• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    প্রথম দিনটা হোল্ডারদের হতে দিলেন না কোহলি

    প্রথম দিনটা হোল্ডারদের হতে দিলেন না কোহলি    

    স্কোর 

    প্রথম দিনশেষে

    ভারত ৯০ ওভারে ২৬৪/৬ (কোহলি ৭৬, আগারওয়াল ৫৫, বিহারি ৪২*; হোল্ডার ৩/৩৯)

    দিনটা হতে পারতো জেসন হোল্ডারের, হতে পারতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু জ্যামাইকাতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা ক্যারিবিয়ানদের হলো না বিরাট কোহলির সুবাদেই। কোহলি ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালে জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা পুরোপুরি হোল্ডারদের হাতে দেয়নি ভারত।

    টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার। মাত্র ছয় ওভারের মাঝেই লোকেশ রাহুল-আগারওয়াল জুটি তোলে ৩২ রান। ১৩ রান করা রাহুলকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটা আনেন হোল্ডার। ১৪ রানের মাঝে চেতেশ্বর পূজারাকে ফিরিয়ে ভারতকে একটু চাপেই ফেলেন রাহকিম কর্নওয়াল। 

    তৃতীয় উইকেটে আগারওয়ালের সাথে ৬৯ রান যোগ করেন কোহলি। এই সময়ে ফিফটি তুলে নেন আগারওয়াল, এটি তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট ফিফটি। হাফ সেঞ্চুরির পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৫৫ রানে আগারওয়ালকে ফেরান সেই হোল্ডারই। 

    আগারওয়ালের পর আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান অজিংকা রাহানেকে নিয়েও বড় জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন কোহলিকে। কোহলি-রাহানে জুটি যোগ করে ৪৯ রান। এই সময়ে কোহলি পান ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি। কিমার রোচের বলে ২৪ রানে উইকেটকিপার হ্যামিল্টনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রাহানে। 

    হানুমা বিহারি-কোহলি জুটি মাথাব্যথার কারণ হতে পারতো হোল্ডারদের। দুইজনই দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে খেলছিলেন ক্যারিবিয়ান বোলারদের। আরেকটি সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলি। সেটা হতে দেননি হোল্ডার। সেঞ্চুরি থেকে ২৪ রান দূরে থাকতে অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরের বলে ড্রাইভ করার লোভটা সামলাতে পারেননি কোহলি। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় কিপারের হাতে। সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কোহলিকে।

    দিনের শেষভাগটা কোনো বিপদ ছাড়াই পার করেছেন বিহারি ও রিশাভ পান্ট। দ্বিতীয় নতুন বলটাও দেখেশুনে পার করে দিয়েছেন। দুইজন যোগ করেছে ৬২ রান। বিহারি অপরাজিত আছেন ৪২ রানে, পান্ট করেছেন ২৭ রান।