• ফুটবল

এশিয়া থেকে ইউরোপ কাপানো সন হিউং মিন।

পোস্টটি ২২২৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

 

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ, চলছিলো দক্ষিণ কোরিয়া বনাম জার্মানির ম্যাচ। সে ম্যাচের শেষের দিকে কোরিয়ার কাছে ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানির ছিলো গোলের ক্ষুদা, আর সেই গোলের ক্ষুদা এতটাই ছিলো যে জার্মান গোলরক্ষক নয়্যার পর্যন্ত গোলপোস্ট ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল আক্রমণে৷ আর গোলরক্ষকের গোলপোস্ট ছেড়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সন হিউং মিন করে বসেন গোল এবং আনন্দে অনেকটাই আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলো পুরো দক্ষিণ কোরিয়া দল এবং তাদের সমর্থকেরা। অন্যদিকে, অনেকটাই বিপরীত অবস্থায় ছিলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিউং মিন এর জন্ম ৮ জুলাই ১৯৯২ সালে। বয়সভিত্তিক ক্লাব পর্যায়ের খেলা শুরু করেন অনূর্ধ্ব-১৬ জার্মানিতে। এরপর জার্মানীর শীর্ষ লীগ বুন্দেসলীগায় হামবার্গের হয়ে অভিষেকের পর ২০১৩ সালে ক্লাব রেকর্ড ১০ মিলিয়ন দিয়ে পা রাখেন বায়ার্ন লেভারকুসেন দলে। বায়ার্ন লেভারকুসেনে দুই বছর খেলেই নজরে আসেন ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামে,তখনই ইতিহাসে এশিয়ার অন্যতম মূল্যবান খেলোয়াড় হয়ে যয় সন। টটেনহ্যামের জার্সিতে ইতিমধ্যে ১৫৯ ম্যাচে ৫৩ গোল করে দলের অন্যতম খেলোয়াড় এর ভূমিকায় ও আছেন। শুধু দলের অন্যতম খেলোয়াড় নয় টটেনহ্যামের প্রতিটি সমর্থকের কাছে ও প্রিয় হয়ে উঠেছেন সন।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার  হয়ে ২০০৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ নাইজেরিয়া বিশ্বকাপে ডাক পান তিনি এবং দলের হয়ে এই টুর্নামেন্টে তিনটি গোল ও করেন এই খেলোয়াড়। এরপর অনূর্ধ্ব-১৮, অনূর্ধ্ব-২৩ এবং দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ও প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই ফুটবলার।

আর এই এশিয়ার সন হিউং মিন ইউরোপের এবং গোটা বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে টটেনহ্যাম দলকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন, বুন্দেসলীগার তরুন খেলোয়াড় এর পুরষ্কার পেয়েছেন, টটেনহ্যাম দলের হয়ে মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় এর পুরষ্কার ও অর্জন করেছেন। তাছাড়া প্রিমিয়ার লীগের মাসিক সেরা খেলোয়াড় এর পুরষ্কার অর্জন করেছেন। শুধুই কি ইউরোপ জুড়ে সাফল্য? না, নিজ দেশের হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্ষসেরা খেলোয়াড়, এশিয়ার সেরা খেলোয়াড় এর পুরষ্কার ও পেয়েছেন। তাছাড়া এএফসি এশিয়ান আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের পুরষ্কার ও জিতেছেন এই ফুটবলার। 

এভাবেই আমাদের এশিয়া থেকে ইউরোপের মাঠ কাপাচ্ছেন এই ফুটবলার এবং এশিয়ার হয়ে সুনাম বয়ে আনছে।