মহারাজ-ফিল্যান্ডারের লড়াইয়ের পরও বড় লিড ভারতের
ভারত ১ম ইনিংস ৬০১/৫ ডিক্লে.
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ২৭৫ অল-আউট
ভারত ১ম ইনিংসে ৩২৬ রানে এগিয়ে
৯ম উইকেটে কেশব মহারাজ ও ভারনন ফিল্যান্ডারের ১০৯ রানের জুটিতে ভারতকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তবে পুনেতে ১ম ইনিংসে ঠিকই বড় লিড পেয়েছে ভারত। চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো-অনে ব্যাটিং করতে পাঠাবেন কিনা বিরাট কোহলি, প্রশ্ন সেটিই। তবে এদিনের পুরোটা সময় মাঠে ছিলেন ভারতীয় বোলার-ফিল্ডাররা, সেক্ষেত্রে কোহলি নিতে পারেন আবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তও।
দিনের শুরুতে অবশ্য ইঙ্গিত ছিল অন্যরকম। ফাফ ডু প্লেসি দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙেচুড়ে দেওয়ার আয়োজন ঠিকই করছিল ভারত। প্রথম ঘন্টাতেই তারা হারিয়েছিল দুই উইকেট, প্রথম সেশনে ১০০ রান তুললেও হারিয়েছে ৩ উইকেট। নাইটওয়াচম্যান এনরিখ নরকিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শামির বলে, উমেশ যাদবের বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন থিউনিস ডি ব্রুইন।
ডু প্লেসির সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েছিলেন কুইন্টন ডি কক, তবে সেটা আর বড় হয়নি রবিচন্দ্রন আশ্বিনের টসড-আপ ডেলিভারিতে স্টাম্প হারানোয়। দক্ষিণ আফ্রিকা লাঞ্চে গিয়েছিল ৬ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে। বিরতির পর সেনুরান মুথুসামি এলবিডব্লিউ হয়েছেন রবিন্দ্র জাদেজার বলে, আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেও বাঁচেননি তিনি।
ডু প্লেসি লড়াই করছিলেন, সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন ফিল্যান্ডারকে। দারুণ আক্রমণাত্মকও ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, ফিফটি করেছিলেন মাত্র ৬৪ বলে। তবে তার আউটসাইড-এজ ঠিকই খুঁজে পেয়েছেন আশ্বিন, স্লিপে বাকি কাজটা সেরেছেন আজিঙ্কা রাহানে। আউট হওয়ার আগে বেশ কিছুক্ষণ সতর্ক ছিলেন ডু প্লেসি, শেষ পর্যন্ত ৬৪ রান করেছেন ১১৭ বলে, ফিফটি পর্যন্ত মারা ৯ চার ও ১ ছয়েই।
১৬২ রানে ৮ম উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো-অন করাবেন কিনা কোহলি, সেটি ছিল তখন প্রশ্ন। এবং সে প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। মহারাজ ও ফিল্যান্ডারই বদলে দিলেন সেসব চিত্র। প্রথমে অবিচ্ছিন্ন থেকে চা-বিরতিতে গেলেন তারা, দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুললো দক্ষিণ আফ্রিকা।
৯ম উইকেটে আবারও ফিফটি জুটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকার, সিরিজে অন্য সব উইকেট মিলিয়ে ফিফটি জুটি আছে তাদের তিনটি। সে জুটি রূপ নিল সেঞ্চুরিতে, মহারাজ করলেন ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ৭২ রান, যে ইনিংসে তিনি খেলেছেন ১৩২ বল, মেরেছেন ১২টি চার। আশ্বিনের বলে লেগস্লিপে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে তার ইনিংস।
অন্যপাশে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ফিল্যান্ডারকে রেখে দ্রুতই আউট হয়ে গেছেন কাগিসো রাবাদাও, আশ্বিন তাকে ফেলেছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। ফিল্যান্ডার খেলেছেন ১৯২ বল, মেরেছেন ৬টি চার। রাবাদার উইকেট দিয়েই শেষ হয়েছে দিন, আর কোহলির সামনে বসে গেছে প্রশ্ন।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো-অন করাবে ভারত?