• অন্যান্য

বিমান ভয়ংকর!

পোস্টটি ৭৫৬১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

গত কয়েকদিন দিন ধরেই বিমান দুর্ঘটনার শিকার হওয়া শ্যাপোকোইন্সের জন্য শোকে মুহ্যমান ক্রীড়াবিশ্ব। তবে কেবল ব্রাজিলিয়ান দলটি নয়, ইতিহাস বিখ্যাত অনেক বড় দলই মুখোমুখি হয়েছে মর্মান্তিক সব বিমান দুর্ঘটনার। কেঁড়ে নিয়েছে অসংখ্য প্রাণ, সাথে জ্বলজ্বল করতে থাকা দারুণ সব সম্ভাবনা। কবর দিয়েছে অজস্র স্বপ্নের। সেরকম কিছু দুর্ঘটনা নিয়েই এই লেখা।

 


৪ মে, ১৯৪৯: তোরিনো ফুটবল ক্লাব, ইতালি

বেনফিকার সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলে তুরিনে ফিরছিল তোরিনো ক্লাব। ৩১ যাত্রীকে বহন করা ফিয়াট বিমানটি তুরিনের এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে  ভারী কুয়াশা ও ভুল অল্টিমিটারের কারণে বিখ্যাত সুপারগা ব্যাসিলিকা চার্চের দেয়ালে আঘাত হানলে মারা যান ১৮ খেলোয়াড় এবং ৫ কর্মকর্তা।

 

Grande_Torino_1942-43ফটোগ্রাফঃ গ্রান্দে তোরিনো

 

টানা ৫ বার সিরি-এ শিরোপা জেতা তোরিনো দলটিকে ডাকা হত গ্রান্দে তোরিনো বা দি আনবিটেবলস নামে। নিজেদের সময়ের সেরা এই দলটি এতটাই তুখোড় তারকায় ভরা ছিল যে, সেসময়কার আজ্জুরিদের নিয়মিত একাদশের ১০ জনই থাকতেন গ্রান্দে তোরিনো দলের সদস্য। দুর্ঘটনার সময় লিগে ২য় অবস্থানে থাকা ইন্টারের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল তোরিনো। সিরি-এ ক্লাবগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে সেবার চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় তাঁদের। এরপরও রিজার্ভ টিম নিয়ে বাকি ৪ ম্যাচ খেলে লিগ শেষ করেছিল বাকি সবার চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে।  দুর্ঘটনা ইতালির ফুটবল ইতিহাসকেই অনেকটা বদলে দেয়, প্রায় কয়েক বছর ইতালি দল মানসম্পন্ন দল বানাতে পারেনি। এতটাই মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সবাই, দুর্ঘটনা নিয়ে লেখা বইয়ের শিরোনাম ছিল “The Day Italian Football Died.”

 

 

ফেব্রুয়ারি ৬, ১৯৫৮: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইংল্যান্ড

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্টেডিয়াম ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারীতে থাকা একটি ঘড়িতে সবসময় বিকেল ৩টা ৪ বেজে ৪ মিনিট দেখায় সময় আর তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৮। কেন?  কি ঘটেছিল ঐ সময়ে?  

 

2. MANU 1958

 

সার্বিয়ার রেড স্টার বেলগ্রেডের সাথে ৩-৩ গোলে ম্যাচ ড্র করে ইউরোপিয়ান কাপ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ইউনাইটেড। এরপর ফিরছিল ঘরে। মাঝ বিরতিতে মিউনিখ বিমানবন্দরে ফুয়েল নিয়ে আবার উড়তেই বিস্ফোরিত হয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানটি। বিমানে থাকা ৪৪ জনের মধ্যে মারা যান ২৩ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন ৮ খেলোয়াড় এবং ৮ সাংবাদিক।

এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ দিন পর মারা যান ডানকান এডওয়ার্ডস, যিনি বেঁচে থাকলে দুনিয়া ববি চার্লটনকে চিনত না, নিঃসন্দেহে হতেন ইতিহাসের সেরা ব্রিটিশ ফুটবলার - এতোটাই ভালো খেলতেন বলা হয়! বিখ্যাত ম্যানেজার ম্যাট বাসবির সেই দলটির গড় বয়স ছিল মাত্র ২৪, প্রায় সবাই ছিল একাডেমী থেকে উঠে আসা তরুণ যাদের নিয়ে টানা দুবার লিগ জিতেছিলেন তিনি। বয়সের কারণে দলটার ডাকনামই হয়ে গিয়েছিল বাসবি বেবস। ব্রিটিশ ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হাহাকার হয়ে আছে এই দুর্ঘটনা। 

 


১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১: যুক্তরাষ্ট্র ফিগার স্কেটিং দল

চেক রিপাবলিকের প্রাগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৯৬১ ফিগার স্কেটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে রওনা দেয় ১৮ সদস্যের যুক্তরাষ্ট্র দল। ৭৩ যাত্রী নিয়ে সাবিনা বিমানটি যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয়ে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের এক মাঠে বিধ্বস্ত হয়। যাত্রীদের সবাই প্রাণ বিসর্জন দেন। সেই দলে ছিলেন মাত্র ১ মাস আগেই জাতীয় নারী চ্যাম্পিয়ন হওয়া দারুণ প্রতিভাধারী ১৬ বছরের লরেন্স ওয়েন।

etick_1961skating01_610

ফটোগ্রাফঃ বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে তোলা যুক্তরাষ্ট্র দলের শেষ টিম ফটো

 

 

১৪ নভেম্বর, ১৯৭০: মার্শাল বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দল, যুক্তরাষ্ট্র

ডিসি-নাইন বিমানে করে ভার্জিনিয়ায় ফিরছিলেন থান্ডারিং হার্ড খ্যাত মার্শাল বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল (আমেরিকান) দল। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে বিমানটি পর্বতে বাড়ি খেয়ে বিস্ফোরিত হয়।

 

teamphoto2_800

ফটোগ্রাফঃ ১৯৭০ থান্ডারিং হার্ড দল 


যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ৩৮ জন খেলোয়াড় সহ বিমানে থাকা ৭৫ যাত্রীর কেউই বাঁচতে পারেননি। বেশিরভাগই ছিলেন হান্টিংটন শহরের বাসিন্দা। পুরো শহর শোকে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। কয়েক সপ্তাহ লেগেছিল কেবল শোকসভাগুলো সম্পন্ন করতেই! 


২০০৬ সালে এই দুর্ঘটনা এবং ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে উপজীব্য করে নির্মিত হয় “We Are Marshall”  নামের চলচ্চিত্র।

 


১৩ অক্টোবর, ১৯৭২: ওল্ড ক্রিশ্চিয়ান্স রাগবি ক্লাব, উরুগুয়ে

বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে চিলিতে খেলতে যাচ্ছিলেন ওল্ড ক্রিশ্চিয়ান্স রাগবি ক্লাবের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং তাদের সমর্থকরা। ভারী কুয়াশার মধ্যে পথ হারিয়ে আন্দিজ পর্বতমালার আর্জেন্টিনা অংশে ৪১ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এরপরই রচিত হয় বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত বেঁচে থাকার রোহমোর্ষক গল্পের।

 

148124489

ফটোগ্রাফঃ দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া খেলোয়াড়দের ছবি 

 

দুর্ঘটনায় মারা যান ১৪ জন আর কমবেশি আহত অবস্থায় বেঁচে যান ২৭ জন। তবে ২ সপ্তাহ পর বিমানের ভগ্নাংশে ঘুমন্ত অবস্থায় তুষারঝড়ে মারা যান ৮ জন। শেষ পর্যন্ত দলের ২ জন খেলোয়াড় ১০ দিন ধরে তেমন কোন প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়াই ট্রেকিং করে লোকসমাজে পৌঁছান। পরে সাহায্য পাঠান বাকিদের জন্য।

ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১,০০০ ফুট উচ্চতায় কণকণে শীতের মধ্যেও আটকা পড়ার ৭২ দিন পর উদ্ধার করা হয় ১৬ জনকে। ক্ষুধা মিটিয়েছিলেন তুষার গলানো পানি আর মৃত সহযাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অংশ খেয়ে! 

