• বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    চোখ রাঙাচ্ছে ফলো-অন

    চোখ রাঙাচ্ছে ফলো-অন    

    ২য় টেস্ট, কায়বেরহা (টস- দ. আফ্রিকা/ ব্যাটিং)

    দক্ষিণ আফ্রিকা- ৪৫৩, ১ম ইনিংস (কেশব ৮৪, এলগার ৭০, বাভুমা ৬৭, পিটারসেন, ৬৪, তাইজুল ১৩৫/৬, খালেদ ৩/১০০, মিরাজ ১/৮৫) 

    বাংলাদেশ- ১৩৯/৫, ১ম ইনিংস (তামিম ৪৭, ,শান্ত ৩৩, মুশফিক ৩০*, ইয়াসির ৮*, মুল্ডার ৩/১৫, অলিভার ২/১৭)

    ২য় দিন, স্টাম্পস

    বাংলাদেশ ৩১৪ রানে পিছিয়ে

     

    কায়বেরহার আকাশ মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল দিনের খেলার প্রায় এক সেশন বাকি থাকতেই। তাই শেষ সেশনের প্রায় পুরোটাই খেলা হয়েছে ফ্লাডলাইটের আলোয়। ফ্লাডলাইটের আলোয় মাঠের অন্ধকার দূর হলেও, বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ছিল সেই কালো, গুমোট মেঘেরই আনাগোনা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ রীতিমতো ধুঁকেছে। এক সেশন যেতে না যেতেই বাংলা শিবিরে রাঙাচ্ছে ফলো-অনও। 

    ইনিংসের প্রথম ওভারে পঞ্চম বলেই ফিরেছেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়। সেখান থেকে ৮২ রানের জুটিতে তামিম-শান্ত ধরেছেন হাল। শান্ত নিজের নামের মতো একটু ধীরস্থির হলেও, তামিম ওয়ানডে স্টাইলেই ব্যাট করেছেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। উইয়ান মুল্ডারের ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ফিফটি থেকে তখন ৩ রান দূরে ছিলেন এই টেস্টে ফেরা তামিম। 

    মেঘে ঢাকা আকাশ আর ফ্লাডলাইটের ছোঁয়ায় দুদিকেই সুইং পাচ্ছিলেন মুল্ডার। সেই ধারাবাহিকতায় আরেক সেট ব্যাটার শান্তর পর অধিনায়ক মুমিনুলকেও তিনি ফেলেছেন লেগ  বিফোরের ফাঁদে। লিটন দারুণ দুটো শটে বাউন্ডারি মেরে ভালো কিছুর ইংগিতই দিচ্ছিলেন, কিন্তু অলিভিয়ারের দারুণ এক ইনসুইংয়ে সেই ভালোর রেশ কেটে গিয়েছে। গুড লেংথে পিচ করা সেই ডেলিভারি উপড়ে দেয় মিডল স্টাম্প।

    দিনের শেষটা করেছেন মুশফিক-ইয়াসির মিলে। তবে দুজনই ভুগেছেন কেশব মহারাজ-সাইমন হার্মারের স্পিনে। টানা লাইন লেংথ মেনে বল করেছেন দুজনই। তবে বিপদ হতে দেননি মুশফিক-ইয়াসির। যদিও টার্ন-বাউন্সে বিভ্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকবার আলগা শটে ক্যাচ উঠেছিল দুজনের ব্যাট থেকেই। 

    এর আগে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয়দিন মাঠে নামা প্রোটিয়ারা থেমেছে ৪৫৩ রানে। বিশাল এই সংগ্রহে দারুণ অবদান কেশব মহারাজের। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন তিনি। তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৪ করেছেন তিনি। তাকে দিয়েই ইনিংসে দশমবারের মতো ৫ উইকেট নেন তাইজুল। এরপর সাইমন হার্মার তার বলে স্টাম্পিং হলে ২য় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া হয় এই বাঁহাতি স্পিনারের।