• পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    ম্যাক্সওয়েল, কামিন্সে অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়

    ম্যাক্সওয়েল, কামিন্সে অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়    

    তৃতীয় ওয়ানডে, আবুধাবি
    অস্ট্রেলিয়া ২৬৬/৬, ৫০ ওভার (ফিঞ্চ ৯০, ম্যাক্সওয়েল ৭১) 
    পাকিস্তান ১৮৬ অল-আউট, ৪৪.৪ ওভার (ইমাদ ৪৩, কামিন্স ৩/২৪, জ্যাম্পা ৪/৪৩) 
    অস্ট্রেলিয়া ৮০ রানে জয়ী ও সিরিজে ৩-০তে এগিয়ে 


    আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া পাঁচে, ঠিক পরেই পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া ভারত সিরিজের আগে দুই বছরে ওয়ানডে জিতেছিল চারটি, আর ২০১৮ এর শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার আগে পরে পাকিস্তান ছিল দৃঢ়ই। তবে হুট করেই বদলে গেল অস্ট্রেলিয়ার চেহারা, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর ১৫ দিনের ব্যবধানে তারা জিতল আরেকটি, টানা ষষ্ঠ জয়ে। আর পাকিস্তান বিশ্বকাপের আগে পড়ে মনোবল বাড়াতে গিয়ে পড়ে গেল হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায়! আবুধাবিতে সেই অর্থে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট হয়নি, তবে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যটাই তো রোমাঞ্চজাগানিয়া। 

    আগের দুই ম্যাচ ছিল মোটামুটি একই প্যাটার্নের, এবার সেটা হওয়ার সম্ভাবনা শুরুতেই মিইয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া শুরুতে ব্যাটিং করায়। অ্যারন ফিঞ্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে টানা তিন ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা হাতছাড়া করলেন ১০ রানের জন্য, তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৫৫ বলে ৭১ রানের ঝড়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল চ্যালেঞ্জিং ২৬৬ রান পর্যন্ত। আগের দুই ম্যাচে পাকিস্তান করেছিল এর চেয়েও বেশি, তবে হেরেছিল খুব সহজেই। অস্ট্রেলিয়া এবারও জয়টা সহজ বানিয়ে ফেলার রাস্তাটা পরিস্কার করে ফেললো শুরুতে প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে, আর শেষে গিয়ে সময়ের অপেক্ষা হওয়া অস্ট্রেলিয়ার জয়টা দ্রুতই এনে দিয়েছেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। দুজন মিলে ৭ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৬৭ রান খরচ করে। 

     

     

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই চেপে ধরার সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান, প্রথম ওভারে উসমান শিনওয়ারির বলে উসমান খাওয়াজা ও ৬ষ্ঠ ওভারে জুনাইদ খানের বলে শন মার্শ আউট হওয়াতে অস্ট্রেলিয়া বনে গিয়েছিল ২ উইকেটে ২০ রানে। তবে পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও অ্যারন ফিঞ্চ ছিলেন দারুণ সতর্ক, তৃতীয় উইকেট হারানোর আগে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৮৪ রান। হ্য্যান্ডসকম্ব ও মার্কাস স্টোইনিসকে যথাক্রমে হারিস সোহেল ও ইমাদ ওয়াসিম ফেরালে আবার আশা পেয়েছিল পাকিস্তান, তবে সেটা তখন পর্যন্ত হতে দেননি ফিঞ্চ। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তার জুটি ৮৮ রানের।

    ইয়াসির শাহর বলে লং-অনে ধরা পড়ে ফিঞ্চ হাতছাড়া করেছেন রেকর্ড, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ইনিংসের ৪৮ বল বাকি থাকতে ১৮৯। পরের ছয় ওভারে উঠলো ম্যাক্সওয়েল-ঝড়, অস্ট্রেলিয়া ৩৬ বলে তুললো ৬০ রান। ২৭ রানে তার ক্যাচ পয়েন্টে ছেড়েছিলেন ইমাম-উল-হক, সেই ম্যাক্সওয়েল থামলেন পরের ২০ বলে আরও ৪৪ রান যোগ করে। ম্যাক্সওয়েল ফিরলেও অ্যালেক্স ক্যারির ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংসে শেষ ২ ওভারেও অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ১৭ রান। 

    রানতাড়ায় পাকিস্তান স্বস্তিতে ছিল না কখনোই। শোয়েব মালিক ও ইমামের ৫৯, ইমাদ ওয়াসিম ও উমর আকমলের ৫৩ বা শেষদিকে ইয়াসির শাহ ও ইমাদের ২৯ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার জয়টাকেই বিলম্বিত করেছে শুধু। 

     

     

    কামিন্সের তোপে ৭ম ওভারের মাঝেই মোটামুটি ধসে পড়েছে পাকিস্তানের মেরুদন্ড। অফস্টাম্প চ্যানেলে ঠিক লেংথ, সঙ্গে পেসে কাবু কামিন্স কাবু করেছেন একে একে শান মাসুদ ও আগের দুই ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান- হারিস সোহেল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ইমাম টিকে ছিলেন, ম্যাক্সওয়েলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করেছেন ৪৬ রান। শোয়েব মালিককে ন্যাথান লায়ন ও উমর আকমলকে জ্যাসন বেহেনড্রফ ফেরানোর পর পাকিস্তানের বাঁধটা ভেঙে গেছে। ৮ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা, সবকটিই নিয়েছেন জ্যাম্পা।