বৃষ্টির পর শাইনপুকুরে ডুবল প্রাইম ব্যাংক
৪৮তম ম্যাচ, ফতুল্লা
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ২৪৫/৮, ৫০ ওভার
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১০০/৯, ২০ (২০) ওভার (লক্ষ্য ১৪৯)
শাইনপুকুর ডি-এল পদ্ধতিতে ৪৮ রানে জয়ী
বৃষ্টির কারণে প্রাইম ব্যাংকের সামনে লক্ষ্য ছিল ২০ ওভারে ১৪৯। আগের ম্যাচেই ব্রাদার্সের ৫০ ওভারে দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্য হেলায় পেরিয়ে গেলেও এবার শাইনপুকুরের বিপক্ষে রানতাড়ায় শুরু থেকেই ডুবতে শুরু করলো তারা। ৩০ রানেই ৫ উইকেট হারানোর পর আর ঠিক পথে ফেরা হয়নি তাদের, ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে মাত্র ১০০ রান। টানা ৫ ম্যাচ জয়ের এবার থমকে যেতে হলো তাদের , আবাহনী ও রূপগঞ্জ আগের দিনই সুপার সিক্স নিশ্চিত করলেও প্রাইম ব্যাংককে করতে হচ্ছে অপেক্ষা। আর ৮ম ম্যাচে এটি তৃতীয় জয় শাইনপুকুরের, সঙ্গে আছে বিকেএসপির সঙ্গে একটি টাই।
রানতাড়ায় প্রাইম ব্যাংকের বিপর্যয় শুরু হয়েছিল প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে এনামুল হক এলবিডব্লিউ হওয়ায়। এরপর দেলোয়ার হোসেনের তোপ, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিনি ফিরিয়েছেন জাকির হাসান ও আল-আমিনকে। পরের ওভারে ক্যাচ দিয়েছেন অলক কাপালি। ৮ম ওভারে সাব্বির হোসেন এসে ফিরিয়েছেন আরিফুল হককে, প্রাইম ব্যাংক অর্ধেক ব্যাটসম্যান হারিয়ে ফেলেছে ৩০ রানেই। একদিকে অবশ্য অভিমন্যু ঈশ্বরন টিকে থেকে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি সেটা। ৬ষ্ঠ উইকেটে নাহিদুলকে নিয়ে ২৪ ও ৭ম উইকেটে নাঈম হাসানকে নিয়ে ১৬ রান তুলেছিলেন ঈশ্বরণ।
সোহরাওয়ার্দি শুভ এসে ফিরিয়েছেন ঈশ্বরনকে, আর সে ওভারেই রান-আউট হয়েছেন মনির হোসেন। তার আগেই নাহিদুলকে ফিরিয়েছেন সাব্বির, আর পরে ১৪ রান করা আব্দুর রাজ্জাকের উইকেট নিয়েছেন আফিফ হোসেন।
ফতুল্লায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুরও ১১ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ২ উইকেট। এরপর সাদমান ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়ের ১২৫ রানের জুটি টেনেছে তাদের, এ দুজনই খেলেছেন ৭০-পেরুনো ইনিংস। ৯৪ বলে ৭৮ রান করেছেন সাদমান, ৬ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। আর হৃদয় এরপর আফিফ ও শুভাগতর সঙ্গে ছোট দুটি জুটির পর ফিরেছেন, তার আগে করেছেন ১১৭ বলে ৮৩ রান, ৪ চার ও ১ ছয়ে।
সাদমান-হৃদয়ের পর শুভাগতয় ভর করে উড়ান দিয়েছে শাইনপুকুর, শুভাগত ২৮ বলে ৬ চারে করেছেন ৪৪ রান। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন আরিফুল, ২টি করে নিয়েছেন আল-আমিন ও মনির। ম্যাচসেরা হয়েছেন হৃদয়।