• আইপিএল ২০২০
  • " />

     

    আইপিএল প্রথম ম্যাচের ১৫৮* 'চিরতরে বদলে দিয়েছে' ম্যাককালামের জীবন

    আইপিএল প্রথম ম্যাচের ১৫৮* 'চিরতরে বদলে দিয়েছে' ম্যাককালামের জীবন    

    জীবন বদলে যেত কতক্ষণ লাগে? ব্রেন্ডন ম্যাককালামের লেগেছিল দেড় ঘন্টার মতো। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ১৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি তার জীবন চিরদিনের জন্য বদলে দিয়েছিল বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল আইপিএল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এ ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাককালাম। 

    ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের পর নতুন মাত্রা পেয়েছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, আগে থেকেই পরিকল্পনায় থাকা আইপিএল দেখেছিল আলোর মুখ। এরপর থেকে বিশ্ব ক্রিকেটের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ম্যাককালামের জীবন যে ওই ৭৩ বলের ইনিংসে বদলে গেছে, সেটি ক্রিজেই তাকে বলেছিলেন তখনকার কলকাতা অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। 


    নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির দুই দলেরই হেড কোচ এখন ম্যাককালাম/ক্রিকইনফো/সিপিএল/গেটি


    “দাদা বলেছিল, ‘তোমার জীবন চিরদিনের জন্য বদলে গেল’, তখন আসলে আমি কিছুই বুঝিনি এ কথার। তবে আমি তার সঙ্গে শতভাগ একমত”, কলকাতার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটকে বলেছেন বর্তমানে তাদের হেড কোচ ম্যাককালাম। “শাহরুখ (খান, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক) পরের দিনগুলিতে বলেছিল, ‘তুমি সবসময়ই নাইট রাইডার্সের সঙ্গে থাকবে’।” 

    সেবার অবশ্য দুই মৌসুম সেখানে খেলেছিলেন ম্যাককালাম। পরে অন্য দলে খেলার পর আবারও তাদের হয়ে দুই মৌসুম খেলেছিলেন তিনি, এরপর নাইট রাইডার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজির দুই দল- আইপিএল ও সিপিএলের হেড কোচ হয়েছেন তিনি। 

    তবে ম্যাককালামকে এখনও ভাবিয়ে তোলে তার সেদিনের সেই ইনিংসটি, “আমি কেন প্রথম ডেলিভারিটির মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাব সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে? প্রথম ম্যাচে কীভাবে সুযোগ পেলাম, বিশ্ব ক্রিকেটের এমন বিশাল এক টুর্নামেন্টে সুযোগ পেলাম কীভাবে? এই সুযোগ পাওয়ার মতো সামর্থ্যই বা আসলো কীভাবে? এসবের পথে কতোখানি ভাগ্য সঙ্গে ছিল আমার? সত্যি বলতে, আমি জানি না এসব প্রশ্নের উত্তর। তবে যেটা জানি, আমার জীবন চিরদিনের জন্য বদলে গেছে।” 

    “আপনার হয়তো দরজা খুলে খুলে দেখার কথা বলেন, ক্যারিয়ার ও জীবনের মুহুর্ত নিয়ে বলেন। সে রাতে তিন ঘন্টা, আদতে দেড় ঘন্টার ব্যবধানে আমার জীবন চিরতরে বদলে গেছে।”