• শ্রীলংকার পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    রাজাপাকসে-প্রদীপে সিরিজ শ্রীলংকার

    রাজাপাকসে-প্রদীপে সিরিজ শ্রীলংকার    

    স্কোর

    ২০ ওভারে ১৮২/৬ (রাজাপাকসে ৭৭, জয়সুরিয়া ৩৪; ওয়াসিম ১/২৭)

    পাকিস্তান ১৯ ওভারে ১৪৭ (ওয়াসিম ৪৭, আসিফ ২৯; প্রদীপ ৪/২৫, হাসারাঙ্গা ৩/ ৩৮) 

    শ্রীলংকা ৩৫ রানে জয়ী

    আগের ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে শ্রীলংকার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন নুয়ান প্রদীপ। লাহোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও তার বিধ্বংসী বোলিংয়েই কুপোকাত সরফরাজ আহমেদরা। ব্যাট হাতে ভানুকা রাজাপাকসে ও বল হাতে প্রদীপ-হাসারাঙ্গা, এই তিনেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খোয়ালো পাকিস্তান। পাকিস্তানকে ৩৫ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল লংকানরা। 

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলংকান ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা শুরুটা বেশ মারমুখী মুডেই করেছিলেন। তার ব্যাটে ঝড় স্থায়ী হয়নি খুব বেশিক্ষণ, ১৫ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের বলে ফিরতে হয় গুনাথিলাকাকে। আভিস্কা ফার্নান্দোকে রান আউট করে লংকানদের একটু চাপেই ফেলেন শাদাব খান। 

    এরপরই রাজাপাকসে-জয়সুরিয়ার সেই জুটি, যা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে শ্রীলংকাকে। তৃতীয় উইকেটে দুইজন যোগ করেন ৯৪ রান। পাকিস্তানের বোলারদের তুলধুনো করে ফিফটি তুলে নেন রাজাপাকসে। চার মেরেছেন চারটি, ছয় ছিল ৬টি। ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ৪৮ বলে রাজাপাকসে করেছেন ৭৭ রান। রাজাপাকসের মতো না হলেও শেহান জয়সুরিয়াও রান তুলেছেন দ্রুত গতিতেই। 

    রাজাপাকসের ছয় চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না সরফরাজের

     

    ২৮ বলে ৩৪ রান করে আসিফ আলির থ্রোতে রান আউট হয়ে জয়সুরিয়া ফিরলে ভাঙ্গে এই জুটি। পাঁচ বল পরই ফেরেন রাজাপাকসেও। শাদাব খানকে উড়িতে মারতে গিয়ে ফাখার জামানের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। শেষের দিকে দাসুন শানাকার ১৫ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে লংকানদের স্কোর দাঁড়ায় ১৮২। 

    বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ রানের মাঝেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। ফাখার-বাবর দুইজনই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। এরপর আহমেদ শেহজাদ-সরফররাজ আহমেদ কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিচ্ছিলেন। তৃতীয় উইকেটে দুইজন যোগ করেন ৪০ রান। 

    অষ্টম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এক ওভারের ঝড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। এই ওভারেই হাসারাঙ্গা নিয়েছেন তিন উইকেট। তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শেহজাদ। পরের বলেই উমর আকমলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হাসারাঙ্গা। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও ব্যর্থ আকমল, ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই। ওভারের শেষ বলে সরফরাজকে ফেরান হাসারাঙ্গা। 

    ৫২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তখন দিশেহারা। উপায় না দেখে ষষ্ঠ উইকেটে আসিফ আলি ও ইমাদ ওয়াসিম ‘কাউন্টার অ্যাটাকে’ যান। লংকান বোলারদের অপর চড়াও হয়েছেন দুইজনই। আসিফ-ওয়াসিমের ৭২ রানের জুটি পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ভালোভাবেই। 

    ১৬তম ওভারের শেষ বলে ওয়াসিমকে এলবিডব্লিউ করে সেই স্বপ্নটা শেষ করে দেন ইসুরু উদানা। বাকি কাজটা শেষ করেছেন প্রদীপ। তার দারুণ বোলিংয়েই শেষ চার উইকেট পড়েছে ২০ রানে, আসিফ আলিকেও কিছু করতে দেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত এক ওভারে বাকি থাকতে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। 

    এই নিয়ে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল পাকিস্তান। এর আগে টানা এগারোটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়েছিল সরফরাজের দল।