• ক্রিকেট

ট্রেনের টিকেট কালেক্টর থেকে বিশ্বসেরা ধোনি

পোস্টটি ১৯৮৯ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

"ধোনি ফিনিশেস অফ হিস স্টাইল এন্ড দ্যা ম্যাগনিফিসেন্ট স্ট্রাইক ইন টু দ্যা ক্রাউড এন্ড ইন্ডিয়া লেফট দ্যা ওয়ার্ল্ড কাপ আফটার টুয়েন্টি এইট ইয়ার্স এন্ড দ্যা পার্টি স্টার্ট ইন দ্যা ড্রেসিরুম এন্ড ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেন হুস বিন এবসুলেটলি ম্যাগনিফিসেন্ট ইন দ্যা নাইট অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডকাপ ফাইনাল।" শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ধোনির ছক্কার সময় ধারাভাষ্যকারের দেয়া এই কথাগুলো যেন আজ ও কোটি ভারতীয় এর মনে দাগ কেটে রয়েছে।

১৯৮১ সালের ৭ জুলাই ঝাড়খণ্ডের রঞ্চিতে পান সিং-দেবকি দম্পতির ঘরে জন্ম নেন ধোনি, দেখতে দেখতে দেখতে ৩৮ বছর শেষ করে, জীবনের ৩৯তম বছরে ও পা রেখে ফেলেছেন ক্যাপ্টেন কুল।

আর অধিনায়কত্ব ব্যাপারটা যে একটা শুধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তা নয় অধিনায়কত্বটা যেন একটা আর্ট, যেন একটা শিল্প। হয়তো আমাদের মাশরাফি বিন মর্তুজা, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং কিংবা ভারতীয় ধোনিকে দেখলেই যেন তা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। ধোনি শুরুতে ফুটবল দলে ও ছিলো। সেখান থেকে অনেকটাই নিজের যোগ্যতা দিয়েই ধোনি কমান্ডো ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে নিয়মিত উইকেট রক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। এরপর সে অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট ও খেলেছে পরবর্তীতে সে রঞ্জি ট্রফিতে ও নাম লিখান এবং নিজেকে একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে ও প্রমাণ করেছে, তখন জাতীয় দলের তার একসময়ের জাতীয় দলের  সতীর্থ যুবরাজ সিং এর সাথে ও তার প্রথম দেখা হয়। এরপর ২০০১-০৩ এই সময়টুকুতে তিনি খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালেক্টর এর কাজ ও করেছেন।এর আগে পাড়ার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে শেখা হেলিকপ্টার শট শিখে পরবর্তীতে বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে অনেক স্থানীয় খেলোয়াড়, কোচকে মুগ্ধ করেছে।   

images - 2020-07-07T002719.868

< আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির অভিষেক হয় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে,পরবর্তীতে ঠিক ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে ধোনির অভিষেক হয় সাদা পোষাকের ক্রিকেটে, এবং ২০০৬ সালে আবার ও সেই ডিসেম্বর মাসেই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক হয় ধোনির। ২০০৫ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ধোনি। এরপর রাহুল দ্রাবিড় এর কাছ থেকে ২০০৭ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ভারত বিদায় নেয়ার পর পরই গোটা ভারত জুড়ে চলে সমালোচনা ধোনিকে নিয়ে, সেই বছর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন এর খাতায় নাম লিখায়। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ঘরের মাঠ মুম্বাইয়ে ধোনির সেই ছক্কার মাধ্যমেই ভারত ২৮ বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় এবং নিজেদের ঘরের মাঠেই আনন্দে মেতে উঠে। তাছাড়া ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড এর ঘরের মাঠে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ভারতকে উপহার দেন ধোনি।

ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন কুল, ধন্যবাদ ধোনি ক্রিকেটকের অধিনায়কত্বকে চাপ না নিয়ে বরং এটাকে শিল্প বানানোর জন্য ও।