মেসি-রোনালদো, এবার হবে তো? : প্রথম পর্ব
পোস্টটি ১০৯৬১ বার পঠিত হয়েছে
ভূমিকা
ফুটবলের সবচেয়ে বিচিত্র প্রশ্নগুলোর একটি মনে হয় নামের পাশে কিংবদন্তী শব্দটি যুক্ত করতে হলে একজন খেলোয়াড়কে ক্লাব এবং জাতীয় দল উভয়ের ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজাতে হবে কিনা। ক্লাবের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতেও সাফল্য ছাড়া আদৌ কি নিজেকে এ অপরূপ সুন্দর খেলার উর্ধ্বে সর্বকালের সেরাদের পাশে যুক্ত করা সম্ভব?
একজন ফুটবলারের সামনে কোন টুর্নামেন্ট আসলে সন্দেহাতীতভাবে সে নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টাই করে। আর এখনকার মত পেশাদারীত্বের যুগে কোন টুর্নামেন্ট জেতা অবশ্যই দলীয় ব্যাপার। একা দলকে পুরো টুর্নামেন্ট এনে দেওয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। তাই এ ধরনের বিতর্ক বোধহয় আমাদের মত অলস মস্তিষ্কের দর্শক আর সে মস্তিষ্কের খোরাক জোগানো মিডিয়া ছাড়া আর কারো মাথায় খুব বেশি আসে না। তবুও পাড়ার স্যালুনে, চায়ের টঙে কিংবা লোকাল বাসে এ শেষ না হওয়া বিতর্ক সাম্প্রতিক সময়ে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠার পেছনে একমাত্র কারণ বিগত এক দশক ধরে সমগ্র ফুটবল বিশ্বকে নিজেদের জাদু দিয়ে মুগ্ধ করে রাখা দুইজন মানুষ।
জাতীয় দলের হয়ে বড় কোন ট্রফি প্রথমবারের মত জেতার আশায় বিগত দশ বছর ধরে ব্যালন ডি অর নিজেদের সম্পত্তি করে ফেলা দুই তারকা ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে নিজেদের দেশকে তাদের স্ব স্ব মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে নিয়ে যায়। জুনের ২৬ তারিখ, লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা সেন্টেনারিওর ফাইনালে চিলির বিপক্ষে মাঠে নামে। ঠিক তার দুই সপ্তাহ পরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগালকে নেতৃত্ব দেয় ইউরোর ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে।
কিংবদন্তী হওয়ার জন্য কিনা জানা যায়নি কিন্তু দুইজনই সেই টুর্নামেন্টে দেশকে শিরোপা এনে দিতে যে মরিয়া হয়ে ছিল, তা সে সময়ে তাদের মাঠের খেলাই বলে দেয়। টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে দলকে তারা নিয়ে গিয়েছিল তাদের মহাদেশীয় সেরার মুকুট থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে। রোনালদোর জন্য ফাইনালটি ছিল দেশের হয়ে দ্বিতীয় ফাইনাল আর মেসির জন্য চতুর্থ।
একজন মানুষ হিসেবে নিজেদের শরীরের পক্ষে যতটা সম্ভব তার চেয়ে কিছু বেশিই মাঠে দিয়ে সেবার দুজনেই টুর্নামেন্ট শেষ করে চোখের জল দিয়ে। যদিও সে অশ্রুর কারণ ছিল তাদের জন্য ভিন্ন। মেসির চোখের জল ছিল আবারো এক ফাইনালে ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়ে নিজের দেশকে দ্বিতীয় সেরা হিসেবে দেখার। আর রোনালদোর চোখে ছিল আনন্দাশ্রু দেশকে প্রথমবারের মত ইউরোপ সেরা হতে দেখার।
অশ্রুসিক্ত সেই রাত দুইটি পার করে মেসি-রোনালদো দুজনেই আরো দুই মৌসুম পার করে ফেলেছে। এখনো উজ্জ্বল, এখনো বিশ্বসেরা। সন্ধ্যার সূর্যাস্ত যেমন নতুন দিনের সূচনার আশা দেয় তেমনি নতুন টুর্নামেন্ট আবারো ফুটবলারদের এনে দেয় দেশকে কিছু দেওয়ার আশা। রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপও এর বাইরে কিছু না। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাই আবারো সেই পুরনো প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা।
সূর্যোদয়
আনুষ্ঠানিক ফুটবলে যাত্রার শুরু থেকেই ব্যক্তি ফুটবলারদের তুলনা হয়ে এসেছে এক প্রজন্মের সাথে আরেক প্রজন্মের। একই প্রজন্মে দুই সেরা আসার উদাহরণ বোধহয় ফুটবল বিশ্বে শুধু মেসি আর রোনালদোই। দুই তারকার মাঝে বয়সে কিছু বড় রোনালদোর জাতীয় দলের জার্সি প্রথম গাঁয়ে উঠে ২০০৩ সালের আগস্টে। কাজাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে আসা ১৮ বয়সের তরুণ রোনালদো সেই ম্যাচের এক সপ্তাহ আগে পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ডে স্যার অ্যালেক্সের অধীনে।
মেসির প্রথম সুযোগ আসে দুই বছর পরে, হাঙ্গেরির বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে, দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে। কিন্তু সেদিন ভাগ্যদেবী গল্প সাজিয়েছিলেন একটু অন্যভাবে। বল পায়ে ডি বক্সের দিকে দৌড়ানোর সময় মেসির জার্সি ধরে পেছন থেকে হাঙ্গেরির এক খেলোয়াড় টান মারে। তরুণ মেসি নেমে বল পেয়েই ফাউলের শিকার হয়ে নিজেকে সামলাতে না পেরে হাত দিয়ে আঘাত করে বসে সেই হাঙ্গেরিয়ানকে। ফলাফল নামার ৪৩ সেকেন্ডের মাঝে লাল কার্ড। খেলা শেষে সিনিয়ররা ড্রেসিং রুমে গিয়ে মেসির কান্না থামাতে একেবারে হিমসিম।
একজনের অতি সাধারণ দ্বিতীয়ার্ধ আর অপর জনের লাল কার্ড। দুজনের কেউই মনে হয় না দেশের হয়ে এমন প্রথম ম্যাচ চেয়েছিল। তবে প্রথম ম্যাচ যে ভাগ্যদেবীর নিছক ছলনা ছাড়া আর কিছুই ছিল না তা বুঝতে তাদের দেশবাসীর খুব বেশি দিন সময় লাগে নাই।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো প্রথম সুযোগ পেল ২০০৪ সালে, নিজের দেশ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত ইউরোতে। জাতীয় দলের হয়ে এর আগে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলা তরুণ রোনালদো দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ নিয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই গোল করে গ্রীসের বিরুদ্ধে। ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচটিতে দলের একমাত্র গোল রোনালদোকে দুঃখ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। পরের দুই ম্যাচে স্পেন আর রাশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় লুই ফিগো, ডেকো, হেল্ডার পস্তিগা, রুই কস্তার পর্তুগাল। এত এত তারার আলোতে পর্তুগালের আক্রমণে নিয়মিত মুখ ছিল রোনালদো। দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংল্যান্ড আর সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে নিজের দেশের মাটিতে ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্নে তখন বিভোর আক্রমণে ফিগো, ডেকোর সঙ্গী তরুণ রোনালদোসহ পুরো পর্তুগাল। পরের দিন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ আদায় করে নেয় টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা গ্রীস।
ফাইনালে শুরু থেকেই আক্রমণে পর্তুগাল। গ্রীসের রক্ষণ পেরে উঠছে না কিন্তু ছেড়েও দিচ্ছে না। লিসবনের দর্শকদের আর তর সইছে না কখন আসবে সেই কাংক্ষিত গোল! হাফ টাইমে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ০- ০ তেই সন্তুষ্ট থাকতে হল পর্তুগালকে। দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ম্যাচের একমাত্র কর্ণার পায় গ্রীস। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির আন্দ্রেস চারিস্ত্যাস পর্তুগীজ ডিফেন্ডার কস্তিনহো আর কার্ভালহো থেকে অনেকটা উপরে লাফিয়ে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে নিজেদের নাম ইতিহাসে লিখে ফেলেন। আরো মরিয়া হয়ে পড়ে পর্তুগাল। একের পর এক শট নিতে থাকে সবাই। কোনটা বাইরে যায়, কোনটা ঠেকিয়ে দেয় গোল রক্ষক। সবচেয়ে মোক্ষম সুযোগ পায় রোনালদো নিজে। অসাধারণ দক্ষতায় অফসাইডের ফাঁদে না পড়ে বল নিয়ে এগিয়ে বারের উপরে উড়িয়ে মারে ক্রিশ্চিয়ানো। শেষ বাঁশি বেজে উঠার সাথে চিৎকারে ফেটে পড়ে মাঠের গ্রীক সৈন্যদের সাথে সাথে দর্শক সারির অল্প কিছু গ্রীক দর্শক। পুরো ম্যাচে পর্তুগালের শট ছিল ১৭ টি যার মাঝে বারে ছিল মাত্র ৫টি। যেখানে একমাত্র কর্ণার থেকে গোল আদায় করে গ্রীস সেখানে ১০ টি কর্ণার থেকেও কিছুই করতে পারে নাই পর্তুগাল। কিছুক্ষণ আগেও যেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন তা হয়ে গেল দুঃস্বপ্ন পুরো পর্তুগাল বিশেষত তরুণ রোনালদোর জন্য। চোখের জলে ঝাপসা হয়ে আসা চোখে গ্রীসের আনন্দোল্লাস দেখা রোনালদোর জাতীয় দলের হয়ে পরীক্ষায় সবেমাত্র শুরু।
দেখতে দেখতে চলে আসে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ। প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট যেখানে একসাথে মেসি আর রোনালদো। গ্রুপ পর্বে দুজনের দলই অপরাজিত থেকে পরের রাউন্ডে যায়। দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনা হারায় মেক্সিকোকে আর পর্তুগাল হারায় নেদারল্যান্ডকে। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার দৌড় শেষ হয় সেবার তৃতীয় স্থান নেওয়া জার্মানীর কাছে। পর্তুগাল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যায় সেমিতে জিদানের ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হয়ে। জিদানের নেওয়া একমাত্র পেনাল্টি থেকে আসা গোলে থামতে হয় পর্তুগালকে। নতুন আসা দুই তারকার দেশের হয়ে জ্বলে উঠার স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নেয় না।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ফাইনাল খেলার সুযোগ আসে পরের বছর ২০০৭ সালে। ২০০৪ সালের কোপাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে ফাইনালে নিজের দেশের লজ্জাজনক হার টিভিতে দেখা মেসির সামনে এবার সুযোগ দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণের। গ্রুপ পর্বে আমেরিকা, কলম্বিয়া আর প্যারাগুয়েকে ৪-১, ৪-২ আর ১-০ গোলে উড়িয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া আর্জেন্টিনার হয়ে গোলের খাতা খোলা তখনও বাকি মেসির। হার্নান ক্রেস্পো আর হুয়ান রিকুয়েলমে ঝড়ে এগোচ্ছে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে পেরুকে বিধ্বস্ত করা ম্যাচে মেসি ৬১ মিনিটে বল জড়ালো জালে। পুরো আর্জেন্টিনার বিশ্বাস এবার আর কেউ আটকাতে পারবে না। সেমিতে আবারো ৬১ মিনিটে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসি ঝলক। ১৫ জুলাই ফাইনালের প্রতিপক্ষ আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কোয়ার্টারে ৬-১ গোলে চিলিকে বিধ্বস্ত করা ব্রাজিলের সেমিতে উরুগুয়ের বিপক্ষে বাজে প্রদর্শনী কিছুটা নাড়িয়ে দেয় ব্রাজিলকে। তা থেকে আত্মবিশ্বাসের মুকুটে আরো এক পালক যোগ করে ফাইনালের পথে পা বাড়ায় আর্জেন্টিনা। সেদিন শুরু থেকে নামা মেসি বা তার সঙ্গীরা পারল না আবারো। রিকুয়েলমির দুর্দান্ত হাফ ভলি যখন বারে লেগে ফিরে এল তখনই আঁচ করা যাচ্ছিল আজ বুঝি ভাগ্যদেবী সাথে নেই। ব্রাজিল ৩-০ গোলে জিতে আবারো চোখের সামনে থেকে নিয়ে গেল মহাদেশীয় মুকুট।
দুই মহাদেশীয় ফাইনালে একই গল্প দুই তারকার। পর পর দুইবার ব্রাজিলের কাছে হারা আর্জেন্টিনা তখন জিততে মরিয়া। আর তারায় ভরা পর্তুগালকে ব্যর্থতা থেকে সফলতার মুখ দেখার আশায় পাগল পর্তুগাল।
প্রভাত
পরের আট বছর পর্তুগালের হয়ে দৃশ্যপটটা প্রায় একই রকম। দলের বড় বড় তারকাদের অবসরে যাওয়া, রোনালদোর ইংল্যান্ডে রেকর্ড গড়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া আর প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া রোনালদোর উপর ধীরে ধীরে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়া পর্তুগালের ফুটবল। ২০০৮ ইউরোতে জার্মানী, ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন আর ২০১২ ইউরোতেও স্পেনের কাছে হেরে বিদায় নিতে হল রোনালদোদের। তিনবারই টুর্নামেন্টের শুরুতে অসাধারণ পর্তুগাল, অসাধারণ রোনালদো। কিন্তু নক আউট পর্বে যেয়ে তিনবারই টুর্নামেন্টের ফাইনালিস্টদের কাছে হেরে বাড়ির পথে পা বাড়াতে হয়েছে পর্তুগালকে। তিনবারের মাঝে দুইবারই আবার সেই ফাইনালিস্টরা চ্যাম্পিয়ন খেতাব নিয়েই ঘরে ফিরেছে। নিজেদের ফিকচারের জন্য ভাগ্যকে যদি রোনালদো দোষ দেয় তাইলেও কিছু বলার নেই। ২৭ বছর পার করে ক্লাব ফুটবলে বিশ্বসেরাদের কাতারে চলে গেলেও অমরত্বের পথে শেষ ধাপ জাতীয় দলের জার্সি গাঁয়ে দিতেই পারছিল না ক্রিশ্চিয়ানো।
মেসির পরের সুযোগ আসে ২০১০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সাথে এক হয়ে। এর মাঝে ২০০৯-১০ মৌসুমের শেষে পেপ গার্দিওলার অধীনে মেসির কাঁধে ভর করে দুই বছরে সাত শিরোপা জিতে ফুটবল বিশ্বের অঘোষিত ঈশ্বর বার্সেলোনা। ক্লাবের মেসি পারবে কিনা জাতীয় দলের মেসি হতে তা নিয়ে পুরো মিডিয়ায় তখন হাহাকার।
গ্রুপ পর্ব শেষে নাইজেরিয়া, সাউথ কোরিয়া আর গ্রীসের জালে ৭ গোল দিয়ে মাত্র ১ গোল খাওয়া আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির কোন গোল নেই, শুধু অ্যাসিস্ট ১টি। দ্বিতীয় পর্বে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে নাকানিচোবানি খাওয়ানো ম্যাচেও ব্যক্তি মেসির খাতা শূন্য। কোয়ার্টারে জার্মানী বিপক্ষে যখন মেসির সাথে হিগুয়াইন, তেভেজ, ডি-মারিয়া, অ্যাগুয়েরো সকলেই ব্যর্থ হল তখন আর্জেন্টিনাকে পর্তুগালের পথে হেঁটে বিদায় নিতে হল টুর্নামেন্ট থেকে। সাথে এটাও প্রমাণ হল মেসি শুধু মাঠে থাকলেই হবে না, তার স্পর্শ ছাড়া আর্জেন্টিনার ট্রফি জেতাটা অসম্ভবই। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের সাথে সাথে আর্জেন্টিনা জুড়ে তোপের মুখে পড়া কোচ ম্যারাডনাকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপও এবার সঙ্গী হল মেসির।
নতুন করে শুরুর সুযোগ হিসেবে আর্জেন্টিনা আর মেসি পেল ২০১১ সালের কোপা আমেরিকা নিজেদের মাটিতে। কিন্তু গ্রুপ পর্বে ধুকতে ধুকতে পরের রাউন্ডে যাওয়া আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় রাউন্ডেই যখন পেনাল্টিতে উরুগুয়ের সাথে না পেরে বিদায় নিচ্ছে তখন পুরো ফুটবল বিশ্বই জানে মেসির দেশ এগোনোর বদলে পিছিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় দলের জার্সি গাঁয়ে ব্যর্থতা দিয়ে শুরু করা দুই নক্ষত্র ক্যারিয়ারের মধ্যাহ্নে আদৌ আলো ছড়াতে পারে কিনা তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকালের দ্বিতীয় পর্বের জন্য।
- 0 মন্তব্য