় ফেলল ৮ উইকেট, মাহমুদুল ৪৩ বলে ৪১ রান না করলে হতো না সেটিও। পুরো ইনিংসে একমাত্র ছয়টিও মেরেছেন তিনি, শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে থেমেছে দোলেশ্বর।
এই রান তাড়া করে স্কোরকার্ডে কোনো রান ওঠার আগেই নেই বিকেএসপির ২ উইকেট নেই। ৩ রানে নেই ৩ উইকেট, ১৬ রানে নেই ৪ উইকেট। এর মধ্যে পেসার মানিক খান আবার পেয়ে গেছে হ্যাটট্রিক। এরপর শামীম পাটোয়ারি ও আকবর আলী, অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দুই তরুণের ব্যাটে শুরু করে পালটা আক্রমণ। দুজন পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন ৮০ রান, ম্যাচ তখন বিকেএসপির।
কিন্তু নাটকের শুরু তখনই। ৯৬ রানে ৩৬ বলে ৪৫ রান করে আউট শামীম, ওই ৯৬ রানেই আরও দুইটি উইকেট হারিয়ে ফেলল বিকেএসপি। ৪২ রান করে যখন আকবর আউট, ৯৯ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৮ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচটা নিয়ে গেল শেষ ওভারে। জয়ের জন্য দরকার ১১ রান, দ্বিতীয় বলে ছয় মেরে দিলেন মুকিত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ২ রান, আরাফাত সানির বলে হাসান মুরাদ নিতে পারলেন ১ রান। ম্যাচ টাই, গেল সুপার ওভারে।
নাটক সেখানেও কম নয়। বিকেএসপি আগে ব্যাট করল, প্রথম তিন বলে ৬ রান দেওয়ার পর ফরহাদ রেজা পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দিলেন দুইজনকে। জয়ের জন্য ৭ রান দরকার দোলেশ্বরের, প্রথম চার বলে এলো ৪ রান। কিন্তু পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে সুমন খান ফিরিয়ে দিলেন ফরহাদ রেজা আর তৈয়বুর রহমানকে। ২ রানে ম্যাচটা হেরে গেল দোলেশ্বর, বিকেএসপি পেল জয়।