কিংসমিডের কিম্ভূতকিমাকার দিনে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
১ম টেস্ট, ডারবান
১ম দিন, স্টাম্পস
দ.আফ্রিকা- ২৩৩/৪ (এলগার ৬৭, বাভুমা ৫৩*, আরউই ৪১, এবাদত ১/৫৮, খালেদ ১/৪৯, মিরাজ ১/৫৭)
তিন বছর পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরেছে ডারবানের কিংসমিডে। অথচ এমন বিশেষ এক দিনে সাইটস্ক্রিনের বিভ্রাটে ম্যাচের প্রথম বলটা গড়িয়েছে ৩৩ মিনিট দেরিতে। দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে বোলিং করতে নামা বাংলাদেশও ছিল এলোমেলো। তবে দ্বিতীয় সেশনে আফ্রিকাকে চেপে ধরলেও, বৃষ্টি বিঘ্নিত শেষ সেশনটা টেম্বা বাভুমার শক্ত হাত ধরে নির্বিঘ্নেই পার করেছে প্রোটিয়ারা।
শুরুতে এলোমেলো, এরপর গুছিয়ে ওঠা। ডারবান টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের পারফর্ম্যান্স আজ এমনই ছিল। উইকেটের শুরুর আদ্রতা কাজে লাগাতে পারেননি তাসকিন-এবাদত-খালেদরা।
তবে দ্বিতীয় সেশনটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে ৯৫ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে আরও ৭০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দুই ওপেনারের পর কিগান পিটারসেন রান আউট হয়েছেন মিরাজের দারুণ এক থ্রোতে। এরপর কেবল পড়েছে অভিষিক্ত রায়ান রিকলটনের উইকেট। এবাদতকে পুল করতে গিয়্র মিড অনে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এর আগে একপ্রান্তে সারেল এরউই টেস্ট মেজাজে ব্যাট করলেও অধিনায়ক ডিন এলগারকে দেখে মনে হয়েছে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলতে নেমেছেন। বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে ২০তম ফিফটি ছুঁয়েছেন মাত্র ৬০ বলে।
তাসকিন-এবাদতরা না পারলেও ব্রেকথ্রু এনে দেন খালেদ। ডানহাতি এই পেসারের বাড়তি বাউন্সের ডেলিভারিটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি এলগার। তার গ্লাভস আর ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটনের হাতে। লিটনের সেই দারুণ ক্যাচে ফিরেছেন এলগার। এর পরের ওভারে মিরাজের বলে বোল্ড হন আরেক ওপেনার এরউই। অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে উইকেটে নিয়ে আসেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে তাকে আউট করার সুযোগ বাংলাদেশ পেয়েছিল লাঞ্চ ব্রেকের আগের ওভারে।
মিরাজের লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন আরউই। কিন্তু আচমকা বাউন্স বুঝতে না পারায়, গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি লিটন দাস। প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপদের মুহূর্ত কেবল সেটিই ছিল।
আলোক স্বল্পতায় ১৩ ওভার আগেই থেমে যায় প্রথম দিনের খেলা। এর আগে টেম্বা বাভুমা আর কাইল ভেরেয়েনের ব্যাটে চড়ে বেশ স্বচ্ছন্দেই বাকি পথটা হেঁটেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।