• আইপিএল ২০২০
  • " />

     

    হাসির কাছে 'সর্বকালের সেরা ফিনিশার' ধোনি

    হাসির কাছে 'সর্বকালের সেরা ফিনিশার' ধোনি    

    ‘ফিনিশার’- যিনি ‘ফিনিশ’ করে আসেন। ক্রিকেটের ‘অলিখিত’ এই ‘ভূমিকা’ যারা নেন, নিশ্চিতভাবেই তাদেরকে দেখা হয় আলাদা চোখে। সীমিত ওভার ক্রিকেটে উইকেটে একজন ‘ফিনিশার’-এর উপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই ব্যাটিং দলের জন্য স্বস্তির, প্রতিপক্ষর জন্য অস্বস্তির। মাইকেল বেভান, মাইক হাসি, এমএস ধোনিরা নিজেদের ‘ফিনিশার’ ভূমিকায় যে সফল, তাতে তো সংশয় নেই। তবে ‘সর্বকালের সেরা’ টার্মটা সবসময়ই বিতর্কের, এক্ষেত্রে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীই তাই মূল হয়ে দাঁড়ায়। হাসি যেমন বলছেন, তার চোখে সর্বকালের সেরা ফিনিশারের নাম ধোনি। 

    প্রতিপক্ষ কী করতে পারে, এবং স্নায়ুক্ষয়ী পরিস্থিতিতে নিজেকে ধীরস্থির আর শান্ত রাখার ব্যাপারটিই ধোনিকে আলাদা করে তুলেছে বলে মনে করেন হাসি। ক্রিকইনফোর এক ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থাপক সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে হাসি বলেছেন, “আমার মতে সে সর্বকালের সেরা ফিনিশার। হয়তো একটু বিতর্কিত (হয়ে পড়বে) এটি, যেহেতু দারুণ সব ফিনিশার এসেছেন এর আগে। তবে প্রতিপক্ষ কী করতে পারে, সেটা জানার মানসিক সামর্থ্য ছিল তার। অনেক চাপের সময়ও সে শান্ত ও স্থির থাকতে পারত।” 

    “আসলে সে প্রতিপক্ষর চেয়েও বেশি শান্ত থাকতে পারতো, শেষের আগের ওভারে সেরা বোলারকে দিয়ে বোলিং করিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করত প্রতিপক্ষর অধিনায়ককে দিয়ে।” 

    শুধু প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়, সতীর্থ হিসেবেও বেশ কাছ থেকে লম্বা সময় ধরে ধোনিকে দেখেছেন হাসি। আইপিএলে দুই মেয়াদে ৭ মৌসুম চেন্নাই সুপার কিংসে একসঙ্গে খেলেছেন তারা। ধোনির বিগহিটিংয়ের সামর্থ্যও তাকে আলাদা করে তোলে বলে মত হাসির। 

    “অনেকেরই এটা নেই- অবিশ্বাস্য 'পাওয়ার'। সে জানে কখন বাউন্ডারি মারতে হবে, এবং সেটা করতে পারে সে। আমার নিজের ওপরই এমন বিশ্বাস নেই। তার মানসিক দৃঢ়তা, স্থিরতা, পাওয়ার মিলিয়ে সে জানত, কখন সে ছয় পাবে, এবং এটা ধারাবাহিকভাবে করে গেছে সে। আমার মনে হয় তার প্রক্রিয়া তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমার চোখে সেই সেরা।” 

    ধোনির কাছ থেকে রানতাড়ায় অনেক কিছু শিখেছেনও হাসি, “আমি শেষদিকে প্রয়োজনীয় রানরেট ১২-১৩ হোক, এটা হতে দিতে চাইতাম না। আমি বোধহয় ধোনির কাছেই শিখেছি। সে দারুণ। সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা ছিল, (তার মতে) ‘যে সবার শেষে প্যানিক করবে সেই জিতবে’। এ কারণেই সে শান্ত থাকতো, কারণ বোলারদের ওপরও তো চাপ আছে।” 

    রানতাড়ায় বোলাররা চাপে পড়েন, এবং সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় বলেও মনে করেন তিনি, “যদি আপনি ক্রিজে থাকেন, আর বোলাররা জানে যে ধোনি বা মাইকেল বেভান আছে, তাহলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা চেন্নাই সুপার কিংসের সুযোগ তখনও আছে। বোলারদের ওপরও চাপ আসে। এবং তখনই ওয়াইড-নো-আলগা ডেলিভারি আসে, যেগুলোতে আপনি বাউন্ডারি মারতে পারবেন। ফলে, প্রতিপক্ষর চেয়ে বেশি সময় ধরে যদি আপনি নিজের স্নায়ু ধরে রাখতে পারেন, ম্যাচ করে নিতে পারবেন আপনিই।”