বেঁচে যাওয়ার এই সত্যিকার ঘটনা নিয়ে “Alive: The Story of the Andes Survivors,” নামে বই লেখেন পিয়ার্স পল রীড। পরে ১৯৯৩ সালে এই বই অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘Alive’ চলচ্চিত্র। এছাড়া অনেক উপন্যাস এবং চলচ্চিত্রেই নানাভাবে রূপায়ন হয়েছে এই ঘটনা। সেবা প্রকাশনী থেকেও প্রকাশিত হয়েছে সুধাময় কর রচিত 'আন্দেজের বন্দী' নামক বই।

 

 

১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৭: ইভান্সভিল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল দল, যুক্তরাষ্ট্র

 

Evansville-Aces-1977

ফটোগ্রাফঃ ইভান্সভিল এসেস, ক্লাস অফ ১৯৭৭


টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে খেলতে একটি ডিসি-থ্রি বিমান ভাড়া করে রওনা দেয় এসেস খ্যাত ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ইভান্সভিল বিশ্ববিদ্যালয় দল। ভারী কুয়াশা এবং বৃষ্টির মধ্যে টেকঅফ করার পরপরই বিস্ফোরিত হয় বিমানটি। কোচ ববি ওয়াটসন সহ সব মিলিয়ে ৫ বার বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলটির কোন খেলোয়াড়ই আর পৃথিবীর আলো দেখতে পাননি। পরবর্তীতে হতাহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সামনে বিখ্যাত স্মারক ‘উইপিং বাস্কেটবল’ নির্মাণ করা হয়।

 

 

৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৭: আলিয়াঞ্জা লিমা ফুটবল ক্লাব, পেরু

 

Alianza-Lima-1987

 

পুকাল্পা শহরে খেলতে গিয়েছিল পেরুর সবচেয়ে পুরনো এবং সমর্থকপুষ্ট ক্লাব আলিয়াঞ্জা, ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতে লিগের শীর্ষস্থান দখল করে তাঁরা। ১ ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপার গন্ধটা তাই নাকে লাগারই কথা। খুশিমনে নৌবাহিনীর বিমানে করে রাজধানী লিমায় ফিরছিল দলটি। প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির পাইলট বাদে আর কেউ ঘরে ফেরেননি সেই দুর্ঘটনার পর। কোচসহ নিহত হন দলের ১৬ খেলোয়াড়।
ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড়, যুব দল এবং ধারে আনা কিছু খেলোয়াড় নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আলিয়াঞ্জা। সেবার নিশ্চিত শিরোপা হারালেও পেরুর ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ ২২টি লিগ শিরোপা আছে তাদের দখলে।

 

 

৬ জুন, ১৯৮৯: কালারফুল এলিভেন, নেদারল্যান্ড


১৯৮৬ সালে সুরিনাম লিগের চ্যাম্পিয়ন দল এবং সুরিনামিজ বংশোদ্ভূত ডাচ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া ‘কালারফুল এলিভেন’ এর মধ্যে প্রীতি ম্যাচ আয়োজিত হয় প্রথমবার। দারুণ সাড়া পাওয়ায় প্রতি বছরই চলছিল এই আয়োজন। ১৯৮৯ সালের ম্যাচে অংশ নিতে যাত্রা করেন ১৮ খেলোয়াড়। বিমানবন্দরে অবতরণ করার মাত্র মিনিট কয়েক বাকি থাকতে হঠাৎ করেই ডিসি-৮৬২ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, মারা যান ১৮৭ যাত্রীর ১৭৬ জন। সুরিনামের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৫ খেলোয়াড়। ৩ জন বেঁচে গেলেও দুজন পঙ্গুত্বকে বরণ করেন, আর শেষজন আর কখনোই আগের ফর্মে ফিরতে পারেননি।

