আরব আমিরাতে হোটেলের বদলে রিসোর্ট বা অ্যাপার্টমেন্টে থাকবেন কোহলিরা?
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। এরই মধ্যে আরব আমিরাতে নিজেদের আবাসন খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে ক্লাবগুলো। সাধারণত আইপিএল বা আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোর ক্ষেত্রে পাঁচ তারকা হোটেলেই বাস করেন ক্রিকেটাররা। তবে হোটেলের এসির ডাক্ট পাইপ দিয়ে করোনা ছাড়ানোর শঙ্কার কারণে অনেক ফ্রাঞ্চাইজি-ই হোটেলের বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করছেন।
এক্ষেত্রে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ একটি পুরো গলফ রিসোর্ট ভাড়া করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া। অন্যদিকে মুম্বাই পুরো একটি এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স টুর্নামেন্ট চলাকালে ব্যবহারের কথা ভাবছে। আর শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স দুবাইয়ের বদলে আবুধাবিতে ঘাঁটি গাড়ার কথা ভাবছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে টিওআইয়ের সেই প্রতিবেদনে।
করোনাকালে ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনার জন্য ১০০-পৃষ্ঠার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করেছে বিসিসিআই। তবে আইপিএলের এসওপি এখনও তৈরি করা হয়নি। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের এসওপি অনুযায়ী, হোটেলে খেলোয়াড়দের আবাসনের ব্যবস্থা করলে কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। মাঠের কাছাকাছি হোটেলে খেলোয়াড়দের রাখতে হবে। হোটেলের অন্যান্য অতিথিদের সংস্পর্শে যাতে খেলোয়াড়রা না আসেন সেজন্য আলাদা ফ্লোর বা ব্লকে তাদের রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। এক রুমে শুধু একজন খেলোয়াড়ই থাকবে।
আর মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আরব আমিরাতে অনুশীলন শুরুর আগে ভারতীয় খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের অন্তত পাঁচবার করোনা নেগেটিভ আসতে হবে। আর বিসিবির খসড়া অনুযায়ী, আইপিএল চলাকালে প্রত্যেক পঞ্চম দিনে খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।
বিদেশী খেলোয়াড়দের আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়ার আগে দুইবার কভিড-১৯ আরটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। দুইবারই নেগেটিভ আসলেই কেবল তারা আরব আমিরাতে আসতে পারবেন। আর ভারতীয় বা বিদেশী কোনও খেলোয়াড়ের পজিটিভ আসলেই তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। এরপর দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে তারা দলের সঙ্গে আরব আমিরাতে যোগ দিতে পারবেন।