• ক্রিকেট

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ভাবনা

পোস্টটি ৬৬১৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়েছে অনেক পথ। এখন আমরা বিশ্বের যেকোন দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি এটা আজ আর কোন কল্পনা নয়। বিশেষ করে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের দক্ষতা বর্তমানে অনান্য শক্তিশালী দেশ গুলোর থেকে যে কোন অংশে কম নয় তা বিগত কয়েকবছরে প্রমান করে দিয়েছে। প্রতিটি দেশই এখন বাংলাদেশকে আর ছোট দল হিসেবে মনে করে না। আর তার কারণও রয়েছে। বাংলাদেশ দলে রয়েছে বেশ কয়েকজন বড় তারকা যারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সফলভাবে খেলে চলছে। সাকিবকে এখন বিশ্ব তারকা বললে ভুল হবে না। কারন তার মত সফল অলরাউন্ডার দেশের জন্য স্বপ্ন। সাকিবের জন্য কোন বিশেষণ যথেষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটে বলে তারমত নৈপুণ্য ধারে কাছেও কেউ নেই। যেকোন দলের অধিনায়কের জন্য সাকিব বিরাট সম্পদ,ভরসার নাম। তামিম, মাশরাফি, মুশফিকুর, মোস্তাফিজুর, মহামদুল্লাহ এরাও দলের অন্যতম তারকা।এদের যেকেউ যেকোন পরিস্থিতিতে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন তা আমরা বহুবার দেখেছি।

বর্তমানে বাংলাদেশ যেভাবে একটি দল হিসেবে খেলে সফল হচ্ছে তা কিন্তু সম্ভব হচ্ছে ৫/৬ জন একসাথে বেশ কয়েকবছর ধরে খেলে যাওয়ার জন্য। আজকের দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার খুবই অভিজ্ঞ আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা দেশের জন্য সাফল্য এনে দিতে পারছে।একসাথে কয়েকজন নামী, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সেবা পাওয়া সত্যি খুব ভাগ্যের ব্যাপার।তাই নিঃসন্দেহে বলা চলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন সোনালী সময় পার করছে।এই সোনালী সময় কিন্ত একসময় ছেদ পড়বে। কারন যাদের হাতধরে এই স্বর্ণালী সময় তাদের সবাই ২/৩ বছরের ব্যবধানে অবসর নিয়ে নেবে। একসাথে এতদিন খেলে যাওয়ার পরে তাদের অবসরে একটা শূন্যতার সৃষ্টি হবে। এই বিশাল শূন্যতাকে পূরণ করে দলকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়াই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও দল নির্বাচকদের কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারন একটি শক্তিশালী দল তৈরি করাটা যতটা কঠিন তারচেয়ে কঠিন সেই দলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সন্দেহ নেই। শুধু বাংলাদেশ কেন এরকম অবস্থার মধ্যে সব দেশকেই পড়তে হয়েছে,ভবিষ্যতেও হবে।এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যে দেশ যত দ্রুত এই শূন্যতা পূরণ করতে পেরেছে তারা ততটাই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়েছে। এটাতো বাস্তব  অধিনায়ক মাশরাফি বা অলরাউন্ডার সাকিবের বিকল্প হয় না,হবেও না। কিন্ত এটাও বাস্তব তাদের জায়গায় কাউকে না কাউকে বেছে নিতেই হবে।সেই প্রক্রিয়া আগে থেকে শুরু করাই উত্তম। অভিজ্ঞরা দলে থাকতেই  নতুনদের খেলোয়াড়কে আরও বেশি করে সুযোগ দেয়া উচিৎ যাতে করে বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলাটা রপ্ত করতে পারে। যে যত প্রতিভাবান হোক না কেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে না খেলতে পারলে তার সেই প্রতিভার বিকাশ সঠিকভাবে হয় না।

