মাদ্রিদ: একজন ক্রিশ্চিয়ানোর গল্প
পোস্টটি ১৯৩৪৩ বার পঠিত হয়েছে
মাদেইরার রাস্তায় তাঁর বেড়ে ওঠা, সেখান থেকে জয় করেছেন বিশ্ব। কিন্তু পথটা সহজ ছিল না, পদে পদে পেতে হয়েছে হোঁচট। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সেই রক্তমাখা পথে হাঁটার গল্প শুনুন তাঁর মুখেই।
সাত বছর বয়স থেকে এক স্মৃতি আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। স্মৃতিটা এতটাই অমলীন যে আজও আমার চোখের সামনে তা ভেসে উঠে আর তখন আবেগ সামলাতে পারি না। স্মৃতিটা আমার পরিবারকে ঘিরে।
আমি তখন মাত্রই ফুটবল বলতে যা বোঝায় তা খেলা শুরু করেছি। তার আগে আমি শুধু মাদেইরার রাস্তায় বন্ধুদের সাথে খেলতাম। রাস্তা মানে কিন্তু কোন ফাঁকা রাস্তা নয়, আসলেই আমরা যাকে রাস্তা বলি। আমাদের কোনো গোলবার কিংবা মাঠে যা থাকে অমন নির্দিষ্ট কিছু ছিল না। রাস্তায় কোন গাড়ি আসলেই আমাদের খেলা ছেড়ে সরে দাঁড়াতে হত। প্রতিদিন এই কাজ করতে আমার কোনো সমস্যা ছিলো না, কিন্তু আমার বাবা ছিলেন ফুটবল ক্লাব এন্ডোরিনহার কিটম্যান- তিনি আমাকে সেখানকার যুব দলে যোগ দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিতেন। আমি জানতাম এতে তিনি অনেক খুশি হবেন, তাই সেখানে গেলাম একদিন।
প্রথমদিনে সব নিয়মের ভিড়ে কিছুই ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি, কিন্তু সবকিছুই ভাল লেগে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে নেশা হয়ে গেল সেই নিয়মে ঘেরা সংগঠনটি। আরও দৃঢ়ভাবে পেয়ে বসল জেতার পরবর্তী অনুভূতিটা। প্রত্যেক ম্যাচের সময় আমার বাবা সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে আমার খেলা দেখতেন তার চিরচেনা ট্রাউজার পড়ে দাড়িমাখা মুখ নিয়ে। তিনি ভালোবাসতেন ফুটবল। কিন্তু আমার মা আর বোনদের ফুটবলে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না।
তাই প্রতি রাতে ডিনারের সময় আমার বাবা পরিবারের বাকিদের আমার খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য মাঠে যেতে বলতেন। ঠিক যেন তিনিই আমার প্রথম এজেন্ট। আমার মনে আছে ম্যাচ শেষে বাবা বাসায় এসে বলতেন, "ক্রিশ্চিয়ানো একটা গোল করেছে!"
তখন তারা বলতেন, "ওহ, দারুণ!"
তারা ততটা আগ্রহ কখনোই দেখাতেন না।
পরেরদিন তিনি আবারো বাসায় এসে বলতেন, "ক্রিশ্চিয়ানো আজকে দুই গোল করেছে!"
তাও বাকিদের মাঝে তেমন কোন পরিবর্তন দেখা যেত না। শুধু বলতেন, "দারুণ, ক্রিস!"
আমার তো আর কিছু করার ছিল না। তাই শুধু গোল আর গোলই করে যেতাম।
এক রাতে বাবা বাসায় এসে আবারও বলতে লাগলেন, "ক্রিশ্চিয়ানো আজকে তিন গোল করেছে! আজ সে অবিশ্বাস্য ছিলো! তোমাদের অবশ্যই ওর খেলা দেখতে যাওয়া উচিত!"
