• ক্রিকেট

অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার - যে ফুলের সুবাস মেখেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

পোস্টটি ৪০৮৫ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, মারে গুডউইন, স্টুয়ার্ট কার্লাইল, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, পল স্ট্র্যাং, হেনরি ওলোঙ্গা, নিল জনসন, গাই হুইটাল, অ্যান্ডি ব্লিগনট - জিম্বাবুয়েকে নিয়ে নস্টালজিয়া থাকলে এই নামগুলো আসবে -ই। তবে এর বাইরে আলাদা করে জ্বলজ্বল করবে একটা নাম - অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মানেই একটা সময় জিম্বাবুয়ের প্রতীক।

১৯৯৭-২০০২ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের নন্দন-কানন ছিল ফুলে ফুলে ভরা। সেই বাগানে সবচেয়ে সৌরভ ছড়িয়েছিলেন সম্ভবত যিনি-কাকতালীয়ভাবে তার নামও ফ্লাওয়ার! নিজের সময়ের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান তো বটেই। যদি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেখানেও অনেক রথী-মহারথীকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি হয়তো আপনার স্বপ্নের সমান বড় কেউ ছিলেন না। কিন্তু নিজের দিনে ক্যামেরার চোখ খুঁজে নিয়ে কাভার ড্রাইভ কিংবা প্রিয় স্লগ সুইপে ঠিক -ই ক্যামেরাটা নিজের দিকে তাক করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।

আধুনিক উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যানের মূল বিপ্লবটা ঘটেছিল অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের হাতে ধরে। যখন আপনি দেখছেন- উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫৫ টেস্টে ফ্লাওয়ারের ব্যাটিং গড় ৫৩.৭০। বাকি থাকা ৮ টেস্টে ব্যাটিং গড় কমে হয়ে যায় ৩৫.৪৫। সাথে যোগ করে নিন দুই ফরম্যাটে - ৩৩৩ টি ডিসমিসাল।

আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ঠিক কি কারণে আধুনিক ক্রিকেটে এসে উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যানদের থেকে দলের প্রত্যাশার পরিমাণ বেড়ে গেছে। অ্যান্ডি পূর্ববর্তী সময়ে উইকেট-কিপারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় লেস অ্যামিসের (ইংল্যান্ড) ৪৩.৪০। অ্যান্ডি পরবর্তী সময়ে সে গড় বেড়ে দাঁড়ায় এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৫৮.২৬ এবং গিলক্রিস্টের ৪৭.৬০। সেখানে অ্যান্ডির ব্যাটিং গড় ৫৩.৭০। আরেকটা পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য করা যাক - অ্যান্ডির পূর্ববর্তী বিভিন্ন শতকের উইকেট-কিপারদের সর্বোচ্চ গড় যেখানে ২২.৯৬। অ্যান্ডি পরবর্তী সময়ে সেটা দাঁড়ায় ৩২.৪১। সেখানে অ্যান্ডির সময়কালে গড় ২৭.৭৬।

একই ফরম্যাটে উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যান্ডির কাছাকাছি ব্যাটিং গড় অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ৪৭.৬। চল্লিশের ঘরে ব্যাটিং গড় আর মাত্র একজনের - ম্যাট প্রায়র ৪০.১৮। বাকিরা বেশ পিছিয়ে। প্রতি ইনিংস ডিসমিসালে অবশ্য গিলক্রিস্ট এগিয়ে। ফ্লাওয়ার যেখানে ১০৭.৪৬২৪ গড়ে প্রতি ইনিংসে ১.৫৭২ টি ডিসমিসাল করেছেন। সেখানে গিলক্রিস্ট ১২২.০৮৭৬ গড়ে করেছেন ২.১৭৮ টি ডিসমিসাল।

ব্যাটিং এবং ডিসমিসাল দুজনের কাছাকাছি আর কেউ নেই। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার আবার আরেকটা জায়গায় অনন্য - সেই ২০০০ সালে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে বছরে হাজার টেস্ট রানের কোটা পার করেছিলেন।

1255609-1489495969-800

অ্যান্ডির জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ১৯৬৮ সালের আজকের দিনে। কেপটাউনে জন্ম হলেও বাবার পূর্বপুরুষদের দেশ জিম্বাবুয়েতে পাড়ি জমালেন - বয়স তখন ১০। সেখানেই স্কুল ক্রিকেটের হাতেখড়ি। ব্যাটসম্যান, উইকেট-কিপার, অধিনায়ক ত্রি-ফলা দায়িত্বে যে পারঙ্গম তিনি আভাস পাওয়া গিয়েছিল স্কুল ক্রিকেটের সময়ে -ই। কোন এক স্কুল ম্যাচে বিপক্ষ দল ২০০ রানের উপরে টার্গেট দেয় অ্যান্ডির নর্থ পার্ক স্কুলকে। তাড়া করতে নেমে রানআউট হয়ে অ্যান্ডি যখন ফিরছেন তখন নামের পাশে ১১৬ রান। স্কুল ক্রিকেট থেকে 'নট-আউট' শব্দের সঙ্গে দারুণ মিতালি ছিল অ্যান্ডির। প্রতিপক্ষ তাকে দিনের পর দিন আউট করতে না পারার হতাশায় পুড়তে হয়েছে।

ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যান্ডির মধুর সময় বলা চলে সেপ্টেম্বর ২০০০- নভেম্বর ২০০১। এই সময়ে খেলা ১৩ টেস্টে করেন ১৬৩০ রান। ১০৮.৬৭ গড়টা দেখে যে কারো কাছে ব্র্যাডমনীয় ঠেকবে! তবে নিজে এমন অতিমানবীয় খেললেও দল হিসেবে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে সেভাবে সাফল্য পাননি। নিজের খেলা ৬৩ টেস্টে গিটারে বিজয়ের সুর উঠেছিল সাকুল্যে সাত ম্যাচে।

অধিনায়ক হিসেবে ও অ্যান্ডির সঙ্গে জড়িয়ে ছিল আরেকটি দারুণ প্রথম। তার নেতৃত্বে প্রথম টেস্ট জয় পায় জিম্বাবুয়ে। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম - জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির স্মারক হারারে স্পোর্টস ক্লাবে পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে এ জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার করেছিলেন ১৫৬ রান। 'ফ্লাওয়ার ভাইদের'- ছোটজন গ্র্যান্ট ২০১ রানে অপরাজিত থাকেন। দু'জন মিলে ২৬৯ রানের জুটি গড়ে 'চ্যাপেল ভাইদের' আগের সর্বোচ্চ রানের জুটি ভেঙে দেন। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে অ্যান্ডির ব্যাটিং গড় ৪৯.২৮ দেখে আপনি বলতে পারেন- 'চাপ' বলে আসলে কোন শব্দই নেই!

andy_flower_and_henry_olonga_made_a_brave_move_1549775159

২০০৩ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে শেষবার জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে চাপান অ্যান্ডি। সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গার সাথে সেই 'বিতর্কিত' কান্ড আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ব-ব্যাপী। যে ঘটনা অ্যান্ডির ক্যারিয়ার শেষের বার্তা দিয়েছিল। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে তখন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার উত্তেজনায় কাঁপছে। ঠিক ওই সময় -ই হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ক্রিকেটারদের এক কাণ্ডে বিশ্বকাপ উত্তেজনা বাঁক নেয় ভিন্নপথে। স্বদেশভূমিতে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে - সাংবাদিকদের ডেকে এনে একটা বিবৃতি দিলেন। ঘটনার নেতৃত্বে অ্যান্ডি আর সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গা। বিবৃতিতে জানালেন -

"সকল দিক ভেবে-চিন্তে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় পর্যন্ত কালো ব্যান্ড পরিধান করে খেলতে নামব। গণতন্ত্রের হত্যার বিপক্ষেই আমরা এটা করেছি। নীরব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত কারণেই তা করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের ছোট্ট কর্মকাণ্ডই দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সংহতি ফিরিয়ে আনবে।"

জিম্বাবুয়েতে তখন চলছে রবার্ট মুগাবের জমানা। বিবৃতি অনুযায়ী দলের সেরা দুই খেলোয়াড় মাঠে খেলতে নামলেন কালো আর্মব্যান্ড জার্সিতে বেঁধে। গনতন্ত্রের জন্য নেতার ভূমিকায় সেই নীরব প্রতিবাদ অ্যান্ডির ক্যারিয়ার শেষের ঘন্টাকে আরো প্রতিফলিত করেছিল।

উপমহাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বিশেষ করে ঘরের মাঠে ভারত নিয়ে একটা প্রচলিত কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। সফরকারী দলের ব্যাটসম্যান পিচে নামবে আর স্বাগতিক অধিনায়ক স্পিনারদের লেলিয়ে দিবেন। আর তাতেই ব্যাটসম্যানরা মাঝসাগরে খাবি খাবেন। কিন্তু অ্যান্ডির বেলায় আপনি প্রচলিত কথাটার অপ্রচলিত দিকটা দেখতে পাবেন।

পরিসংখ্যান বলে টেস্টে অ্যান্ডির প্রিয় প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ১৯৯৯-২০০০ সিজনের ভারত সিরিজে দুই টেস্টে অ্যান্ডির চারটি ইনিংস এরকম ছিল - ১৮৩, ৭০, ৫৫, ২৩২। সেই সিরিজে টানা ৭ ইনিংসে ফিফটির রেকর্ড গড়েন অ্যান্ডি। যে ভারতের মাটিতে স্পিন বিষে নীল হয়েছেন বিশ্বের বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যান। সেখানে অ্যান্ডির ব্যাটিং গড় ১১৭.১৪! ভারতের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট ইনিংসে তার রান ৮২০। এর মধ্যে আছে তিনটি সেঞ্চুরি আর চারটি হাফ সেঞ্চুরি। সেরা ইনিংসটা ২৩২ রানের।

'ঘরে বাঘ, বাইরে বিড়াল' - এই প্রবাদটা অনেক ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে সহজেই মিলে যাবে। যখন ঘরের মাঠ আর প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান দেখতে যাবেন। কিন্তু অ্যান্ডির ক্যারিয়ারে ঘরের মাঠ আর প্রতিপক্ষের মাঠ আলাদা করা -ই ছিল দুষ্কর। ঘরের মাঠে অ্যান্ডির ব্যাটিং গড় ৫১.৮১ সেখানে প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাটিং গড় ৫১.২৬ - দুটোই বয়েছে সমানতালে।

অ্যান্ডি ছিলেন সেই সময়ে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং লাইনআপের দোতারায় সুর তুলার আসল কারিগর। যেখানে বাকি ব্যাটসম্যানরা সেই সুরের তালে তাল মেলাতেন। ১৯৯৯-২০০০ সিজনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে যখন ব্যাটিংয়ে নামেন দলের স্কোর ০/৩। শ্রীলঙ্কার বোলার নুয়ান জয়সা হ্যাটট্রিক করে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডার। অ্যান্ডি খেলেন ৭৪ রানের দুদান্ত একটি ইনিংস। একই সিজনে কুইন্স পার্ক ওভালের বোলিং স্বর্গ পিচে দুইদলের কোন ব্যাটসম্যান যেখানে ফিফটিরও দেখা পাননি সেখানে অ্যান্ডি খেলেন ১১৩ রানের দৃঢ়চেতা এক ইনিংস।

কালের অতলে হারিয়ে যেতে থাকা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ যখন স্মৃতি হাতরে খুঁজে নিতে হয়। তখনো অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার নামটা কেনো এত উজ্জ্বলভাবে ক্রিকেটের মহীরুহদের কাতারে উচ্চারিত হয়। তখন আপনার কাছে ছোট্ট একটা প্রমাণচিত্র পেশ করতে হয়। আইসিসির সর্বকালের সেরা ৪০ জন টেস্ট ব্যাটসম্যানের একজনের নাম - অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। তালিকায় রয়েছেন তার সময়ের সেরা দুই ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা (২৩ তম) এবং শচীন টেন্ডুলকার (২৯ তম)।

রঙিন পোশাকে ও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন অ্যান্ডি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে অ্যান্ডির ওয়ানডে অভিষেক হয়। এরপর থেকে তিনি পরের তিনটি বিশ্বকাপে -ই খেলেন। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। দুই মেয়াদে তিনি দলের অধিনায়ক ছিলেন। অভিষেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন। ওয়ানডে অভিষেকে তৃতীয় এবং বিশ্বকাপ অভিষেকে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অ্যান্ডি।

হাল ধরবেন বলে টাটেন্ডা টাইবু, ব্রেন্ডন টেলর, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা - অনেকেই এসেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। কিন্তু আরেকজন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার পাওয়া হয়নি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের। তাইতো অবসরের সতের বছর পরও টেস্ট, ওয়ানডে - দুই ফরম্যাটে -ই জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের নামের পাশে লিখতে হয় অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।

flower121001-min

অ্যান্ডির মতো এমন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী খুব কম দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। উইকেট-কিপার, ব্যাটসম্যান, অধিনায়কের পর কোচ হিসেবে সফল হয়েছেন পরবর্তী সময়ে। পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর দুই বছরের মাথায় সহকারী কোচ থেকে একই দল ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান অ্যান্ডি। ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছেন দুটি অ্যাশেজ শিরোপা - যার একটি ইংল্যান্ডে, আরেকটি অস্ট্রেলিয়ায়।

তার অধীনেই ২৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়া থেকে অ্যাশেজ নিয়ে ঘরে ফেরে ইংল্যান্ড। একটি বৈশ্বিক শিরোপার জন্য যে ইংল্যান্ডের হাহাকার ছিল - পল কলিংউডের নেতৃত্বে ২০১০ সালে সেটি -ই ঘরে তুলে ইংল্যান্ড। কোচ ওই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। তার অধীনেই একই বছর টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সাথে অ্যান্ডির দীর্ঘ এক যুগের বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে ২০১৯ সালে।

যখন ছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এগিয়েছে তরতরিয়ে। যখন ছাড়লেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট পিছিয়েছে সেই আগানোর হারে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, বোর্ডের দুর্নীতি তাই খেলোয়াড়ি জীবনের শেষে নিজেকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট থেকে আড়াল করে - সেচ্ছা নির্বাসনে পাড়ি জমিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে হয়েছেন ইংল্যান্ডের ঘরের ছেলে। দিনে দিনে সমৃদ্ধ করেছেন পরের ঘর।

শুভ জন্মদিন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।