বিশ্বের অনান্য শক্তিশালী দল কিভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করে তা থেকে আমরা অভিজ্ঞতা নিতে পারি। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া এবং তারাই এ ধরনের পরিস্থিতি সবচেয়ে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।বিগত চার দশক ধরে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে ধারাবাহিকতার দিক থেকে অজিদের ধারে কাছে কেউ নেই।এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের শূন্যতা খুব দ্রুততার সাথেই পূরণের কারনে। আর সেকারণেই দশকের পর দশক ধরে তারাই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে যেতে পারছে। অস্ট্রেলিয়ার নবাগতদের দেখে মনে হয় প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের বিকল্প তৈরিই আছে,এমনকি অধিনায়কও। অ্যালান বর্ডার থেকে রিকি পন্টিং বা স্টিভ স্মিথ এদের প্রত্যেকেই শুরু থেকেই তাদের অধিনায়কত্বে যথেষ্ট পরিক্কতার ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনটা কিন্তু কোন কাকতলীয় ব্যাপার না। এর পেছনে অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ডের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এসব সফল দেশের প্রতিভা অন্বেষণ থেকে শুরু তাদের বয়স ভিত্তিক দল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার জন্য উপযোগী করে তোলার প্রক্রিয়া, পরিকল্পনা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের দেশের ক্রিকেট দলের জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারে।

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি শক্তিশালী 'এ' দল গড়া প্রয়োজন।আমাদের দেশে জাতীয় দলের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অর্থ হচ্ছে ক্রিকেটার হিসেবে সে অযোগ্য।তাই ক্রিকেট বোর্ডকে অবশ্যই 'এ' দলের খেলোয়াড়দের আত্নবিশ্বাস দিতে হবে যাতে তারা মূল দলে জায়গা না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে।তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।অস্ট্রেলিয়ার মত শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর 'এ' দলের ক্রিকেটারদের কিন্তু মূল দলের বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলা হয়।মূল দলের যেকোনো ক্রিকেটার ইনজুরি কিংবা অন্য যে কোন কারনে দলে জায়গা হারালে 'এ' দল থেকে সেই শূন্যতা পূরণ করা হয়।তাই তাদেরকে মানসিকভাবেও তৈরী রাখা হয় যাতে হঠাৎ সুযোগ পেয়ে দেশের জন্য সেরাটা দিতে সক্ষম হয়।আমাদের দেশে 'এ' দলের ক্রিকেটারদের অতটা গুরুত্ব দেয়া হয় না।তাই তাদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করা হয় না যাতে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারে।শক্তিশালী 'এ' দল ছাড়া ভাল ব্যাকআপ ক্রিকেটার পাওয়া সম্ভব হয় না।তাই নির্বাচকদের হাতে জাতীয় দলের জন্য খেলতে প্রস্তুত এমন খেলোয়াড় থাকে না। এরফলে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ কোন খেলোয়াড় ইনজুরির কবলে পড়লে তার বিকল্প নাম বাছতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় বিকল্প হিসেবে যাকে নেয়া হয় সে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে তৈরিই না। অথবা সুযোগ পেয়ে ভাল করার জন্য ক্রিকেটারের উপর চাপ থাকে যে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যার্থ হয়। ফলে প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তারা ঝড়ে পড়ছে। এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মেহবার হোসেন,শাহারিয়ার নাফিস, বিকাশরঞ্জন, নাফিস ইকবাল,অলোক কাপালী, জিয়াউর রহমান,তাপস বৈশ্য,সোহাগ গাজী এমন আরও কত প্রতিভা যে বিকশিত হওয়ার আগেই বিলীন হয়েছে তা শেষ করার নয়। অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা  মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট যত না প্রতিভা পেয়েছে হারিয়েছে তার চেয়ে বেশী।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আলোচিত প্রতিভা সৌম্য সরকার, লিটন দাস,সাব্বির রহমান,মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।ভবিষ্যতে এরাই তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহদের জুতায় পা গলাবে।তাদের খেলার ধরন দেখে মনে হয় তারা অতিরিক্ত চাপে রয়েছে অথবা প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই আত্নবিশ্বাসী।কিন্তু সত্য হল,এই মুহুর্তে তাদেরকে ধাপে ধাপে চাপ সামলানোর সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আর সেটা করতে অগ্রজদের তুলনায় আর ভাল শিক্ষক কেউ হতে পারে না।

 

images-4

বর্তমান সময়ে দলে একটি প্রকৃত লেগস্পিনারের অনুপস্থিতি একটি সমস্যা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুব ভাল বিকল্প বিশেষ করে ব্যাটিং সহায়ক পিচে। জুবায়ের হোসেন উঠে এসেছিল অনেক আশা নিয়ে।কিন্তু নিয়মিত ভাবে সুযোগ না পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি।সম্প্রতি আমিনুল ইসলাম বেশ আগুন ঝরিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক করেছে।যেসব নবীন লেগ স্পিনার উঠে আসছে তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করে ক্রমশঃ আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আশাকরা যায় অদূর ভবিষ্যতে লেগ স্পিনার নিয়ে হতাশা আর থাকবে না।

তিন ফরম্যাটের জন্য একজন যুৎসই অধিনায়কও বেছে নেয়া আগামীর চ্যালেঞ্জ হতে পারে। অধিনায়ক মাশরাফি অতুলনীয়। নিঃসন্দেহে সে বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। সকল ভেদাভেদ ভুলে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে একত্র করার ক্ষমতা আজ অবধি অন্য কোন অধিনায়কের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।দলের সবার উপর অগাধ বিশ্বস্ততা রয়েছে তার।যে কারণে দলের মধ্যে মাশরাফি শ্রদ্ধা আর সম্মানের পাত্র।তার নেতৃত্বেই উত্থান ঘটেছে দেশের ক্রিকেটের। মাশরাফির অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট দুটিতে যা বাংলাদেশের সেরা অর্জন।এছাড়া তার নেতৃত্বেই তিনটি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব রয়েছে টাইগারদের। আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে প্রথমবার বাংলাদেশকে বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের স্বাদ দিয়েছেন মাশরাফি। তার নেতৃত্বে ৮৮টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ; যার মধ্যে ৫০ টি ম্যাচেই জিতেছে টাইগাররা আর হেরেছে মাত্র ৩৬টিতে। আর কোনো অধিনায়কই দেশকে ৫০ ভাগের বেশি ম্যাচ জেতাতে পারেনি। তাই বোলার মাশরাফির তুলনায় অধিনায়ক মাশরাফির শূন্যতা পূরণ করা আসলেই কঠিন।বর্তমানে তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক। সাকিব নিষেধাজ্ঞা থেকে খেলায় ফিরলে নির্বাচকরা অধিনায়কত্ব নিয়ে কি নীতি গ্রহণ করে সেটা সময়ই জানান দেবে।যদি তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক নীতি অনুসরণ করে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিনায়ক গড়ে তুলতে T20 দলের নেতৃত্বে নতুন কাউকে অনাই উত্তম।কেননা মাহমুদুল্লাহ যে ভবিষ্যৎ নয় এটা বাস্তব। ২০২০ এর T20 বিশ্বকাপ করোনার কারনে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাই পরবর্তী T20 বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন কোন তরুণ ক্রিকেটারকে ২০ ওভারের ক্রিকেট দলের দায়িত্ব দিয়ে সম্পূর্ণ তারুণ্য নির্ভর দল গড়া দরকার।যেহেতু T20 ফরম্যাটে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত দুর্বল তাই দল নিয়ে নির্বাচকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই পারেন।

images-3বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সাকিবের মত একজন মহান খেলোয়াড় এবং মুশফিকুর,তামিম,মনিমুলের বেশ কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় পেয়েছে। লিটন,সৌম্য মুস্তাফিজুররা পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্ভবত মেহেদি হাসান মিরাজের মধ্যে আগামী দিনের বিশ্বতারকা হয়ে ওঠার যাবতীয় মশলা রয়েছে।তবে নবীন খেলোয়াড়দের আরও কিছু সময় দিতে হবে যাতে তারা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে পরবর্তী তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।সমর্থক,সমালোচকদের ধৈর্ষ ধরতে হবে। আর নির্বাচকদের অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সব উদীয়মান খেলোয়াড়রা যেন পর্যায়ক্রমে সমান সুযোগ পায়।

একটি ভাল দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পেতে খেলোয়াড়দের সক্ষমতার পাশাপাশি বাহ্যিক কিছু বিষয় থেকেই যায়। যা দলকে নেতিবাচক সংক্রমনে আক্রান্ত করে।এই বিষয়গুলো অদৃশ্য শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং দল গঠন থেকে শুরু করে খেলার ফালাফলেও এর প্রভাব বিস্তার করে। আর আমাদের দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এই অদৃশ্য হাতের শক্তির শেকড় অনেক গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।তাই করোনার ন্যায় এই অদৃশ্য শক্তির সংক্রমনের হার যতটা রোধ করা সম্ভব বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এগিয়ে যাওয়ার পথ ততটাই মসৃন হবে।