• অন্যান্য

খেলা,লেখা এবং প্যাভিলিয়ন

পোস্টটি ২৫৭০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশের কোন ম্যাচ নিয়ে যেমন আগ্রহ থাকত, তেমনি ম্যাচ-পরবর্তী বিশ্লেষণ বা রিপোর্ট নিয়েও আগ্রহ ছিল প্রবল।সাংবাদিকরা খেলাটাকে যেভাবে কালি ও কলমের ছোঁয়ায়, বর্ণ-শব্দের বুননে, বিভিন্ন উপমায় তুলে ধরতেন তা আমাকে বরাবরই টানতো।তখন থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতার প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা ছিল।প্রায়ই ভাবতাম "ইশ!আমিও যদি সাংবাদিক হতাম!" কিন্তু শুধু শব্দের সাথে শব্দ মেলালেই তো সাংবাদিকতা হয়না।অনেক কিছু জানা থাকতে হয়।

গত মাসে সাংবাদিকতার সেই 'অনেক কিছু' জানার সুযোগ করে দেয় 'প্যাভিলিয়ন'।প্যাভিলিয়ন আয়োজিত 'খেলা নিয়ে লেখা কর্মশালার' মাধ্যমে আমার মত খেলাপাগল-লেখাপাগল অনেকেই সুযোগ পেয়েছে খেলা নিয়ে লেখালেখির বিশাল সাগরে ছোট্ট একটা ডুব দেয়ার। একদিন ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ দেখি প্যাভিলিয়নের উদ্যোগে 'খেলা নিয়ে লেখা কর্মশালার' আয়োজন করা হয়েছে।চোখ আটকে গেল।তারপর দেখি এই কর্মশালার সঞ্চালক হিসেবে আছেন ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম।লোভ সামলাতে পারলাম না।সাথে সাথে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম।তখন থেকে অপেক্ষায় ছিলাম কবে কর্মশালা শুরু হবে।লেখালেখি করতে চাওয়া যেকারো জন্যই এত বড় একজন ক্রীড়া সাংবাদিকের সান্নিধ্য পাওয়া স্বপ্নের মত ব্যাপার।

কর্মশালা শুরু হওয়ার পর থেকে আমার কাছে খেলা এবং লেখা নিয়ে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে থাকলো।ভাবনার অনেক দুয়ার খুলে গেল।অজানা অনেক জিনিসই জানতে পারলাম।বুঝতে পারলাম লেখাটা আসলে কী,কেন এবং কিভাবে লেখতে হয়। লেখালেখির সংজ্ঞাটাকে নতুন করে জানলাম।অনেক কিছু শেখার মাঝে নতুন করে যা শিখেছি তা হল - ব্যবহার।এত বড়মাপের একজন সাংবাদিক হয়েও ইসাম ভাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ,আন্তরিক ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে।তার শেখাতে চাওয়ার মাঝে যে আন্তরিকতা সেটাই তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

লেখালেখি নিয়ে কর্মশালা খুব একটা দেখা যায়না।প্যাভিলিয়নকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা সুন্দর উদ্যোগের জন্য।তাদের প্রত্যেকের ব্যবহারও ছিল অসাধারণ।বিশেষ করে রিয়াদ ভাই,শিহাব ভাই,অম্লান ভাই প্রত্যেকেই ছিলেন ভীষণ আন্তরিক,সহযোগিতাপূর্ণ।প্যাভিলিয়নকে অনুরোধ জানাবো ভবিষ্যতেও তারা যাতে এই কর্মশালার আয়োজন অব্যাহত রাখে।এতে করে লেখালেখি নিয়ে আগ্রহী অনেকেই তাদের স্বপ্নের পথে হেঁটে যাওয়ার পথ খুঁজে পাবেন।