• নিউজিল্যান্ডের শ্রীলংকা সফর
  • " />

     

    ইনিংস ব্যবধানের জয়ে সিরিজ ড্র করলো নিউজিল্যান্ড

    ইনিংস ব্যবধানের জয়ে সিরিজ ড্র করলো নিউজিল্যান্ড    

    শ্রীলঙ্কা ২৪৪ ও ১২২ (ডিকওয়েলা ৫১, বোল্ট ২/১৭, সাউদি ২/১৫) ; নিউজিল্যান্ড ৪৩১/৬ ডিক্লে. (ল্যাথাম ১৫৪, ওয়াটলিং ১০৫*, পেরেরা ৩/১১৪)
    নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৬৫ রানে জয়ী 


    বৃষ্টি এসে বাগড়া বাঁধিয়েছে নিয়মিত। তাতে দমেনি নিউজিল্যান্ড। এক ইনিংস ব্যাটিং করাই যথেষ্ট হয়েছে তাদের। শেষদিনে বিজে ওয়াটলিংয়ের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পর বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কাকে ১২২ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইনিংস ব্যবধানে কলম্বো টেস্ট জিতে সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিং কিপিংয়ে স্বপ্নের টেস্ট গেছে ওয়াটলিংয়ের, ১৮৩ রানের সঙ্গে তার খাতায় যোগ হয়েছে ৮টি ডিসমিসাল।  

    সকালে ৫ ওভার ব্যাটিং করেই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সে ৫ ওভারেই ৪৯ রান তুলে নিউজিল্যান্ড সেটির দারুণ ব্যবহার করেছে, সঙ্গে বিজে ওয়াটলিং পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি, শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০৫ রানে, সাউদির ১০ বলে ২৫ রানের ক্যামিও-ও আঘাত করেছে শ্রীলঙ্কাকে। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে সবকিছু বেশি করে গড়বড় হয়ে গেছে স্বাগতিকদের, প্রথম সেশনেই ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল তারা। 

    দ্বিতীয় সেশনে আর ২টি উইকেট নিতে পেরেছিল নিউজিল্যান্ড, নিরোশান ডিকওয়েলার দারুণ লড়াইয়ের কারণে। দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে ডিকওয়েলার জুটি শ্রীলঙ্কাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ‘দ্য গ্রেট এসকেপ’-এর, তবে করুনারত্নের পর দিলরুয়ান পেরেরার দ্রুত ফেরা সে স্বপ্নে জল ঢেলেছে। চা-বিরতির পর ১০ ওভার উইকেটশূন্য কাটিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তবে সুরাঙ্গা লাকমালের উইকেটের পর খুব একটা দেরি হয়নি তাদের। শ্রীলঙ্কা আরেকটু ঝুলে থাকতে পারলে দারুণ এক ড্রয়ের আশা ছিল, খানিক বাদেই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। 

    তবে শুরুতে ছিল উইকেটের বৃষ্টি। লাহিরু থিরিমান্নের রান-আউট বলছিল, কাজটা সহজ হবে না শ্রীলঙ্কার জন্য। মিডউইকেটে খেলেই হুড়মুড় করে দৌড় শুরু করেছিলেন তিনি, রান-আউট হয়েছেন বিশাল ব্যবধানে, ইনিংসের প্রথম ওভারেই। কুসাল পেরেরা খেলেছেন বাজে শট, ট্রেন্ট বোল্টের ব্যাক-অফ-আ-লেংথ বলে কাটের মতো শট খেলতে গিয়ে ওয়াটলিংয়ের হাতে তুলেছেন ক্যাচ। 

    অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে শট অফারে বাধ্য করেছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডোম, হয়েছেন সফল। এরপর জোড়া সাফল্য এনে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার। প্রথমে আজাজ প্যাটেলকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, সিলি পয়েন্টে বাড়তি ফিল্ডার হয়তো ট্রিগার করেছিল তাকে আক্রমণ করতে। কুসাল মেন্ডিসকে অফস্পিনারের ক্ল্যাসিক ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের ফাঁকে বোল্ড করেছেন সমারভিল। 

    লাঞ্চের আগের দুঃস্বপ্নটা কাটিয়ে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা অনেকখানি, ডিকওয়েলা-করুনারত্নের জুটিতে। সাউদির ভেতরের দিকে ঢোকা বলেই ঘটেছে বিপত্তি, শট অফার না করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন করুনারত্নে, শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক টিকে ছিলেন ৭০ বল। ১২ বল খেলে সাউদির শিকার পেরেরা। 

    শেষ সেশন রোমাঞ্চ জাগাচ্ছিল, টিকে ছিলেন লাকমাল-ডিকওয়েলা। লাকমালকে ক্যাচ বানিয়ে আবার নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন সমারভিল। এরপর অবশেষে গড়বড় করে ফেলেছেন ডিকওয়েলাও, ফিফটির পরপরই প্যাটেলকে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন তিনি, বোল্টের বাউন্সারে এমবুলদেনিইয়ার ধরাশায়ী হওয়ার পর সিরিজ ড্র নিশ্চিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের।