• ক্রিকেট

আশার তাসকিনে হতাশা

পোস্টটি ৬০০০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

খাঁটি তারুণ্য এমন একটি বিষয় যা প্রশংসা পেতে পারে,বিস্মিত করতে পারে,সমীহ আদায় করতে পারে।কোন কোন সময় এটিকে উপেক্ষা করা যায়,অপছন্দ করা যায়। কখনওবা এটি সম্পূর্ণরূপে বিরক্তকর হতে পারে।তবে তারুণ্য এমন একটি আকর্ষণীয় ব্যাপার যা কেউ অবহেলা করতে পারবে না।বিশেষত সেই তরুণ যদি বাঁহাতি স্পিনার তৈরীর উর্বরভূমি থেকে উঠে আসা কোন এক ফাস্টবোলার হয় যে ধারাবাহিক ভিত্তিতে ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করতে পারে আর যদি সে বিশ্বসেরা ভারতীয় ব্যাটিংকে তছনছ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করে তাহলে তো সেই তারুণ্যে যতই অপরিপক্কতা থাক না কেন তা উপেক্ষা করা আসলেই কঠিন।

একজন ক্রিকেট দর্শক হওয়ার ভাল,মন্দ দুটো দিকই রয়েছে।আমরা ঘন্টা,দিন,কয়েক মাস বা বছর ধরে বিশেষ কিছু ঘটতে না দেখছি না।তারপর হঠাৎ করেই বিশেষ কিছুর দেখা মেলে অথবা একটি বিশেষ প্রতিভার আগমন।সেই সময়টাতে শুধু চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয় "হ্যাঁ,হ্যাঁ এটাই তো !"  তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে আগমন সেই দুর্লভ মুহুর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।সহজাত বোলিং একশন,আগুন ঝরানো গতি আর বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় ধরানো।আর সেই সাথে ম্যাজিকের মতো সুইং।

কথা হচ্ছে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে,বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম গতিদানব। এক আর্দশ জোরে বোলারের কথা মনে পড়লে যে লম্বা চওড়া চেহারা চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাসকিন অনেকটা তেমন।এমন দীর্ঘদেহী গতিময় বোলার দেশের ক্রিকেটে খুব একটা আসেনি। লম্বা রান আপ নিয়ে লম্বা এক বোলার ছুটে আসছে,পেস-বাউন্স দিয়ে ব্যাটসম্যানদের তটস্থ করে রাখছে। প্রতিপক্ষ জোরে বোলারদের দ্বারা রচিত এ ভয়ংকর দৃশ্যপট শুধু আমাদের ব্যাটসম্যানরা এতদিন দেখেই এসেছে। তাসকিনের আগমনে এবার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের সেই ভয়ংকর দৃশ্যের ফিরিয়ে দেয়ার পালা।২০১৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে স্বপ্নের অভিষেক।এর দুই মাস আগে T20 ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার  বিপক্ষে অভিষেক।তাকে যার পূর্বসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই মাশরাফির পরিবর্তে দলে আসে।সেই ম্যাচে মারকুটে ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে প্রচারের আলোয় আসেন।ক্রমশ নিজেকে দলে অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে।পরবর্তী দুই বৎসর সে ক্রিকেট জগতে দাপিয়ে বেড়ায়।এরমধ্যে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে বড় আসরে খেলার দৃঢ় মাসিকতার জানান দেয়। শুরু হয় তাসকিনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার।ডানহাতি তাসকিনের গতি আর বাঁহাতি মুস্তাফিজের বৈচিত্র্য বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিংয়ে সুবাতাস বইয়ে দেয়। তাসকিন-মুস্তাফিজ জুটিকে ওয়াকার-ওয়াসিম জুটির মত সেরা হয়ে উঠবে এমনটাই চর্চা চলছিল।

সব স্বপ্ন , সব আশা বোধহয় মানুষের পরিকল্পনা অনুযায়ী পূরণ হয় না।সাল ২০১৪ থেকে ২০২০, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেয়ার জায়গা থেকে তাসকিন আপাতত সাইড লাইনে।তাকে নিয়ে দেশবাসীর যে স্বপ্ন সেটাও আপাতত ফিকে।গেল ছয় বছরে মাত্র ৫ টেস্ট,৩২ ওয়ানডে আর ১৯টি T20 খেলেই তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। অথচ সে ছিল দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়।কিন্তু দুর্ভাগ্য যখন চেপে বসে তখন সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা ভীষন কষ্টকর হয়ে ওঠে।২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তাসকিনের সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রথম ধাক্কাটা আসে।তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যখন ২০১৬ সালের মার্চে তার বোলিং একশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।তার খেলার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আইসিসি।তাসকিন নিজের বোলিং একশন শুধরে নিতে কঠোর পরিশ্রম করে  ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরে।ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাত উইকেট নিয়ে তার সাফল্যের ধরা অব্যাহত রাখে।এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে টেস্ট অভিষেক ঘটে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে।আবার ধাক্কা, এবার খারাপ ফর্মের কারণে এক বছরের মধ্যে তাকে আবারও দলের বাইরে চলে যেতে হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বাউন্সি পিচে বলার তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি।একদিনের খেলায় তাসকিন যেভাবে প্রভাব বিস্তার করে শুরু করেছিল।টেস্টে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না।দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সবার নজর ছিল তার উপর।কিন্ত একটি দীর্ঘ সফরে সব ফরম্যাট মিলিয়ে মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছিল।তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগও উঠেছিল যে সে মাঠে চটপটে না, তার অনুশীলন ও প্রচেষ্টায় দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা,কোচিং স্টাফরা অসন্তুষ্ট হয়েছিল।

তাসকিন যে দাপুটে নৈপুণ্য দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিল তাতে ম্যাচের পর ম্যাচ তার উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়ছিল।একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটারকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী প্রত্যাশার চাপটা অনেকটা পাথর বোঝাই ট্রাকের মত ভারী হয়ে উঠছিল।চাপের মধ্যে থেকে নির্ভার হয়ে খেলে যাওয়ার টোটকাটা তাসকিনকে কেউ জানাতে পারেনি অথবা সে রপ্ত করতে পারেনি।কারণ একজন তরুণ প্রতিভা যখন উচ্চ স্তরে সফলভাবে খেলতে শুরু করে তখন তার উপর সমর্থকদের প্রত্যাশা চড়তেই থাকে।সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে নিয়ে সাফল্যের সাথে খেলে যেতে পারলে তবেই কিংবদন্তি হয়ে ওঠা সম্ভব।যেমনটি করতে পেরেছে সাকিব শচীনের মত গ্রেটরা।কিন্তু চাপমুক্ত হয়ে না খেলতে পাড়ার প্রভাব তার খেলায় প্রকট হয়ে উঠেছিল।

গত দুই বছরে ক্যারিয়ারে চোট লেগেই ছিল। যে কারনে চোট থেকে দলে ফিরে থিতু হতে না হতেই আবার চোটে পড়া ছিল এই সময়ের মুখ্য শিরোনাম। এরফলে তাসকিনের বোলিংয়ে আগুনের তেজ ক্রমশ মিইয়ে যেতে থাকে।তবে কঠিনতম পরিস্থিতিতে থেকেও দলে ফিরতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না তার।২০১৮-১৯ এর বিপিএলের আসরে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ২২টি উইকেটে নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির দিক থেকে দ্বিতীয়।আর পেসারদের মধ্যে সবার উপরে।জাতীয় দলে সুযোগ করে নিতে তাসকিনের সেই প্রয়াস প্রশংসার যোগ্য। নির্বাচকদের বিশ্বকাপ ভাবনায় তাসকিন ছিল সর্বাগ্রে।এমন ফেরার পর তার চোখ যখন বিশ্বকাপে ঠিক সেই মুহূর্তে নিজেদের শেষ ম্যাচে চোট।বিশ্বকাপ তখনও অনেক দূর।তাই বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কথা না।কিন্তু পায়ের গোড়ালির চোটটা যে এত গুরুতর হবে সেটা সেই সময় কেউ হয়ত ভাবেনি।দীর্ঘদিন পর চোট সরিয়ে মাঠে ফেরা হলেও বিশ্বকাপের মত গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে পূর্ন ছন্দে বল করার মত শারীরিক অবস্থা না থাকার কারনে নির্বাচকরা তাসকিনকে ছাড়াই দল ঘোষণা করে।সেইসাথে লাগাতার দুই বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে উড়তে থাকা তাসকিন যেন আকাশ থেকে পড়ে।

 

       তাসনকিনের জীবনায়নের ঘটনাপঞ্জি

এপ্রিল ২০১৪: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৪ বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আন্তর্জাতিক অভিষেক

জুন ২০১৪: ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট

মার্চ ২০১৫: ২০১৫ বিশ্বকাপে নয়টি উইকেট

মার্চ ২০১৬: ২০১৬ বিশ্বকাপ T20 তে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং একশনের জন্য খেলায় নিষেধাজ্ঞা

সেপ্টেম্বর ২০১৬: অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে পরীক্ষা শেষে বোলিং থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

সেপ্টেম্বর ২০১৬: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ৫৯ রানে ৪ উইকেট

অক্টোবর ২০১৬: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি স্মরণীয় স্পেলে ৪৭ রানে ৩ উইকেট

জানুয়ারী ২০১৭: টেস্ট অভিষেক

এপ্রিল ২০১৭: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে হ্যাটট্রিক

অক্টোবর ২০১৭: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছয় ম্যাচে মাত্র দুটি উইকেট

জানুয়ারী ২০১৮: বাংলাদেশ দল থেকে বাদ

মার্চ ২০১৮: আবার বাদ পড়ার আগে শ্রীলঙ্কায় নিদহাস ট্রফিতে খেলা

তথ্যসূত্র: www.espncricinfo.com

 

শুধু চোট আঘাতই তাসকিনের একমাত্র শত্রু নয়।যে গতির ঝড় তুলে সে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল আজ তা ম্রিয়মাণ।গত দুই বছরে ঘন্টায় ১২০-১২৫ কিলোমিটারের বেশি গতি তুললে পারেনি।২০১৮সালে খেলা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচেও তার গতি ঘন্টায় ১২৫ কিলোমিটারের উর্দ্ধে যায়নি।এর ফলে তার বোলিংয়ে পুরোনো ঝাঁঝ হারিয়ে নির্বিষে পরিণত হয়। অথচ এই তাসকিন ক্যারিয়ারের শুরুতে নিয়মিতভাবে ঘন্টায় ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছে।গতির সাথে উইকেটে প্রাপ্তির সংখ্যাও কমছে উল্লেযোগ্যভাবে।

সাম্প্রতিক সময়ে দলের বাইরে বসে তাসকিন দেখতে হয়েছে কীভাবে তার পরে দলে জায়গা পাওয়া ফাস্টবোলাররা তাকে ডিঙিয়ে যাচ্ছে।আবু জায়েদ, খালেদ আহমেদ,এবাদত হোসেনের মতো অন্যান্য পেস বোলাররা যখন তাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল সেই দৃশ্য দেখে হয়ত তার মনে ক্ষোভ,হতাশা জেঁকে বসেছিল।একজন উচ্চাকাঙ্খী তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে এসব সহ্য করে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য তৈরী রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ।যদিও তাসকিন বর্তমানে দলের প্রথম পছন্দ নয়-এটা রুঢ় হলেও বাস্তব।তারপরেও জাতীয় দলের হয়ে খেলার দাবির স্বপক্ষে যথেষ্ট জোরাল যুক্তি আছে।বাংলাদেশ দলের মূল বোলার হয়ে ওঠার যাবতীয় অস্ত্রই তার হাতে মজুদ রয়েছে।শুধু সেগুলো নিখুঁতভাবে প্রয়োগ করাটাই মূখ্য বিষয়।আর সে যদি তার প্রধান অস্ত্র- গতিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারে তাহলে জাতীয় দলের দরজা খুলতে সময় লাগবে না।কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জোর গতিসম্পন্ন বোলার যে কোনও দলের  সম্পদ।আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একজন বোলার যে ঘন্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারে তার মূল্য কিন্তু আরও বেশী।কেননা এখানে জোর গতিসম্পন্ন বোলার হাতে গোনা কয়েকজন।তাই কিভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রেখে উচ্চ গতি ধরে রেখে বল করা যায় সেদিকে তাসকিনকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার।তবে সে কীভাবে এই বিষয়গুলো অনুধাবন করে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তৈরী করে তার উপর নির্ভর করবে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কতটা লম্বা হবে।এটা সত্য জাতীয় দলের হয়ে প্রত্যাবর্তনের সক্ষমতা তার রয়েছে।কিন্তু সেই সক্ষমতাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে লাল সবুজ জার্সিতে আবারও তাসকিন ঝড় বয়ে যাবে অচিরেই।

ক্রিকেটমোদীদের আশা তাসকিন দ্রুতই হারানো ছন্দ ফিরে পাবে।আশা করা যায় পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ফিট,দেশের প্রতি অনেক বেশি দায়বদ্ধ এক নতুন তাসকিনকে দেখা যাবে যে দেশের হয়ে ধারাবাহিকভাবে খেলার জন্য বদ্ধপরিকর।আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে ফাস্ট বোলিংয়ে নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠবে।আর যদি সে তা করে নাও দেখতে পারে তাহলে কোটি মানুষের আশার নাম তাসকিন হতাশায় পর্যবসিত হবে।যা মেনে নেয়া সমর্থকদের জন্য সহজ হবেনা।তবে এ পর্যন্ত সে দেশের হয়ে যা অর্জন করেছে তা বিশেষ কিছু।ক্রিকেট দুনিয়ায় এমন কথা প্রচলিত রয়েছে যে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবার বাম-হাতি স্পিনার তৈরি করেছে বলে মনে হচ্ছে।আর সেখানে পারিবারিক প্রথা ভেঙ্গে তাসকিন আহমেদ তার প্রাণঘাতী গতি আর  আগ্রাসন নিয়ে অনেকটা তাজা বাতাসের নিঃশ্বাস হিসাবে আত্নপ্রকাশ করেছে।সেইসাথে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারে এমন এক ব্যক্তির আগমন ঘটে গিয়েছে।তাসকিন আহমেদ বিশেষ,খুব বিশেষ।ভয়ানক নিদারুণ অথবা বিরক্তিজনক বিশেষ।সে প্রকৃতই এক অন্যন্য প্রতিভা।আমরা সবাই সৌভাগ্যবান যে তাসকিনের মত দারুন প্রতিভাবান এক ক্রিকেটারের স্মরণীয় আবির্ভাবের সাক্ষী হতে পেরেছি।

Cover Photo Courtesy: Gareth Copley/Getty Images AsiaPac)