• শ্রীলংকার পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেই দেশে ফিরছে শ্রীলংকা

    পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেই দেশে ফিরছে শ্রীলংকা    

    স্কোর

    শ্রীলংকা ২০ ওভারে ১৪৭/৭ (ফার্নান্দো ৭৮*, পেরেরা ১৩; আমির ৩/২৭)

    পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৩৪/৬ (সোহেল ৫২, বাবর ২৭; হাসারাঙ্গা ৩/২১)

    শ্রীলংকা ১৩ রানে জয়ী 

    প্রথম দুই ম্যাচের দেজা ভ্যুই যেন ফিরে এলো শেষ ম্যাচে। শ্রীলংকার দেওয়া টার্গেট তাড়া করতে ব্যর্থ হলেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা। লংকানদের খুব বেশি রান তুলতে না দিলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার রাতে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশই হতে হলো সরফরাজ আহমেদের দলকে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল পাকিস্তানকে ১৩ রানে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেই দেশে ফিরছে শ্রীলংকা। 

    টসে জিতে আগের দিনের মতই ব্যাটিং নিয়েছিল লংকানরা। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের দারুণ বোলিংয়ে ৩০ রানের মাঝেই ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। অ্যাঞ্জেলো পেরেরা ভালো কিছু করার আভাস দিয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। 

    ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারানো লংকানদের পথ দেখিয়েছেন অসাডা ফার্নান্দো। পাকিস্তানের বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হয়েছেন তিনি। ৮ চার ও ৩ ছয়ে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। অন্য প্রান্তে যখন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছে, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রেখেছেন ফার্নান্দো। ৪৮ বলে ৭৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। 

    ট্রফি হাতে লংকানদের উল্লাস 

     

    ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই ফাখার জামানকে হারায় পাকিস্তান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও হারিস সোহেল ৭৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। জয়ের জন্য দরকার ৭২ রান, হাতে নয় উইকেট, পাকিস্তানের সহজ জয়ই তখন আশা করছিল লাহোরের দর্শক।

    কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ১৭ রানের ব্যবধানে ফেরান ফিফটি করা সোহেলসহ তিন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে। লাহিরু কুমারাও অন্য প্রান্তে তুলে নেন বাবর ও ওয়াসিমের উইকেট। তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন হাসারাঙ্গাই। এক উইকেটে ৭৬ রান থেকে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১১১ রান। সেই ধাক্কাটা শেষের দিকে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। 

    সপ্তম উইকেটে ইফতিখার আহমেদ ও ওয়াহাব রিয়াজের ২৩ রানের জুটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে।