• ফুটবল

কিংবদন্তিদের মৃত্যু নেই

পোস্টটি ১২৬২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও মোহামেডান ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক বাদল রায় আর নেই। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন তিনি।

সন্ধ্যায় পড়তে বসার পর মোবাইলটা হাতে নিয়েই একটা শীর্ষস্থানীয় অনলাইন পত্রিকার শিরোনাম দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো, একদমই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। শিরোনামটা দেখে যেনো কোনো কিছু বলার মতো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এই যে আমি লিখছি এটা ও তো লিখছি যেন এক মনের জোরে।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম ( কুমিল্লা স্টেডিয়াম) এ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের খেলা, মোহামেডান বনাম বসুন্ধরা কিংসের৷ যে মাঠ থেকে খেলে কাপিয়েছেন ঢাকার ফুটবল সে মাঠে তার প্রিয় মোহামেডান তার কুমিল্লায় খেলবে আর তিনি আসবেন না তা হতে পারে না। খেলা শুরুর আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিলো বাদল দা আসবে, বাদল দা এর মোহামেডান এই সেই। ঠিক খেলার শুরুর আগে আসলেন বাদল রায় হঠাৎ তাকে দেখে গ্যালারিতে থাকা অনেকেই দাঁড়িয়ে যায়। খুব খুবই কাছ থেকে দেখছিলাম উনাকে, মুখে ছিলো এক পশলা অসুস্থতার ছাপ তবু ও মনের জোর বলে একটা কথা।

এর আগে ২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হন মোহামেডানের সাবেক এই অধিনায়ক। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে উন্নত মানের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলে ও এই অসুস্থতা জিনিশটাই যেনো তার পিছু ধরে রেখেছিলো৷ অসুস্থতা নিয়ে কোনো রকমে গিয়েছে বাফুফে ভবন, খোঁজখবর নিয়েছেন ফুটবলারদের৷ বাফুফে সহ সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় সমালোচনা করেছিলেন কাজী সালাউদ্দিনের। এরপর ক্যাসিনো কান্ডে বির্পযয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান যখন মাঠ এবং মাঠের বাইরে লজ্জায় ডুবছিলো তখনই আশার প্রদীপ হয়ে নিজের প্রিয় ক্লাব মোহামেডানকে সাজান আবার সুন্দর করে। শেষমেশ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতা এবং ক্যান্সার ও ধরা পরে৷ হাসপাতালের আইসিইউতে ও ছিলেন তিনি, চিকিৎসকরা ও কম চেষ্টা করেন নি।

১৯৮১ ও ১৯৮৬ সালে মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে টানা তিন বছর পর মোহামেডানের লিগ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বাদল রায়। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডানের ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।সাবেক এই ফুটবলারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পরিবারের প্রতি ও জানিয়েছেন সমবেদনা৷ বাদল রায় মারা গেলে ও থাকবেন কোটি মানুষের মনে, থাকবেন তিনি মোহামেডান ক্লাবের হ্রদয়ে, সাদা - কালো শিবিরের সমর্থক কিংবা লাল সবুজের সমর্থক সবার মনেই তিনি থাকবেন কিংবদন্তী হয়ে। কথায় আছে না, ' ' ' কিংবদন্তীর মৃত্যু নেই '