রোহিতের ডাবল সেঞ্চুরিতে চাপা পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা
দ্বিতীয় দিন শেষে
ভারত ১ম ইনিংস ১১৬.৩ ওভারে ৪৯৭/৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ৯/২
বিশাখাপত্তনম, পুনের পর রাঁচি। গল্পটা শেষ পর্যন্ত ঘুরেফিরে একই। রাঁচি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই সিরিজে ধবলধোলাই ঠেকাতে হলে অলৌকিক কিছু করতে হবে। প্রথম ইনিংসে ভারতের চাপিয়ে দেওয়া ৪৯৭ রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে এর মধ্যেই ৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছে প্রোটিয়ারা।
রোহিত শর্মার জন্য অবশ্য আজকের দিনটা অনেক দিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সীমিত ওভারের ভারতের সর্বকালের সেরাদের একজন হয়ে গিয়েহচিলেন আগেই, এই সিরিজে টেস্ট ওপেনার হিসেবে নিজেকে চেনাচ্ছেন নতুন করে। কাল অপরাজিত ছিলেন সেঞ্চুরি করে, আজ সকালে ড্যাডি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে ১৯৯ বলে। তার আগেই অবশ্য সেঞ্চুরি হয়ে গেছে আজিংকা রাহানের, ২০১৬ সালের পর দেশের মাটিতে পেলেন অনেক কাঙ্খিত সেই সেঞ্চুরি। দুজন প্রথম সেশনটা কোনো উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দেবেন বলে মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ৭৬তম ওভারে গিয়ে জর্জ লিন্ডের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। লিন্ডের প্রথম উইকেট, আর ক্লাসেনের টেস্টে প্রথম ডিসমিসাল- দুই প্রথমের সঙ্গেই জড়িয়ে গেলেন ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সব বোলার আজ কমবেশি ভুগেছেন। তার মধ্যেও অভিষিক্ত লিন্ডেই ছিলেন যা একটু উজ্জ্বল!
এর মধ্যে রোহিত একটু একটু করে এগিয়ে গেছেন নিজের ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। সিরিজে ৫০০ রানও হয়ে গেছে, তিন টেস্টের যে কীর্তি ভারতের ওপেনারদের মধ্যে ছিল সর্বশেষ বীরেন্দর শেবাগের। এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড হয়েছিল গাগেই, আজ সেটি আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও এসেছে ছয় মেরেই। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন রাবাদার বলে, ২১২ রান করে হুক করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ফাইন লেগে। ৩৭০ রানে তখন পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ভারত।
ছয়ে নেমে রবীন্দ্র জাদেজাও এরপর সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন ভালোমতোই। ঋদ্ধিমান সাহা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে গড়েছেন ৪৭ ও ৩৩ রানের দুইটি জুটি। ঋদ্ধিমান বোল্ড হয়েছেন লিন্ডের বলেই, পরে জাদেজাও ৫১ রানে এই বাঁহাতি স্পিনারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন। এর পরেই উমেশ যাদবের ছোটখাটো একটা ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ বলে ৩১ রান করেছেন উমেশ মেরেছেন পাঁচটি ছয়। এর মধ্যে আবার তিনটি লিন্ডের এক ওভারেই। শেষ পর্যন্ত লিন্ডের বলেই আউট হয়েছেন, ৫০০র ঠিক আগেই ইনিংস ঘোষণা করেছেন কোহলি।
এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছে আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডিন এলগারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন মোহাম্মদ শামি। পরের ওভারে কুইন্টন ডি ককও নেই, এবার উমেশ যাদবের শর্ট বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে সাহাকেই। ৮ রানে ২ উইকেট নেই আফ্রিকা, এরপর জুবায়ের হামজা ও ডু প্লেসিকে স্বস্তি দিয়ে মরে এসেছে রাঁচির আলো। কালকের মতো আজও দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে আগেভাগেই।