ইয়ান বোথামের অ্যাশেজ
পোস্টটি ৪৯৪৮ বার পঠিত হয়েছে১.
একজন ব্যাটসম্যান খেলেছেন ১০২ টেস্ট। করেছেন ৫২০০ রান। গড় ৩৩.৫৪। সেঞ্চুরি ১৪টা, সর্বোচ্চ রান ২০৮। কী বুঝলেন?
সাধারণ একজন ব্যাটসম্যান। টেস্টে ৫০’এর নিচে কারও গড় হলে নাকি তাকে গ্রেট ব্যাটসম্যান বিবেচনা করা হয় না। তবে ৫০’এর কাছাকাছি থাকলে কিছুটা কন্সিডার করা যায়। যেমন ৪৯.৮৪ গড়ের মাহেলা জয়াবর্ধনে। কিন্তু এই ব্যাটসম্যান তো ৫০ দূরে থাক, ৪০’এর ঘরও পার করতে পারেননি!!!
আচ্ছা বাদ দিন। একজন বোলারের কথা শুনি বরং। তিনিও খেলেছেন ১০২ টেস্ট। নিয়েছেন ৩৮৩ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৭ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৪ বার। কেমন বোলার বলুন তো?
বেশ ভালোই, তবে অসাধারণ কিছু না? আচ্ছা, এই ব্যাটসম্যান এবং বোলার দুজনকে একসাথে মিলান। গড়, সেঞ্চুরি, ৫ উইকেট এসবকিছু বাদ দিন। শুধু চিন্তা করুন একজন খেলোয়াড়ের ৫২০০ রানের সাথে ৩৮৩ উইকেট। জানিয়ে রাখি ১৩৯ বছর বয়স্ক টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০০+ রানের সাথে ৩০০+ উইকেট আছেই মাত্র দু’জনের। এবার? সাধারণ একজন ব্যাটসম্যান এবং ‘বেশ ভালোই’ একজন বোলার থেকে খেলোয়াড়টি পরিণত হলেন অসাধারণ একজন অলরাউন্ডারে।
অলরাউন্ডারটির নাম ইয়ান বোথাম।
২.
সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কে? এই প্রশ্নের জবাবে আগে বেশিরভাগ সময় আসত স্যার গ্যারি সোবার্সের নাম। বর্তমান প্রজন্মের কাছে নামটা জ্যাক ক্যালিস। কেউ কেউ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বলে ফেলেন সাকিব আল হাসানের নাম। ভারতীয়রা আবার কপিল দেব ছাড়া কারও নাম শুনতেই নারাজ। কেউ কেউ আবার এগিয়ে রাখেন ইমরান খান অথবা রিচার্ড হ্যাডলিকে।
পরিসংখ্যান বলছে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেব। উপরে যে বললাম ৫০০০+ রানের সাথে ৩০০+ উইকেট দু’জনের; সেই দু’জনের একজন ইয়ান বোথাম, আরেকজন কপিল দেব। ইয়ান বোথাম হয়তো সর্বকালের সেরা হবেন না; তবে সেরা ৩’এর একজন যে হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারপরও যাদের সন্দেহ আছে তাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছি ১৯৮১ অ্যাশেজের কথা; যে অ্যাশেজের নামই হয়ে গিয়েছিল পরে ‘বোথামের অ্যাশেজ’।
৩.
