ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন অজন্থা মেন্ডিস
তার আগমন ক্রিকেটে রহস্যের জাল ছড়িয়েছিল। ৩৪ বছর বয়সে এসে ক্রিকেটের রহস্যের জাল ভেদ করা ছেড়ে দিলেন অজন্থা মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কান স্পিনার বিদায় বলেছেন সব ধরনের ক্রিকেটকে।
২০০৮ সালে ওয়ানডের পর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল মেন্ডিসের। সে বছর পাকিস্তানে এশিয়া কাপ দিয়ে আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি, ৫ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৮.৫২ গড়ে। ফাইনালে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ১৩ রানে।
ওয়ানডেতে ১৯ ম্যাচেই ছুঁয়েছিলেন ৫০ উইকেটের মাইলফলক, যেটি হয়ে আছে দ্রুততম ৫০ উইকেটের রেকর্ড। ২০০৯ ও ২০১২ আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা অস্ত্র ছিলেন ‘ক্যারম বল’সহ আরও রহস্যজনক ডেলিভারি করতে পারা এই ডানহাতি স্পিনার।
ওয়ানডের মতো টেস্টেও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট সিরিজেই ৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন ২৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র বোলার হিসেবে ইনিংসে দুইবার ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তার।
মূলত ২০১২ সালের পর থেকেই সময়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল মেন্ডিসের জন্য। ব্যাটসম্যানরা পড়ে ফেলছিলেন তাকে। ২০১৪ সালের পর বাদ পড়েছিলেন দল থেকে, ২০১৫ সালে ফিরে খেলেছিলেন ৪টি ওয়ানডে। তবে ততদিনে মেন্ডিস বিবর্ণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ৩টি ওয়ানডের পর ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি ওয়ানডের কোনোটিতেই ছয়ের নীচে হারে রান দিতে পারেননি তিনি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও ঘরোয়া লিগে খেলছিলেন। শেষ শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে পুলিশ স্পোর্টস ক্লাবকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে মেন্ডিস খেলেছেন মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই।
যে বোলিংয়ের কারণে তাকে নিয়ে মাতামাতি ছিল, সেই বোলিংয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ১ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২৮৮ উইকেট (টেস্টে ৭০, ওয়ানডেতে ১৫২, টি-টোয়েন্টিতে ৬৬) নিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি।