রাবাদার তিনের পরও ভারতেরই দিন
১ম দিন শেষে
ভারত ৮৫.১ ওভারে ২৭৩/৩ (আগরওয়াল ১০৮, কোহলি ৬৩*, পূজারা ৫৮; রাবাদা ৩/৪৮)
ফাফ ডু প্লেসির মন আজ একটু বেশিই খারাপ হতে পারে। টসভাগ্যটা একদমই পক্ষে আসছে না, আজ পুনে টেস্টে আবার হারতে হয়েছে মুদ্রা নিক্ষেপে। তারপরও সেটা শাপেবর হতে পারত, পুনের উইকেটে অন্তত প্রথম ঘন্টায় বাউন্স আর সিম মুভমেন্টের বেশ ভালোই লক্ষণ ছিল। কিন্তু এক কাগিসো রাবাদা ছাড়া আর কেউই সেই সুযোগটা নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মায়াংক আগারওয়ালের আরেকটি সেঞ্চুরি আর বিরাট কোহলি আর চেতেশ্বর পূজারার ফিফটিতে পুনেতে প্রথম দিনেই বেশ জেঁকে বসেছে ভারত।
শিরোনাম যেটা দেখছেন, সেটা আক্ষরিক অর্থেই এই ম্যাচের সারাংশ। এর বাইরেও একটা গল্প আছে, সেটা অবশ্য ডু প্লেসিদের হতাশ হওয়ার। আজ অভিষেক হয়েছিল তরুণ পেসার আইনরিখ নরশের, চোটের জন্য যার খেলা হয়নি বিশ্বকাপে। ফিল্যান্ডার আর রাবাদা শুরু থেকেই পাচ্ছিলেন সুইং। রোহিত শর্মার ওপেনার হিসেবে মধুচন্দ্রিমাটা শেষ হয়ে গেল আজ। রাবাদার প্রায় নিখুঁত বলটা না খেলাটা কঠিনই ছিল রোহিতের জন্য, সেটাতেই খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপার ডি কককে ক্যাচ দিলেন ১৪ রানে। ম্যাচের তখন দশম ওভার।
তবে উইকেট যেমন ছিল, শুরুর প্রথম ঘন্টায় অন্তত আরো দুইটি উইকেট না পেয়ে হতাশই হওয়ার কথা আফ্রিকার। নরশের পেস ছিল চোখে পড়ার মতো, আগারওয়ালকে শর্ট বলে পরীক্ষাও নিয়েছেন। কিন্তু ভারতের এই ওপেনার টলেননি তাতে, ৭৭ রানে ১ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে গেছে ভারত।
এরপর প্রোটিয়াদের হতাশাটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন আগরওয়াল-পূজারা। স্পিনার এলে পূজারা বেশি চড়াও হচ্ছিলেন, ওদিকে আগরওয়ালও খেলতে শুরু করছিলেন হাত খুলে। দুজনেই পেয়ে গেছেন ফিফটি, পুরনো হয়ে গেছে বল। এর পরেই আবার রাবাদার আঘাত। এবারও অফ স্টাম্পের ঠিক বাইরে খানিকটা মুভমেন্ট পেয়েছিলেন, সেটাতেই খোঁচা দিয়ে ডু প্লেসিকে ক্যাচ দিয়েছেন পূজারা, ফিরেছেন ৫৮ রানে। চা বিরতির ঠিক আগে ১৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ভারত।
কোহলি অবশ্য খেলছিলেন তার মতোই। ওদিকে আগরওয়ালও চা বিরতির পর পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এরপর আবার রাবাদা, এবারও স্লিপে ক্যাচ ধরেছেন ডু প্লেসি। এবার ১০৮ রানে ফিরেছেন আগরওয়াল। কিন্তু আগের টেস্টের মতো এবার আর ভুল করেননি কোহলি। সাবধানী ছিলেন শুরুতে, পরে স্ট্রোক খেলতে শুরু করেছেন। রাহানে একটু নড়বড়ে হলেও শেষ পর্যন্ত দিন পার করে দিয়েছেন আর কোনো উইকেট না হারিয়েই। আপাতত ইনফর্ম হনুমা বিহারিকে বাদ দিয়ে বোলার উমেশ যাদবকে নিয়ে খেলার জন্যও কোনো অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি কোহলিকে।