টেস্ট খেলা হয় মোট ৫ দিন; ৫ দিনে ৩ সেশন করে মোট ১৫ সেশনের খেলা। খেলাটা একইসাথে খুব সহজ এবং জটিল। সহজ এই কারণে যে আপনি যদি ১৫ সেশনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে রাখতে পারেন তাহলে আপনি জিতবেন। জটিল এই কারণে ১৫ সেশনের ১ সেশনের খেলাও যদি আপনার হাত থেকে ছুটে যায় এবং আপনার কপাল যদি খারাপ হয় তাহলে ওই ১ সেশনেই আপনার ১২টা বেজে যেতে পারে। টস জিনিসটাও ক্রিকেটে যতটা গুরুত্বপূর্ণ অন্য কোন খেলায় কিয়দংশও নয়। তারপর আছে আরও প্রকৃতির ব্যাপার। খেলার আগে বৃষ্টি হয়েছে? টসে জিতলে চোখবুজে বোলিং নিন, তারপর আপনার দলের পেসারদের লেলিয়ে দিন। অথবা পিচ ফেটে চৌচির? স্পিনারকে ডাকুন। ঘূর্ণিবিষে নীল করে দিক সব। চমৎকার ব্যাটিং পিচ? বল দারুনভাবে ব্যাটে আসছে? হয়তো লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি করে ফেলবেন কেউ ( পড়ুন ডন ব্র্যাডম্যান)।
এরকম একটা খেলায় ৬ টেস্টের এক সিরিজ নিজের নামে করে নিতে অন্যরকম ক্রিকেট খেলা লাগে। বোথাম তা খেলেওছিলেন। ৬ টেস্ট সিরিজের শেষ ৪, আরও স্পেসিফিকলি বললে ৩য় থেকে ৫ম টেস্টেই তিনি সিরিজ নিজের নামে করে নিয়েছিলেন। সেই গল্প বলি, শুনুন।
প্রথম টেস্ট ছিল ট্রেন্টব্রিজে। টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিঙে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১৮৫ রানে। অধিনায়ক বোথাম করেন ১। অস্ট্রেলিয়া এর জবাবে প্রথম ইনিংসে করে ১৭৯। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের অবস্থা হয় আরও করুণ। অলআউট হয় ১২৫ এ, বোথাম করেন ৩৩।
১৩২ রানের টার্গেটে ৬ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ হয়ে যায় ১-০।
দ্বিতীয় টেস্টেও একই অবস্থা। লর্ডসে টস জিতল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিঙে নামল ইংল্যান্ড। গ্যাটিং আর উইলির হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৩১১। বোথাম করলেন কত জানেন? ‘শূন্য’। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ দাঁড়াল ৩৪৫।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৬৫ করে ডিক্লেয়ার করল। বোথামের সংগ্রহ? আবারও ‘শূন্য’। এক টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য; সহজভাষায় যাকে বলে ‘পেয়ার’। অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াল ২৩২ রানের লক্ষ্য। কিন্তু খেলার বাকি তখন ৫০ ওভার মতো। ৫০ ওভারে ২৩২ আজকের দিনেও কেউ তাড়া করে না। ফলে যা হওয়ার তাই হল। ড্র হল এই টেস্ট।
৪.
ব্যাপারটা এমন না বোথাম বোলিঙে উইকেট পাচ্ছিলেন না। ২/৩ উইকেট প্রতি ইনিংসেই পাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রথমত তিনি একজন অলরাউন্ডার। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই জায়গাতেই তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে দল। এবং দ্বিতীয়ত তিনি দলের ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেনের পারফরম্যান্স যদি এরকম হয় তবে সে দলের যে ভরাডুবি হবে তা বিচিত্র কিছু নয়।
প্রথম টেস্টের পরে যদি কিছুমাত্র সন্দেহ থেকেও থাকে তবে দ্বিতীয় টেস্টের পারফরম্যান্স সেই সন্দেহ দূর করে দিল। নির্বাচকরা বুঝে গেলেন অধিনায়কত্বের চাপে রীতিমত হাঁসফাঁস করছেন বোথাম। চাপ ‘আলগা’ করা হল; বোথামের জায়গায় ক্যাপ্টেন হলেন ব্রিয়ারলি। ফল পাওয়া গেল হাতেনাতে। তৃতীয় টেস্টেও টসে জিতল অস্ট্রেলিয়া, তবে এবার আর ইংল্যান্ডকে না পাঠিয়ে নিজেরাই নেমে পড়ল ব্যাটিঙে। করল ৪০১ রানের মোটাসোটা স্কোর। অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট বোথামের পকেটে!! ;)
