• অ্যাশেজ
  • " />

     

    'স্টোকসই আমাদের বাঁচিয়েছে'

    'স্টোকসই আমাদের বাঁচিয়েছে'    

     

    ২৬ সেপ্টেম্বর অনেকটা আকস্মিকভাবেই খবর আসে, কয়েক ঘণ্টার জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। দুদিন পর জানা যায়, মাঝরাতে রাস্তায় এক তরুণকে  বেশ কয়েকবার ঘুষি মারার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনার পর ওঠে সমালোচনার ঝড়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধও হন। তবে এবার জানা গেলো, দুই সমকামী তরুণকে উত্যক্তকারি থেকে বাঁচাতেই নাকি এরকমটা করেছিলেন স্টোকস!

    গ্রেফতার হওয়ার ওই ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় একমাস। পুলিশি তদন্তের কারণে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়াও যাওয়া হয়নি স্টোকসের। ২৬ বছর বয়সী কাই ব্যারি ও ২০ বছর বয়সী বিলি ও’কনিল নামের দুই তরুণের বক্তব্য ঘুরিয়ে দিয়েছে পুরো ঘটনার মোড়। 

    ব্যারি জানিয়েছেন, একটি নৈশক্লাবে তাঁদের সাথে দেখা হয় স্টোকসের, “আমরা রাত ১১ টায় এমবারগো ক্লাবে গিয়েছিলাম। সেখানে অন্যদিনের মতো নাচগান করছিলাম। নাচার সময় স্টোকস ও তার সাথে থাকায়ে আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তাঁরা কেমন আছে। আমি জানতাম না তাঁরা কারা, কারণ আমি জীবনে কখনোই ক্রিকেট দেখিনি! তাঁদের সাথে অল্প সময়ে ভালো এক সম্পর্ক হয়ে গেলো। হঠাৎ পাশ থেকে কেউ আমাকে 'সমকামী' বলে, সেটা অবশ্য তোয়াক্কা করিনি। কারণ আগেও এরকম হয়েছে। স্টোকস তাঁদের সাবধান করে বলল এরকম কথা না বলতে। ”

    রাত ২ টায় সেই ক্লাব থেকে বের হন সবাই। এরপরেই ব্যারিকে ওই কথা বলা দুই তরুণের সাথে তর্ক লাগে স্টোকসের, জানানলেন ব্যারি, “আমরা রাত ২ টায় বের হলাম। স্টোকস আমাদের জিজ্ঞাসা করল এখন কোথায় যাবো। ওই সময় ক্লাবের ভেতর সমকামী বলা তরুণ আবারো আমাদের সামনে আসল এবং ওই কথাগুলোই বলতে লাগলো। আমি খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ, মারামারি করতে চাইনি। তবে স্টোকসের সাথে মারামারিটা এরপরই লেগে যায়। আমি তো ভাবতেও পারিনি এরকম কিছু হবে! শেষের দিকে বেশ ভয়ই পেয়েছিলাম, এজন্যই সেখান থেকে সরে যাই। স্টোকস খুব সাহসী একজন মানুষ। তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন ওই মুহূর্তে।”

    এদিকে বিলি বলছেন, তিনি স্টোকসকে আবারো ইংল্যান্ড দলে দেখতে চান, “আমরা তো জানতামই না তাঁরা ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার। আমরা ভেবেছিলাম স্টোকস ও হেলস ক্লাবে আসা অন্য দশজন সাধারণ মানুষের মতোই। আমি আর ব্যারি কখনোই এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। স্টোকস আমাদের কাছে নায়কের মতো। ব্যারি তো ভয় পেয়েছিল আমাদের ওপর হামলা করবে ওই তরুণ। তবে স্টোকস দারুণ বীরত্ব দেখিয়েছে। সে দারুণ একজন মানুষ, আমি চাই সে অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলুক। যদি এই ঘটনার জন্য তার ক্যারিয়ার নষ্ট হয় তাহলে সেটা  খুব দুর্ভাগ্যজনক। সে তো শুধু আমাদের সাহায্য করছিল!”

    পুলিশি তদন্ত শেষেই নির্ধারিত হয়ে স্টোকসের ভাগ্য। এখন এই দুই তরুণের কথার পর কী সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ, সেটা সময়ই বলে দেবে।