শেষ দিনে কিউইদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন ডি গ্র্যান্ডোম-ওয়াটলিং
চতুর্থ দিন শেষে
শ্রীলংকা ১ম ইনিংস ২৪৪
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস শেষে ৩৮২/৫
কেন উইলিয়ামসন হতাশ হতেই পারেন। বৃষ্টি এই টেস্টে কাল ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই বাগড়া দিয়ে গেছে। আজও খেলা হয়েছে ৪৮ ওভার, তাতে পুরোপুরিই নিউজিল্যান্ডের দাপট। টম ল্যাথামের উইকেট নেওয়া ছাড়া আজ কোনো সুখস্মৃতিই ছিল না শ্রীলংকার। বিজে ওয়াটলিং এরপর একদিক থেকে আগলে রেখেছেন, আরেক দিক থেকে লংকান বোলারদের শাসন করেছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডোম। চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলংকার চেয়ে ১৩৮ রানে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। হাতে আছে ৫ উইকেট। শেষ দিনে দ্রুত আরও কিছু রান তুলে শ্রীলংকাকে দ্রুত অলআউট করার আশা তারা করতেই পারে।
সকালে বৃষ্টির জন্য খেলা শুরু হতেই পারেনি। লাঞ্চের আগে কোনো বলই গড়ায়নি, এরপর একটু সদয় হয়েছে প্রকৃতি। ল্যাথাম আর ওয়াটলিং জুটিতে ১০০ রানও উঠে গেছে এর মধ্যে। দুজন হতাশ করে যাচ্ছিলেন লংকান বোলারদের, ল্যাথামও পেয়ে গেছেন ড্যাডি সেঞ্চুরি। দুজনের জুটিতে তখন উঠে গেছে ১৪৩ রান। শ্রীলংকা যখন কোনোভাবেই কিছু করতে পারছিল না, ত্রাতা হয়ে এলেন দিলরুয়ান পেরেরা। নতুন বলে এলবিডব্লু করলেন ল্যাথামকে। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি, ১৫৪ রানে ফিরে গেছেন।
তবে শ্রীলংকার সুখস্বপ্ন সেখানেই শেষ। ডি গ্র্যান্ডোম এলেন, এম্বুলদানিয়াকে ছয় মেরে জানান দিলেন রান তুলতে চান দ্রুত। এম্বুলদানিয়ার ওপরেই বেশি তোপ গেছে, এই বাঁহাতি স্পিনারের পরের চার ওভারে আরও তিনটি ছয় মেরেছেন। ৪৫ বলে ফিফটি পেয়েছেন, এরপর আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন। মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরিটা পেয়েই যেতে পারেন, আরও এক দফা বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ওদিকে অবশ্য ওয়াটলিংও ফিফটি পেয়ে গেছেন, অনেকটা অলক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন আশির ঘরে। দিন শেষে ৭৫ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডি গ্র্যান্ডোম, ওয়াটলিংয়ের রান ২০৮ বলে ৮১।