মোস্তাফিজের ফেরার দিনে ফিরল মোহামেডানও
মিরপুর, সাভার, বিকেএসপি। বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে সবখানেই, কোনো খেলাই শেষ হতে পারেনি বৃষ্টিতে। মোহামেডানের জয়টা নিশ্চিতই ছিল, গাজীও ছিল জয়ের পথে। তবে খেলাঘরের কাছে ডিএলে হেরে যাওয়ায় ব্রাদার্স নিজেদের দুর্ভাগা মনে করতেই পারে।
মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক
মোহামেডান ৫০ ওভারে ২৯৬/৯
প্রাইম ব্যাংক ৩৯.১ ওভারে ১৫০/৯
ফলঃ ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ১৩৩ রানে জয়ী মোহামেডান
আগের ম্যাচেই ৩০০র বেশি রান নিয়েও জিততে পারেনি মোহামেডান। আক বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাঙ্কের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ওভারেই হারায় ইরফান শুক্কুরকে। লিটন দাস ৩৫ রান করে আউট; এরপর অভিষেক মিত্র ও মোহাম্মদ আশরাফুলের বিদায়ের পর ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল মোহামেডান। খানিক পর নাদিফের আউটে সেটি হয়ে যায় ৮৮ রানে ৫ উইকেট।
রকিবুল হাসান ও রজত ভাটিয়ার ব্যাটে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করলেন ১৪৬ রান। ভাটিয়া ৬৬ রান করে আউট হলেন, এরপর সোহাগ গাজী খেললেন ১৪ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও। রকিবুল ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হলেন ১০২ রানে, মোহামেডান করতে পারল ২৯৬।
সেই রান তাড়া করে ৪৮ রান তুলেছিলেন প্রাইম ব্যাঙ্কের দুই ওপেনার এনামুল হক ও নাজমুল হোসেন মিলন। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে। ১৫০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে পরাজয় যখন সময়ের ব্যাপার, তখনই এসেছে বৃষ্টি। ব্যাট হাতে ঝড়ের পর ৪ উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী, মোহাম্মদ আশরাফুল নিয়েছেন ৩ উইকেট।
শাইনপুকুর-গাজী গ্রুপ
শাইনপুকুর ৪৮ ওভারে ১৭৭/৯
গাজী গ্রুপ ২১.৫ ওভারে ১০৬/৪
ফলঃ ডিএল মেথডে ২১ রানে জয়ী গাজী গ্রুপ
মিরপুরে ম্যাচটিতে চোখ ছিল মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর। প্রায় চার বছর পর ফিরেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। শুরুতে অবশ্য ব্যাট করতে নেমেছিল শাইনপুকুর। ৩৪ রানে সাব্বির হোসেনকে হারানোর পর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন উন্মুক্ত চাঁদ ও সাদমান ইসলাম। ১৩ রানে উন্মুক্ত আউট হওয়ার পর শুরু হয়ে যায় উইকেটের আসা যাওয়া। একটা সময় ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে শাইনপুকুর, খানিক পর সেটা হয়ে যায় ১০২ রানে ৭ উইকেট। ৪০ রানে আউট হয়ে যান সাদমান, এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভর ৩০ ও দেলোয়ার হোসেনের ৪০ রানে ১৭৭ পর্যন্ত যেতে পারে শাইনপুকুর।
শাইনপুকুরকে এরপর স্বপ্নের মতোই শুরু এনে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ, প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছেন ইমরুল কায়েস ও ওয়ালিউল করিমকে। মেহেদীকেও এরপর ফেরালেন ১৩ রানে। রনি তালুকদার রান আউট হয়ে যান, তবে হাল ধরেন শামসুর। ৬৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত তজাকার সময়ই নামে বৃষ্টি। আর তাতেই কপাল পোড়ে শাইনপুকুরের, ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিতে যায় গাজী।
ব্রাদার্স-খেলাঘর
ব্রাদার্স ৫০ ওভারে ২৬৭/৬
খেলাঘর ২০ ওভারে ৮৪/১
ফলঃ খেলাঘর ডিএল মেথডে ১২ রানে জয়ী
দুর্ভাগ্য যেন পিছুই ছাড়ছে না ব্রাদার্সের। ফতুল্লায় প্রথম ওভারেই জুনাইদ সিদ্দিকীকে হারানোর পর ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও মিজানুর রহমান মিলে গড়েছিলেন ১০৭ রানের জুটি। মিজানুর ৪৯ রানে আউট হলেও ফজলে পেয়েছেন এবারের লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে ব্রাদার্সের রান ২৬৭ পর্যন্ত যাওয়ার কৃতিত্ব জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে থাকা ইয়াসির আলী। পাঁচে নেমে করেছেন ৩২ বলে ৪৭ রান।
এই রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ১ উইকেটে ৮৪ রান তুলেছিল খেলাঘর। এর পরেই নামে বৃষ্টি, খেলাই শুরু হতে পারেনি পরে। ডিএল মেথডে ম্যাচটা হেরে যায় ব্রাদার্স, সেজন্য তারা আক্ষেপ করতেই পারে।