• নিউজিল্যান্ডের শ্রীলংকা সফর
  • " />

     

    ধনঞ্জয়ার সেঞ্চুরির জবাব দিয়ে যাচ্ছেন ল্যাথাম

    ধনঞ্জয়ার সেঞ্চুরির জবাব দিয়ে যাচ্ছেন ল্যাথাম    

    তৃতীয় দিন শেষে

    শ্রীলংকা ১ম ইনিংস ২৪৪ অলআউট (ধনঞ্জয়া ১০৯; সাউদি ৪/৬৩)

    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ৬২ ওভারে ১৯৬/৪ (ল্যাথাম ১১১*)


    উইলিয়ামসন, টেলরদের ছায়ায় একরকম ঢাকাই ছিলেন। তবে শ্রীলংকা সিরিজে কিউইদের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিটা পেলেন টম ল্যাথামই। আর তাতেই তৃতীয় দিন শেষে কলম্বোর পি সারা ওভালে লংকানদের চোখ রাঙানোর মতো অবস্থায় গেছে নিউজিল্যান্ড। ধনঞ্জয় ডি সিলভার জবাবটাও ভালোই দিচ্ছেন ল্যাথাম।

     

    প্রথম দুই দিনের বেশির ভাগই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বৃষ্টি। শ্রীলংকার প্রথম ইনিংসই শেষ হতে পারেনি। তবে তৃতীয় দিনের সকালে বেশি ট্রেন্ট বোল্টের আফসোস করার কথা। কাল ধনঞ্জয়া ডি সিলভার অবিশ্বাস্য যে ক্যাচ ছেড়েছেন, আজ সকাল থেকে সেটির মূল্য দিয়ে গেছেন শ্রীলংকান ব্যাটসম্যান। ৬ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন ধনঞ্জয়া ও দিলরুয়ান পেরেরা, আজ সকালে বেশ খানিকক্ষণ বোল্টদের হতাশ করে গেছেন দুজন। দুজনের ৪১ রানের জুটিটা শেষ পর্যন্ত ভেঙেছেন আজাজ প্যাটেল, দিলরুয়ানকে ফিরিয়েছেন ১৩ রানে।

    এক পাশ থেকে লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে গেছেন ধনঞ্জয়া, অষ্টম উইকেটে সুরঙ্গা লাকমলকে নিয়ে আবার গড়েছেন ৪৩ রানের আরেকটি মহামূল্যবান জুটি। এর মধ্যে লাকমলের অবদান ১০। ধনঞ্জয়া তখন চলে এসেছেন সেঞ্চুরির কাছে, ট্রেন্ট বোল্টকে পর পর দুই ওভারে দুইটি ছয় মেরে চলে এসেছেন আরও কাছাকাছি। এর মধ্যে লাকমল আউট হয়েছেন, লাসিথ এম্বুলদানিয়াকে এলবিডব্লু করেছেন সাউদি। শেষ পর্যন্ত সেই সাউদিকেই চার মেরে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ১৪৮ বলে ১০৯ রান করে শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন বোল্টের বলে, ২৪৪ রানের লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে শ্রীলংকা।

    নিউজিল্যান্ড এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেই খেয়েছে ধাক্কা। দুই বাঁহাতি ওপেনারের জন্য শুরুতেই দুজন অফ স্পিনারকে নিয়ে এসেছিলেন করুনারত্নে, চতুর্থ ওভারেই দিলরুয়ানের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন জিট রাভাল। ফিরেছেন ১ রানে। কেন উইলিয়ামসনের আগের টেস্ট কেটেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। আজ শুরুটা পেয়েছিলেন, কিন্তু ২৮ বলে ২০ রান করে স্লিপে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়েছেন লাহিরু কুমারার বলে। রস টেলরও টেকেননি বেশিক্ষণ, ২৩ রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন এম্বুলদানিয়ার বলে। ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড।

    ল্যাথাম অবশ্য এক প্রান্তে ছিলেন। নিকোলস থাকেননি বেশিক্ষণ, ১৫ রান করে ঠিক রাভালের মতোই দিলরুয়ানকে উইকেট দিয়ে এসেছেন। সেশনে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল সময়ের শুরু এর পরেই। শেষ সেশনে এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুজন। ৯৫ বলে ফিফটি পেয়েছেন ল্যাথাম, ১৬৯ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ওয়াটলিংও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬২ বলে ২৫ রান করে। চতুর্থ দিনে দুজন কতক্ষণ টেকেন, তার ওপরেই হয়তো নির্ভর করছে নিউজিল্যাণ্ডের সিরিজ ভাগ্য।