মাঠে না থাকলেও টেলিভিশনে রেকর্ড দর্শক আইপিএল দেখবেন, আশা গাঙ্গুলির
শুধু দর্শকশূন্য মাঠে নয়, আইপিএল হচ্ছে ভারতের বাইরেই। তবে এর বিপরীত দিকের সুফলটাও দেখতে পাচ্ছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। তার আশা, এবার রেকর্ডসংখ্যক টেলিভিশন দর্শক পাবে আইপিএল। টুর্নামেন্টের শেষদিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে কিছুসংখ্যক দর্শককে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হবে, এমনও জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড-১৯ মহামারিতে পিছিয়ে যাওয়া আইপিএল শুরু হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর। যদি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত সূচি জানানো হয়নি এখনও। তবে আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যু- দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহতে হওয়ার কথা সব খেলা। আপাতত ভেন্যুগুলিতে দর্শক ঢুকতে পারবেন না। দলগুলিও আছে ‘বায়ো-সিকিউর’ বলয়ের মাঝে।
গাঙ্গুলি বলছেন, দর্শকরা আইপিএল ঠিকই দেখবেন, “তারা টেলিভিশনে দেখবেন। ব্রডকাস্টাররা আসলে সর্বোচ্চসংক্যক রেটিং আশা করছেন এই মৌসুমে, কারণ তাদের বিশ্বাস, মাঠে না যেতে পারলে সমর্থকরা আসলে টেলিভিশনেই দেখবেন”, পিটিআইকে বলেছেন গাঙ্গুলি। “কোভিড সংক্রমণের কারণে মাঠে দর্শক দেখতে পারবেন না আপনারা, তবে শীঘ্রই সামাজিক দূরত্ব মেনে মাঠে ৩০ শতাংশ দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে।”
অবশ্য আইপিএলে এরই মাঝে আঘাত করেছে কোভিড-১৯। চেন্নাই সুপার কিংসের দুজন ক্রিকেটারসহ ১১ জন সদস্য পজিটিভ হয়েছেন, বায়ো-সিকিউর বলয় ছেড়ে চলে গেছেন ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না, যিনি এ মৌসুমে আর খেলবেনই না। বলা হচ্ছে, দর্শকশূন্য মাঠ প্রভাব ফেলতে পারে অন্যান্য ক্রিকেটারদেরও।
বিরাট কোহলি যেমন ২০১০ সালে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের পর আর দর্শকশূন্য মাঠে খেলেননি। এই ব্যাপারটার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে অভ্যস্থ না হলেও কোহলি বলছেন, মানিয়ে নিতে খুব একটা অসুবিধা হবে না তাদের, “আমি এটা অস্বীকার করবো না যে শুরুতে এটা কঠিন হবে। এটা অদ্ভুত একটা ব্যাপার হতে যাচ্ছে। ব্যাট-বলের শব্দের প্রতিধ্বনি ছাড়া কিছু নেই, ২০১০ সালে রঞ্জি ট্রফির পর এভাবে ক্রিকেট খেলিনি আমি।
“তবে আমি যে সময়ে এভাবে খেলেছি, সেখানেই ফিরে যাচ্ছি। সেই সব ম্যাচে, যেখানে শুধু খেলতে ভালবাসতাম বলেই খেলতাম। দর্শকের ব্যাপারটা অবশ্যই একটা প্রভাব ফেলবে, তবে খেলতে নামলে সেটা থাকবে না। আমরা খেলাটাকে এতো ভালবাসি, আমরা নিজেদের সেরাটাই দিতে চাই। ফলে মাঠের অ্যাকশন শুরু হলেই সেসব হাওয়া হয়ে যাবে।”