আইপিএল আয়োজনের পক্ষে কেভিন পিটারসেন
আইসিসির এফটিপিতে ‘অলিখিত’ একটা উইন্ডো থাকে আইপিএলের জন্য, তবে কভিড-১৯ মহামারিতে স্থগিত হয়ে গেছে সেটাও। ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেটি স্থগিত থাকলেও আদতে এবার আইপিএল হবে কিনা- অন্য অনেক সিরিজ বা টুর্নামেন্টের মতো প্রশ্ন আছে সেটি নিয়েও। অবশ্য সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন বলছেন, আইপিএল হওয়া উচিৎ।
বিশ্বের সব ক্রিকেটার আইপিএলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন, এমন জানিয়ে পিটারসেন বলেছেন, “হয়তো জুলাই-আগস্ট সবচেয়ে কাছের সময় এখন পর্যন্ত, তবে আমি মনে করি আইপিএল হওয়া উচিৎ। এটা ক্রিকেট মৌসুমের শুরু, আমার মনে হয় বিশ্বের প্রতিটি ক্রিকেটার আইপিএল খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে।”
স্বল্প পরিসরে হলেও এ টুর্নামেন্ট শুরুর পক্ষে তিনি, “হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য আপনি কিছু টাকা আনতে পারেন। যেমন ধরেন তিনটি ভেন্যুতে দর্শকবিহীন অবস্থায় তিন বা চার সপ্তাহে টুর্নামেন্ট চালাতে পারেন।”
এর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ সিডনিতে হয়েছিল দর্শকশূন্য অবস্থায়, তবে মহামারি আকারে কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর বাতিল হয়েছিল সে সিরিজ। দর্শকশূন্য অবস্থায় আইপিএল চলতে পারে বলে মত কেপির, “যেসব ভেন্যু নিরাপদ, সেগুলোতে হতে পারে। আমার মনে হয় না দর্শকদের নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া উচিৎ। আমার মনে হয় দর্শকদের বুঝা উচিৎ, তারা এখন সরাসরি মাঠে বসে ম্যাচ দেখতে পারবে না, হয়তো নিকট ভবিষ্যতেই পারবে না। তবে এখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ দেখার জন্য আপনি কী করবেন!”
স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে কেপি ছাড়াও আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে বলেছেন সাবেক ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তার মতে, আইপিএলে শুধু ক্রিকেটার নয়, অনেকেরই রোজগারের ব্যবস্থা করে। সে হিসেবেও আইপিএল শুরু করা উচিৎ।
আপাতত ২১ দিনের লকডাউনে আছে ভারত, করোনাভাইরাস মোকাবেলায়।