তবুও প্রত্যেক ম্যাচে সাইডলাইনে আমার বাবাকেই শুধু একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতাম। এরপরে একদিন – এক না ভোলার মত স্মৃতি - আমি মাঠে ওয়ার্ম আপ করছিলাম আর হঠাৎই বেঞ্চে দেখলাম আমার মা আর বোনদের। তাদেরকে আরামে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছিলো। তারা একসাথে বসে হাততালি বা চিৎকার করছিল না। শুধু আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছিল, ভাবটা এমন যেন আমি কোনো প্যারেডে দাঁড়িয়ে আছি। তাদেরকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল সেদিনের আগে তারা কখনো ফুটবল ম্যাচ দেখেনি। কিন্তু তারা সেদিন সেখানে ছিল আর এটাই ছিল আমার সব থেকে বড় পাওয়া।
আমার তখন অদ্ভূত রকমের ভালো লাগছিলো। এটা আমার কাছে ছিল বিশাল এক পাওয়া। যেন মনে হচ্ছিল আমার ভেতরে কিছু একটা ঘটছে। খুবই গর্বিত লাগছিল নিজেকে। আর্থিকভাবে আমাদের অবস্থা তখন খুব একটা সুবিধার ছিল না। মাদেইরার দিনগুলি ছিল বড় কষ্টের। বড় ভাই বা কাজিনদের দেয়া পুরোনো বুটজুতা দিয়েই আমি খেলা চালিয়ে নিতাম। ছোটবয়সে কিন্তু আপনার কাছে টাকা পয়সা মুখ্য ব্যাপার থাকে না বরং তখনকার অনুভুতিগুলিকে মানুষ বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই সেদিন যখন আমার মা এবং বোনেরা প্রথম আমার খেলা দেখতে এসেছিলো সেটা আমার কাছে ছিল বিশেষ কিছু। আমার প্রতি তাদের ভালবাসাকে খুব সহজেই আমি অনুভব করতে পারছিলাম। পর্তুগিজ ভাষায় এটাকে আমরা বলি, menino querido da família ( Family dear boy ).
পেছনে ফিরে তাকালে এক অদ্ভূত নস্টালজিয়ায় ভুগি জীবনের সেই সময়কে ঘিরে। কারণ ফুটবল আমাকে সব দিয়েছে, কিন্তু এটা একই সাথে আমাকে খুব অল্প বয়সেই নিজের বাড়ি থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এগারো বছর বয়সেই আমি মাদেইরার আমার স্বপ্নের দ্বীপ থেকে স্পোর্টিং লিসবনের একাডেমীতে চলে আসি আর এটাই ছিল আমার জীবনে পার করা কঠিনতম সময়।
এখন ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করাটাও পাগলামি যে যখন এটা লিখছি তখন আমার ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র সাত বছরের। আমি ভাবার চেষ্টা করেছি ব্যাগ গুছিয়ে জুনিয়রকে চার বছরের জন্য প্যারিস কিংবা লন্ডনে পাঁঠিয়ে দিতে আমার কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগবে! আমি নিশ্চিত আমার পরিবারের জন্যও ব্যাপারটা এমনই কঠিন ছিল।
কিন্তু তখন আমার সামনে ছিল স্বপ্ন পূরণের হাতছানি। তাই তারা আমাকে যেতে দিয়েছিল। একাডেমীতে আমি প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতাম। যদিও আমি তখন পর্তুগালে ছিলাম তবু মনে হতো আমি যেন অন্য কোন দেশে এসে পড়েছি। শহরের মানুষজনকে আমার একেবারে ভিন্ন ভাষাভাষীর মনে হতো। আশে-পাশের ঐতিহ্যটাও ছিল ভিন্ন রকম। আমি কাউকে চিনতাম না এবং একাকীত্ব প্রতিনিয়ত আমাকে গ্রাস করত। আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য আমার পরিবার প্রতি চার মাসে একবার আমার সাথে দেখা করতে আসতেও হিমসিম খেত। তাই প্রতিটা নতুন দিনের কষ্ট ছিল আগের দিনের থেকে বেশি।
একমাত্র ফুটবলটাই আমার প্রতিদিনের সম্বল ছিল। এই ফুটবলের জন্যই আমার সময়টা পার হত। আমি জানতাম, আমি মাঠে যা করি তা হয়তো একাডেমীর বেশিরভাগই পারে না। আমার মনে আছে একদিন এক ছেলে আমাকে দেখিয়ে আরেকজনকে বলেছিল, "দেখেছো সে কি করেছে? সে একটা বিস্ট!"
আমি প্রায়ই এসব কথা শুনতাম। এমনকি কোচদের কাছ থেকেও। কিন্তু তবু আমাকে প্রায়ই শুনতে হত, "সে অনেক ছোট!"