 

2-FILEminimizer

ফটোগ্রাফঃ যাত্রা করার আগে সেবারের কালারফুল এলিভেন


সেই ম্যাচের জন্য ক্লাব থেকে অনুমতিপত্র না পাওয়া মানুষদের নাম শুনলে আত্নারাম খাঁচাই হবে সবার! রুদ গুলিত, ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড, অ্যারন উইন্টার, রিগি ব্লাইঙ্কার, স্ট্যানলি মেঞ্জো, হেনরি মায়ারের মত ডাচ ফুটবলের সব মহাতারকারা!

 


২৭ এপ্রিল, ১৯৯৩: জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দল

১৯৯৪ বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের প্রাথমিক রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জাম্বিয়া। মহাদেশীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত রাউন্ডটা পার করতে পারলেই প্রথমবারের মত পাওয়া যাবেও বিশ্বকাপের টিকেট। সেজন্য ১ম ম্যাচ খেলতে সেনেগালের ডাকারে যাচ্ছিল জাম্বিয়া দল। কিন্তু বিশ্বকাপ স্বপ্নে বিভোর বিমানটা আর ডাকারে অবতরণ করেনি! গ্যাবনের রাজধানী লিবারভিলে ফুয়েল নেবার কিছুক্ষণ পর আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ১৮ জন খেলোয়াড়সহ নিহত হন দলের ২৩ সদস্যের সবাই। খুব কাছে এসেও আজো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা পূরণ হয়নি আফ্রিকার দক্ষিণের দেশটির। পরের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকায় বেঁচে যান দলের অধিনায়ক কালুশা বাওয়ালা। 

 

Gabon-crash-Kalu

ফটোগ্রাফঃ সতীর্থদের স্মৃতিফলকের কাছে কালুশা বাওয়ালা

 

নিয়তির বকি নির্মম পরিহাস। সেই লিবারভিলেই চমক দেখিয়ে ২০১২ আফ্রিকান কাপ অফ নেশন্সের শিরোপা জেতে জাম্বিয়া। ১৯৯৩ এর দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ২৩ জনের স্মরণে কোন উৎসব হয়নি সেদিন।

 


৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১: লোকোমোটিভ ইয়ারোস্লাভেল হকি দল, রাশিয়া 

 

30Colombialisty-2011-master675

 

রাশিয়ার অন্যতম প্রতাপশালী হকি ক্লাব লোকোমোটিভ ইয়ারোস্লাভেল প্রাইভেট বিমান ভাড়া করে মহাদেশীয় লিগের ম্যাচ খেলতে যাচ্ছিল বেলারুশের মিনস্কে। টেকঅফের সাথেসাথেই দুর্ঘটনার শিকার হওয়া বিমানে থাকা ২৭ খেলোয়াড় এবং ২ কোচসহ ক্লাবের ৯ কর্মকর্তার সবাই প্রাণ হারান। কানাডিয়ান কোচ ব্র্যাড ম্যাকক্রিমন, স্লোভাকিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক পাভেল দিমিত্রা, চেক জাতীয় দলের ৩ খেলোয়াড় ইয়ান মারেক, কারেল রাচুনেক, জোসেফ ভাসিচেক ছিলেন সেই দলে।


৩ বারের রাশিয়ান সুপার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলটার এই পরিণতি রাশিয়ান হকিকে ব্যাপক ধাক্কা দেয়, সাথে রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনার কুখ্যাত সমস্যাকেও সামনে টেনে আনে।