ব্যাটিঙে নামল ইংল্যান্ড। নেমেই বিপর্যয়ে পড়ল। ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅন করতে বাধ্য হল তারা। বোথাম যে চাপমুক্ত হয়ে ফুরফুরে মেজাজে খেলা শুরু করেছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল প্রথম ইনিংসের হাফসেঞ্চুরিতে। ফলোঅনে পড়ে যখন ব্যাট করতে নামলেন তখনও ইনিংস পরাজয় এড়াতেই চাই ১২২। সেই ইনিংসে বোথামের যে কী হল, তা কলমে সরি কিবোর্ডে তুলে আনা অসম্ভব, এই ইনিংস চোখে না দেখলে বোঝা সম্ভব না। প্রথম দুই টেস্টে রান পাননি, সেই চাপা, বুনো ক্ষোভ লাভা হয়ে বের হয়ে এল হেডিংলিতে। ১৪৮ বলে ১৪৯ রান; ২৭ চার, ১ ছয়। বলকে কতভাবে মাঠ ছাড়া করা যায় তার পশরা সাজিয়ে বসেছিলেন যেন। ভাগ্যিস অন্যপ্রান্তে সব ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গিয়েছিলেন!!! না হলে ওইদিন কত করতেন কে জানে! ইংল্যান্ড থামল ৩৫৬’তে। চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়াল ১৩০।
রবি আমাদেরকে বলে, ‘জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে।’ সেরকমভাবে বব উইলিস জ্বলে উঠলেন বোথামের শক্তিতে। ১৩০ রানের ‘মামুলি’ লক্ষ্যকেও ‘বিশাল’ বানিয়ে দিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে ৫৬/১ থেকে বানিয়ে দিলেন ৭৫/৮; ৪৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে যখন অলআউট করলেন, জয় তখনও ১৯ রান দূরে।
(জেতার পরে মাথা খারাপ হয়ে গেছে ইংলিশ দর্শকদের। তাদের 'কবল' থেকে বাঁচতে দৌড়াচ্ছেন মাইক গ্যাটিং, গ্রাহাম গুচ, বব উইলিস)
( ৮ উইকেট নেয়ার পরে 'ক্লান্ত' বব উইলিস (ডানে) বোথামের হাতে স্যুভেনির স্ট্যাম্প তুলে দিচ্ছেন বয়কট।)
সিরিজ হয়ে গেল ১-১। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ? আবার জিজ্ঞেস করে!! ইয়ান বোথাম।
(আনন্দ যেন বাঁধ মানছেই না ইংলিশ সমর্থকদের!!)
একটা ছোট্ট গল্প বলি। তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বাজির দর উঠল ৪-১। মানে ১ পাউন্ড বা ডলার বাজি ধরলে এবং অস্ট্রেলিয়া জিতলে পাওয়া যাবে ৪ পাউন্ড। ড্রয়ের পক্ষে বাজি উঠল ৫-২। আর ইংল্যান্ডের পক্ষে কত দর উঠল জানেন?
৫০০-১।
১ পাউন্ড বাজি ধরলে ৫০০ পাউন্ড!!!
কেউ কি বাজি ধরেছিল? জানতে ইচ্ছে করে।
৫.
ফলোঅনে পড়েও ম্যাচ জেতার পরে ইংল্যান্ডের মনোবল হয়ে গেল দ্বিগুণ। সেই মনোবল তারা টেনে নিয়ে গেল চতুর্থ টেস্টেও। এজবাস্টনের সেই টেস্টে ব্যাটিঙে নেমে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করল ১৮৯। জবাবে অস্ট্রেলিয়া করল ২৫৮; পেল ৬৯ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হল ২১৯ রানে। জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ১৫১।
এই টেস্টের দু’ ইনিংসে ব্যাট করে এবং এক ইনিংস বল করে তেমন কিছু করতে পারেননি বোথাম। তবে সবটুকু বোধহয় জমিয়ে রেখেছিলেন; উগড়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার শেষ ইনিংসের সময়। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন জয়ের বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই মঞ্চে আবির্ভূত হলেন বোথাম।
অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ১১৪/৫। জিততে তখন লাগে ৩৭ রান। বোথাম এসেই ফেরালেন রডনি মার্শকে। স্কোরে এক রান যোগ না করেই ফিরলেন ব্রাইট। ১১৪ থেকে ১২১ এই সাত রানের মধ্যে বাকি ৩ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্যাকেট করে দিলেন; দল জিতল ২৯ রানে; নিজে নিলেন ৫ উইকেট। এই ধরণের কীর্তি সাধারণত গল্প-উপন্যাস কিংবা সিনেমাতে বেশি দেখা যায়। সিনেমা? হ্যাঁ সিনেমা বলতেই পারেন। ‘বোথামের অ্যাশেজ’ নামের সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর; প্রধান অভিনেতা ছিলেন ইয়ান বোথাম।
(অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দিলেন বোথাম।)
(ম্যাচ শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্ট্যাম্প তুলে দে দৌড়।)
প্রথম ২ টেস্ট শেষে যারা ১-০ তে পিছিয়ে ছিল, ৪ টেস্ট শেষে তারাই এগিয়ে গেল ২ - ১ ‘এ।
৬.