হ্যাঁ এটাই সত্যি। আমি খুবই চিকন মানে লিকলিকে ছিলাম, কোনই মাসল ছিলো না। তাই এগারো বছর বয়সেই আমি একটা সিদ্ধান্ত নেই। আমি জানতাম আমার প্রতিভা আছে, তাও আমি অন্য সবার চেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাবো। ছোট বাচ্চার মত আচরণ ধীরে ধীরে বাদ দিয়ে দিচ্ছিলাম। নিজেকে এমনভাবে ট্রেনিং দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম যেন আমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হতে পারি।
আমি জানিনা এই ইচ্ছাটা কিভাবে আমাকে পেয়ে বসল। মনে হয় এটা আমার ভেতরেই ছিলো। এটা এমন এক ক্ষুধা যার কোন শেষ নেই। হেরে যাওয়া মানে জয়ের ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া আর জিতে যাওয়া মানে এই জয়ের ক্ষুধা আরো আরো বাড়তে থাকা। ব্যাপারটা এমন যেন যতই খাই না কেন ক্ষুধা কখনোই কমে না। এভাবেই শূধুমাত্র আমি ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করতে পারি।
একাডেমীর ডরমিটরিতে রাতের বেলায় চুপিচুপি কসরতের জন্য যেতাম। শারীরিক গড়নে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসা শুরু করল আর মাঠেও এর প্রভাব পড়ল। একসময়ের সমালোচকরা যারা কিনা আমার গড়ন নিয়ে উপহাস করত তাদের মুখে এ ছিল এক দারুণ জবাব। আর কিছুই বলার ছিল না তাদের।
পনেরো বছর বয়সের এক ঘটনা আমার খুব ভাল মত মনে আছে। সেদিন ট্রেনিংয়ে আমি আমার সহযোদ্ধাদের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম, "আমি একদিন বিশ্বসেরা হবো!"
আমার কথা শুনে তারা খুব হাসাহাসি করেছিল। কারণ তখনও আমি স্পোর্টিংয়ের প্রথম একাদশেই জায়গা করতে পারিনি। আসলে আমার নিজের প্রতি সেই বিশ্বাসটা ছিলো। সেই বিশ্বাস থেকেই বিশ্বসেরার কথাটা আসলে বেরিয়ে এসেছিল আমার থেকে।
সতেরো বছর বয়সে আমার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু করি যখন, তখন অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমার মা আমার খেলা দেখতে পারতেন না। তিনি পুরোনো এস্তাদিও জোসে আলভালাদেতে আমার খেলা দেখতে আসতেন। কিন্তু বড় ম্যাচ গুলোর সময় অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে তিনি প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে যেতেন। আক্ষরিকভাবেই যাকে অজ্ঞান বলে। ডাক্তাররা তখন শুধু আমার ম্যাচের জন্য মাকে চেতনানাশক প্রেসক্রাইব করত।
আমি হেসে তাকে বলতাম, "মনে আছে আমার ফুটবল খেলাটাকে আমলেই নিতা না তুমি?" ;)
আমার স্বপ্নের পরিধি বড় থেকে আরো বড় হতে লাগল। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাইতাম, চাইতাম ম্যানচেস্টারের হয়ে খেলতে। কারণ টিভিতে সারাদিন প্রিমিয়ার লীগে ডুব মেরে থাকতাম আমি। সেখানকার খেলার গতি আর দর্শকদের নিজের দলের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে বুদ হয়ে গিয়েছিলাম। পরিবেশটা আমাকে আস্বাভাবিকভাবে টানত। তাই আমি যখন ম্যানচেস্টারে সুযোগ পেলাম, তখনকার আনন্দ আর গর্বের মিশেলটা কাউকে বলে বোঝাতে পারি নাই কখনো। তবে এটা আমি বুঝতাম আমি যাই অনুভব করি না কেন আমার পরিবার আমাকে নিয়ে তার চেয়েও অনেক বেশি অনুভব করে।
প্রথম দিকে ট্রফি জিততে পারাটা আমার কাছে খুব আবেগের একটা ব্যাপার ছিল ছিল। ম্যানচেস্টারের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতার অনুভূতিটা আমার কাছে ছিল স্বপ্নের থেকেও বড় পাওয়া। আমার প্রথম ব্যালন ডি'অরের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনি। ঠিক যেন প্রতিটা স্বপ্ন বাস্তবে এসে ধরা দিচ্ছিল। কিন্তু প্রতিদিন আমার স্বপ্নের ব্যাসার্ধ একটু একটু করে বাড়ছিল। আমি সবসময়ই মাদ্রিদকে পছন্দ করতাম এবং নতুন কিছু করে দেখাতে চাচ্ছিলাম। আমি মাদ্রিদে এসে ট্রফি জিতে এবং সকল রেকর্ড ভেঙে মাদ্রিদের একজন কিংবদন্তী হিসেবে নিজেকে দেখার স্বপ্ন নিজের মাঝে লালন করা শুরু করে দিয়েছিলাম।
