• ফুটবল

মরিনহো,গার্দিওলা দ্বৈরথ-২ এ আপনাকে স্বাগতম

পোস্টটি ২৩৫৫ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

pep_v_jose-large_trans++OfbQuL7vt0ioTIEx8Tqi0NrxIh4X-3UtybZnoeSids8৩ ম্যাচে ৩ জয় দিয়ে শুরু দুই জনেরই।কোচ হিসেবে দুইজনের দর্শন একেবারে ভিন্ন হলেও প্রিমিয়ার লীগে মরিনহো,গার্দিওলা উভয়েরই পথচলা শুরু বেশ একইভাবেই।

দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দল থেকে কয়েকজন হাই প্রোফাইল খেলোয়াড়কে ছাটাই করে দিয়ে গার্দিওলা আলোচনায় এসেছেন।ম্যানিসিটির দীর্ঘদিনের সেনানী হয়ে থাকা জো হার্ট কে জিজ্ঞেস করলেই আপনি এর উত্তর পাবেন।

তিন ম্যাচেই ম্যানসিটির খেলায় গার্দিওলার প্রভাব স্পষ্ট।পেল্লেগ্রিনি যেখানে মাঝমাঠে দুইজন পিভট খেলানো পছন্দ করতেন,গার্দিওলা তার জায়গায় শুধু একজনকেই(ফার্নান্ডিনহো) খেলাচ্ছেন।রক্ষনভাগে  জন স্টোন্স কে খেলানোর জন্য গার্দিওলা কেন এত মরিয়া ছিলেন তা এখনই সবাই বুঝতে শুরু করেছেন।“রক্ষনভাগ থেকেই আক্রমন শুরু করতে হবে”-এই দর্শনে বিশ্বাসী গার্দিওলার আস্থার প্রতিদান বেশ ভালভাবেই দিচ্ছেন স্টোন্স।ফরমেশন আর ট্যাকটিক্সে ও এসেছে বিশাল পরিবর্তন,যা অবধারিতই ছিল।মূলত   ৪-৩-৩ ফরমেশনে দল সাজালে বল  দখলে থাকা অবস্থায় গার্দিওলার দলের ফরমেশন অনেকটা ২-৩-৪-১ হয়ে দাড়ায়।সিটির দুই  ফুলব্যাক

অনেকটা সেন্টার লাইনের কাছাকাছি পজিশন নেন।ওয়েস্ট হ্যামের সাথে শেষ ম্যাচে সিটি এইভাবে ওয়েস্ট হ্যামের দুই  ফুলব্যাককে দ্বিধায় ফেলে দে ।    City-structure-284x439

গার্দিওলার কোচিংয়ে রহিম স্টার্লিং এর ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বলা যায়।তিন ম্যাচেই অসাধারান ফর্মে থাকা স্টার্লিং গার্দিওলার নতুন কৌশলে নিজেকে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন।ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ও গার্দিওলার তুরুপের তাস তিনিই থাকবেন।

তবে সার্জিও অ্যাগুয়েরোর না থাকাটা সিটিকে ভালোই ভোগাবে।এই ম্যাচ দিয়েই তিন ম্যাচের সাসপেনশন শুরু হবে তার।তার স্থলে দলে আসতে পারেন তরুন তুর্কি কেলেকি ইহেয়িনাচো।আবার স্টার্লিং অথবা নলিতোর যে কোন একজনকে ফলস নাইন হিসেবেও পেপ খেলাতে পারেন।

ইঞ্জুরি থেকে ফেরা নতুন সাইনিং ইকাই গুন্ডোগানকে এই ম্যাচে খেলাবেন কিনা তা নিয়েও গার্দিওলাকে বেশ চিন্তায় থাকতে হবে।

গোলকিপার হিসেবে এই ম্যাচে অভিষিক্ত হতে পারেন ক্লদিও ব্রাভো।

ভন গলের শৃঙ্খলাবদ্ধ ফুটবল থেকে খেলোয়াড়দের বের আনাই ছিল মরিনহোর সবচেয়ে বড়্ চ্যালেঞ্জ।এখন পর্যন্ত তাতে দ্যা স্পেশাল ওয়ান কে সফল বলা যায়।ট্রেডমার্ক মরিনহো দল হিসেবে এখনই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নজর কাড়তে শুরু করেছে।

এখন পর্যন্ত খেলা প্রতিটি ম্যাচেই ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দল সাজানো মরিনহো ডার্বিতেও একই কৌশল নিয়েই দলকে খেলাবেন বলে আশা করা যায়।তবে রাইটব্যাকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভ্যালেন্সিয়া কে এই ম্যাচে না ও পেতে পারেন মরিনহো।আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ডার্বির ঠিক আগের দিনই ক্লাবে ফেরার কথা ভ্যালেন্সিয়ার।যে কারণে তার জায়গায় দলে আসতে পারেন ফসুয়া মেনসাহ অথবা ফিল জোন্স।

মাঝমাঠে মারুয়েনে ফেলাইনির সাথে পল পগবার জুটিকে এই ম্যাচে ও মরিনহো খেলাবেন।

মরিনহোর একমাত্র ইঞ্জুরি সমস্যা মিখতারিয়ান কে নিয়ে।আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইঞ্জুরিতে পড়া এই আর্মেনিয়ান ম্যাচ ফিট থাকলে জুয়ান মাতার জায়গায় দলে আসতে পারেন।

ইব্রাহিমোভিচ নিশ্চিতভাবেই মুখিয়ে থাকবেন তার পুরনো গুরুর বিপক্ষে আবার মাঠে নামতে।তিন ম্যাচে তিন গোল দিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জাতানই গোলের জন্য মরিনহোর সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে থাকবেন।

সম্ভাব্য একাদশঃ

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডঃডি গিয়া,ফিল জোন্স,এরিক বেইলি,ডেলি ব্লিন্ড,লুক শাও,ফেলাইনি,পল পগবা,জুয়ান মাতা,ওয়েইন রুনি,এন্থনি মার্শাল,ইব্রাহিমোdভিচ।

ম্যানচেস্টার সিটিঃকাবালেরো,বাখারি সানিয়া,জন স্টোন্স,কোলারভ,গায়েল ক্লিসি,ইকাই গুন্ডোগান,ফারনান্ডিনহো,ডি ব্রাইন,ডেভিড সিলভা,নলিতো,স্টার্লি।