• বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    পুরনো বাংলাদেশ, পুরনো ব্যাটিং ধ্বস, আরও একটি হারের পথে পুরনো সেই যাত্রা

    পুরনো বাংলাদেশ, পুরনো ব্যাটিং ধ্বস, আরও একটি হারের পথে পুরনো সেই যাত্রা    

    ২য় টেস্ট, কায়বেরহা (টস- দ. আফ্রিকা/ ব্যাটিং)
    দক্ষিণ আফ্রিকা- ৪৫৩, ১ম ইনিংস (কেশব ৮৪, এলগার ৭০, বাভুমা ৬৭, পিটারসেন, ৬৪, তাইজুল ১৩৫/৬, খালেদ ৩/১০০, মিরাজ ১/৮৫)
    বাংলাদেশ- ২১৭, ১ম ইনিংস (মুশফিক ৫৭, তামিম ৪৭, ইয়াসির ৪৬, শান্ত ৩৩, হার্মার ৩/৩৯, মুল্ডার ৩/২৫, অলিভিয়ার ৩৯/২)

    দক্ষিণ আফ্রিকা - ১৭৬-৬ (ডি), ২য় ইনিংস (আরউই ৪১, ভেরেইনা ৩৯*, বাভুমা ৩০, তাইজুল ৩/৬৭, মিরাজ ২/৩৪)

    বাংলাদেশ- ২৭/৩, ২য় ইনিংস (তামিম ১৩, শান্ত ৭, মহারাজ ২/১৭, হার্মার ১/৮)

    ৩য় দিন, স্টাম্পস
    জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন আরো ৩৮৬ রান


    সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাই ২৩৬ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে প্রোটিয়ারা। দিনের তৃতীয় সেশনের মিনিট ত্রিশেক বাকি থাকতে ডিন  এলগার ইনিংস ঘোষনা করলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১৩ রান। সেই রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই এলোমেলো তামিম ইকবালরা।

    ব্যাটারদের কল্যাণে রানপাহাড়ে চড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দুই স্পিনার মহারাজ-হার্মারের ভেলকিতে সেই রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছে মাহমুদুল জয়কে দিয়ে। আগের ইনিংসের মতো এবারও রানের খাতা খুলতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। মাঠ ছেড়েছেন ‘পেয়ার’ নিয়ে।

     নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। হার্মারের টার্নিং ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। অথচ তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

    বল ঘুরতে শুরু করেছে কায়বেরহার উইকেটে। চতুর্থদিন সকালের সেশনে হয়তো দুই স্পিনার দিয়েই বোলিং আক্রমণ জারি রাখবেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। একই উইকেটে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। শেষ ৩টি নিয়েছেন প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে।

    দ্বিতীয় ইনিংসে আরউইর ৪১, এলগারের ২৬, মাঝে বাভুমার ৩০ ও শেষদিকে ভেরেইনার ৩৯* রানের সুবাদে বাংলাদেশের জন্য চারশো পেরোনো লক্ষ্য দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।

    দ্বিতীয়দিন ১২২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। দুজন গতদিন কোনো বিপদ ছাড়াই কাটিয়েছিলেন শেষ সেশনটা। তৃতীয়দিনের সকালটাও তারা সাবধানী ব্যাটিং করেছেন। দুজনের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭০ রানের জুটি। সেটা ভেঙে যায় মহারাজের বলে ইয়াসির ফিরতি ক্যাচ দিলে।

    তবে মুশফিক আউট হয়েছেন অদ্ভুতুড়ে এক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে। আগের বলেই স্লগ সুইপ করে ছুঁয়েছেন ২৫তম টেস্ট ফিফটি। ধারাভাষ্যকক্ষেও হচ্ছিল তার প্রশংসা। কিন্ত ফিফটি ছোঁয়ার পরের বলেই রিভার্স সুইপ করতে যান মুশফিক। হার্মারের নিচু হয়ে আসা সেই বলে বোল্ড হন তিনি। প্রোটিয়া ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস তো বলেই বসেছেন, ‘সে নিশ্চয়ই মজা করছে না!

    মুশফিকের সেই রিভার্স সুইপ, সেট হয়েও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা, শেষ সেশনের দশ ওভারের মাঝেই টপাটপ উইকেট পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া টপ অর্ডার। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে পুরনো বাংলাদেশকেই মনে করিয়ে দিয়েছে।