• অন্যান্য

বিগত বিশ্বকাপের হিরো

পোস্টটি ৪১১০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
(বিশ্বকাপ ১৯৭৫ পার্ট ১) "গ্যারী গিলমোর" বিশ্বকাপে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলে যে আলোড়ন তুলেছিলেন গিলমোর,তার চেয়ে ঢের ম্যাচ খেলে ও এতো আলোড়ন তুলতে পারেন নি অনেকেই।বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সম্ভবত তিনি ই তুলেছিলেন.... অষ্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ ও যে খেলায়নি নিউ সাউথ ওয়েলসের বাঁহাতি এ ফাস্ট মিডিয়াম কে!তবে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে নামিয়ে দিয়ে কামাল-ই করে দিয়েছিলো অষ্ট্রেলিয়া। টস হেরে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পড়ে গিলমোরের তোপে।বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ডেনিস অ্যামিসকে দিয়ে শুরু।প্রথম ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তোলে মাত্র ৩৬ রান?সবকটি ই গিলমোরের!অধিনায়ক মাইক ডেনিস(২৭) আর আনরল্ড(১৮*) ছাড়া ধুর্ধর্ষ ইংল্যান্ড দলে কেউ ই দু-অঙ্ক ছুতে পারে নি। গিলমোরের আ্যাভারেজ তো ইংলিশদের কাছে রিতিমতো দুঃস্বপ্ন(১২-৬-১৪-৬),লিলি(৯-৩-২৬-১),টমসন(৬-০-১৭-০)। তাতে করে ইংলিশরা ও ৩৬.২ ওভারে ৯৩ তে অলআউট। ইংল্যান্ড ও কেন যেন তেতে উঠলো,ক্রিস ওল্ড(২৯-৩),জন স্নো(৩০-২) অষ্ট্রেলিয়ার ও ৩৯ রানে ৬ ইউকেট ফেলে দিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিলো হেডিংলিতে। বোলিং এর পর এবার ব্যাট হাতে ও দেখালেন ভানুমতির খেল,অন্যপাশে উইকেট আগলে বসে থাকা ডগ ওয়াল্ডার্সকে নিয়ে দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে,নিজে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে খেলে ফেললেন ২৮বলে ২৮রানের ক্যামিও,দল জিতলো ৪ উইকেটে। হেডিংলির ময়দানে তখন উচ্চারিত একটি নাম গ্যারি,গ্যারি। ফাইনালে ও টসে জিতে ফিল্ডিং নিলেন ইয়ান চ্যাপেল। কলিচরন ৩য় ব্যাটসম্যান হিসেবে বোল্ড হলেন গিলমোরের বলে ,দলের রান তখন মোটে ৫০!লিলি,টমসনকে নিয়ে অসিদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন।তবে ৪র্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক লয়েড আর বর্ষীয়ান কানহাই মিলে করে ফেলেন ১৪৯,দলকে ও বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন। কিন্তু ১০ রানের মধ্যে লয়েড,কানহাই আর ভয়ঙ্কর ভিভকে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে নিয়ে আসেন স্বপ্নের দোলায়। তবে বয়েস,জুলিয়ান,মারের অসাধারন প্রচেষ্টায় ৬০ ওভার শেষে ক্যারিবিয়দের ইনিংস থামে ২৯১/৮।আবার ও সবাইকে ছাড়িয়ে গিলমোর(১২-২-৪৮-৫),টমসন(৪৪-২),লিলি(৫৫-১)। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসিরা প্রায় ই পৌছে গিয়েছিলো। শুধু ম্যাস্কার আর ওয়ালকার ই দু অঙ্কের রান পান নি। ক্যারিবিয়দের অসাধারন ফিল্ডিং এর কারনে ১৭ রান আগে ইনিংস থামে অসিদের। ৫টি রান আউটের কারনেই ম্যাচ থেকে বেরিয়ে পড়ে তাঁরা। ভিভ রিচার্ডস একাই ডিরেক্ট ৩টি রান আউট করেন।ওয়ালকার আর টমসন রান আউট না হলে হয়তো প্রথম বিশ্বকাপটা ইয়ান চ্যাপেলের হাতেই শোভা পেত। আর অবশ্যই লর্ডসের বাল্যকনিতে দেখা যেতো "গ্যারি জন গিলমোর"এর হাসি মুখটি ।