গত আট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি মাদ্রিদের হয়ে কি পাইনি! কিন্তু সত্যি বলতে কি, মাদ্রিদে এসে ট্রফি জেতাটা আমার মাঝে অন্য রকম এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে গত দুই বছরে। মাদ্রিদের হয়ে আপনি যদি সবকিছু জিততে না পারেন তাহলেই এটা ব্যর্থতা। এই প্রত্যাশাটাই এখানে সবাইকে অমর করেছে। এটাই তাই আমার কাজ।
কিন্তু আপনি যখন একজন বাবা তখন তা একেবারে আলাদা এক অনুভূতি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এই কারণেই মাদ্রিদে আমার সময়টুকু অসাধারণ কেটেছে। আমি একজন ফুটবলার সেই সাথে একজন বাবা।
আমার ছেলের সাথে কাটানো এক মুহুর্ত আমার খুব মনে পড়ে প্রায়ই।
সেই মুহূর্তটা নিয়ে ভাবলেই পুরো শরীর জুড়ে এক অদ্ভূত ভালো লাগার হরমোন ছড়িয়ে যায়।
এটা সেই রাতের ঘটনা যে রাতে আমরা ইতিহাসের অংশ হয়েছিলাম। গত চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে জেতার পর কার্ডিফের মাঠে আমরা সবাই ছিলাম। ম্যাচের শেষ বাঁশি যখন শুনলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল যে আমি পৃথিবীর সবাইকে আমি নিজেকে দেখাচ্ছি, নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছি। কিন্তু যখন আমার ছেলে মাঠে ঢুকলো মুহুর্তের মধ্যে আমার নিজের মধ্যকার সব অনুভূতি বদলে গেল। মার্সেলোর ছেলেকে নিয়ে সে আমার চারপাশে ঘুরছিলো। আমরা একসাথে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেলাম। হাতে হাত রেখে পুরো মাঠ ঘুরলাম।
বাবা না হওয়া পর্যন্ত এই আনন্দগুলো আমি পাই নাই। সেই সময় আমার মনে এত এত অনুভূতি কাজ করছিল যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কিন্তু একটা ঘটনার অনুভূতির সাথে একে তুলনা করতে পেরেছিলাম, মাদেইরাতে মাঠে ওয়ার্ম আপের সময় দর্শকসারীতে আমার মা এবং বোনেদের দেখতে পাওয়ার অনুভূতিটা।
সেলিব্রেশনের জন্য বার্নাব্যুতে ফেরার পর ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র আর মার্সেলেইতো সারা মাঠ জুড়ে খেলছিলো। জুনিয়রের বয়সে মাদেইরার রাস্তায় খেলার চেয়ে ভিন্নরকম এক দৃশ্য। হয়তবা আমার ছেলের মাঝেও আমার মতো অনুভূতি গুলো কাজ করে “Menino querido da família.”
মাদ্রিদের হয়ে চারশো ম্যাচ খেলার পরেও জেতাটাই এখনো আমার মূল লক্ষ্য। আমার মনে হয় এভাবেই আমি জন্মেছি, জেতার জন্য। কিন্তুর জেতার পর অনুভূতিটা একদম বদলে যায়। জীবনের নতুন কোন এক অধ্যায় শুরু হয় যেন। আমার নতুন বুটজোড়ায় একটা স্পেশাল ম্যাসেজ লেখা আছে। প্রতিদিন টানেল দিয়ে বের হওয়ার আগে জুতার ফিতা বাঁধতে বাঁধতে আমি লেখাগুলো পড়ি।
এটা একধরনের স্মৃতিচিহ্ন... এক ধরনের অনুপ্রেরণা... যেখানে লেখা 'ছোট্টবেলার স্বপ্ন'!
এক ছোট বাচ্চার স্বপ্ন!
জানিনা আপনাদের সবাইকে আমার ভেতরের পুরো ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি কিনা!
সর্বশেষে, অবশ্যই- আমার লক্ষ্য যা ছিল তাই থাকবে। আমি মাদ্রিদের হয়ে রেকর্ড ভাঙা অব্যাহত রাখতে চাই। যতগুলো ট্রফি সম্ভব ততগুলোই জিততে চাই। এটাই আমার জীবনযাত্রা।
আরো একটি ব্যাপার, মাদ্রিদের যে জিনিসটা আমার কাছে অমূল্য সেটা হল পঁচানব্বই বছর বয়সে নিজের নাতি-নাতনিদের হাতে হাত রেখে এই বার্নাব্যুর মাঠে নিজের ছেলের হাত ধরে একজন চ্যাম্পিয়নের মতো হেটে চলার অনুভূতি বর্ণনা করতে পারব।
আশা রাখি আমরা আবার এভাবেই হাঁটব।
theplayerstribune.com এ প্রকাশিত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নিজস্ব লেখনীর অনুবাদ
- 0 মন্তব্য