৫ম টেস্ট শুরু হল ওল্ড ট্রাফোর্ডে। সেই ওল্ড ট্রাফোর্ড যেখানে এক টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন জিম লেকার।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দুর্দশা যেন কাটছিলই না। এবারও প্রথমে ব্যাটিং এবং আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। ১৩৭ রানে চলে গেল ৮ উইকেট। নয় নম্বরে নামা পল অ্যালটের হাফ সেঞ্চুরিতে আপাতত বিপর্যয় সামাল দেয়া গেল; দল থামল ২৩১ এ। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সময় উইলিস আর বোথামের মিলিত ধ্বংসযজ্ঞে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেল মাত্র ১৩০ এ। ২৩১ করেও ১০১ রানের লিড পেল ইংল্যান্ড। :O
দ্বিতীয় ইনিংসেও একই অবস্থা। ১০৪ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের টপঅর্ডারের ৫ জন ফিরে গেলেন সাজঘরে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন কিম হিউজ ১৫০’র মধ্যে ইংল্যান্ডকে আটকে ফেলার পাঁয়তারা করছেন। এই অবস্থায় আসলেন বোথাম। তৃতীয় টেস্টের সেই ফর্ম নিয়ে এলেন পঞ্চম টেস্টেও; ওপেনার ট্যাভারে’র সাথে গড়লেন ১৪৯ রানের জুটি। সেই জুটিতে বোথামের অবদান ১৩ বাউন্ডারির সাথে ৬ ছক্কায় ১০২ বলে ১১৮। বোথাম আর ট্যাভারে কিছুক্ষণের ব্যবধানে আউট হয়ে গেলেও কিম হিউজকে হতাশার সাগরে ভাসিয়ে অ্যালান নট আর জন এমবুরির হাফ সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়াল ৪০৪।
এরপর এই ম্যাচ নিয়ে আর তেমন কিছু বলার নেই। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের লিডের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট দাঁড়াল ৫০৬। অসম্ভব একটা লক্ষ্য রীতিমত। ইয়ালপ আর বোর্ডারের সেঞ্চুরিতেও ম্যাচ বাঁচাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। হারল ১০৩ রানে।
হেডিংলি এবং এজবাস্টনের পরে ওল্ড ট্রাফোর্ডেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইয়ান বোথাম। থ্রি ইন আ রো।
এর পরের টেস্ট ছিল ওভালে। সেই টেস্ট ড্র হল। ৩-১ এ সিরিজ জিতে ‘ছাইয়ের পাত্র’ থেকে গেল ইংল্যান্ডেই।
৭.
অনেক বড় লেখা লিখে ফেললাম। কী করব বলুন? লিখেই যাচ্ছি, লিখেই যাচ্ছি কিন্তু বোথাম সাহেবের কীর্তি দেখি আর শেষ হয় না। তাই লিখতে থাকলাম। সবকিছুই শেষ হয়, তাই এটাও শেষ হল।
গতকাল ছিল স্যার ইয়ান বোথামের জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন, মিঃ বোথাম।
- 0 মন্তব্য