• ফুটবল

রামোসের আদিখ্যেতা!

পোস্টটি ১০০০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

images - 2021-01-30T233742.425

রামোস!! রামোস!! রামোস!!

বিরক্ত হয়ে গেছি নামটা শুনতে শুনতে। ক্লাব তাকে ছেড়ে দিচ্ছে তাতে অনেক মাদ্রিদিস্তা ভেঙ্গে পড়ছে কেন বুঝি না বাপু। চলে যাচ্ছে যাক না, এই ৩৫ বছরের বুড়োকে নিয়ে আর কদিন?? তবে অতি দরদি কিছু আবেগী,বুদ্ধিহীন,অতিমাত্রায় লজিকবিহীন কিছু মাদ্রিদিস্তার বাইরেও কিছু সার্পোটার পেয়েছি যারা কলঙ্কিত প্লেয়ারটিকে কেয়ার না করে মাদ্রিদকে নিয়ে ভাবছে। অনেক ভেবে দেখলাম এরাই সত্যিকারের লয়্যাল সার্পোটার। আসলেই তো কী দরকার এই বুড়োটাকে নিয়ে ভাবার যে কিনা মাদ্রিদকে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বারে বারে কলঙ্কিত করেছে। 

যেমন সে দিনকার কথায় ধরুন, এল-ক্লাসিকোর মতো বিশ্বসেরা মঞ্চেও বেয়াদব রামোসটা চুপচাপ না থেকে মেসি পিকেদের সাথে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে। কী দরকার ছিলো তার এসব করার? ডিফেন্ডার ডিফেন্ড করবে, কী প্রয়োজন ছিলো দলের বাকি ১০ জনের জন্য জাতীয় দলের সতীর্থদের সম্পর্ক খারাপ করার। একরোখা, একগুঁয়ে মনোভাব সবসময় না দেখালে কী হয় তার!পেপে,রন,বেন্জুরা বিপক্ষ দলের সাথে লড়াইয়ে জড়িয়েছে জড়াক না, তাতে কী দরকার ছিলো বুড়োটার এগিয়ে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে কার্ড দেখার।।সবকিছুতে বেয়াদবি তার।

শুধু কী এল-ক্লাসিকো, আরো কতভাবে হেনস্তা করেছে এই বুড়োটা।ডিফেন্ড ছেড়ে প্রায়ইশ ফরোয়ার্ড লাইনে। হোক না দলের প্রয়োজন,তাও কী দরকার তার পার্ট টাইম স্ট্রাইকার হওয়ার। অনেক দরদি সার্পোটারতো তাকে আবার লা-ডেসিমার সামান্য এক হেডের জন্য MR 92:48 বানিয়ে দিয়েছে। আবার ফুটবল না জানা ধারাভাষ্যকার নব্বই মিনিটের পরের অতিরিক্ত সময়কে বানিয়ে দিয়েছে রামোস টাইম।

লোকদেখানো প্লেয়ারটাকে নিয়ে সবার কিসের এতো আধিখ্যেতা কে জানে! লোক দেখিয়ে বারে বারে রিয়ালের সফেদ জার্সিটিকে নিজের রক্তের লালে রাঙ্গিয়ে লাল করার কী দরকার তার! কতসব সর্বসেরা মহান ফুটবলারই আছে, কই তারা তো রক্তে রঙ্গিন হয় না, তাহলে এই রামোসের কেন লোক দেখিয়ে রক্ত বের করে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে হবে!

শুধু কী এসব, আরো কতভাবে বারে বারে নিজের হীনতার প্রমাণ দিলো রামোস। ১টি বিশ্বকাপ, ২টি ইউরোপা কাপ, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লীগ, ৫টি লা-লীগা, ৪টি স্পেনিস সুপার কাপ,২টি স্পেনিস কাপ, ৪টি ক্লাব ওয়াল্ড কাপ ও ৩টি উয়েফা কাপসহ সহ ২৫টি কাপ জিতে নিজেকে খুব বড় ভেবে নিচ্ছে এই বুড়োটা। হোকনা সব কয়টিতে দলের জন্য নিজেকে নিংড়ে দিয়েছে কিন্তু তাতে কী বেয়াদব তো বেয়াদবই। 

আবার এদিকে কার্ডতো কম খেলো না।কমতো কলঙ্কিত করলো না দলকে। কী দরকার ছিলো সেদিন লিভারপুলের বিপক্ষে ৪ গোলের লিডে থেকেও কোচ মরিনহোর গেম প্লেন মেনে নিয়ে লাল কার্ডটি হজম করার! সবসময় কোচ প্লেন মানতে হবে এমনতো না।তাই এখানেও কার্ডের দোষটা বেয়ারদব রামোসেরই।

দূনীর্তিতে ভরা ফুটবল বিশ্ব। তা যদি ন হতো তাহলে রামোসের মতো বেয়াদবটাকে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা ফিফা ফিফপ্রো একাদশে ১১ বার, উয়েফা টিম অফ দা ইয়ারে ৯ বার, লা-লীগার সেরা ডিফেন্ডার তালিকায় ৫ বার, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের সেরা একাদশে ৪ বার, ২০১৪ সালে ক্লাব ওয়াল্ড কাপের গোল্ডেন বলসহ এতো এতো স্বীকৃতি কীভাবে দেয়।আর রামোসের মতো গ্যাড়ত্যাড়া কলঙ্কিত প্লেয়ারটার এতোসব অর্জনই বলে দেয় কতোটা দূনীর্তিগ্রস্ত ফিফা ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো।

কেন যেন এই সামান্য প্লেয়ারটাকে নিয়ে আপনাদের এতো বাড়াবাড়ি বুঝি না। কী এমন করেছে সে, স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে, ডিফেন্ডার হয়ে ৮ম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে। ডিফেন্ডার হয়েও ১২৬ গোল করেছে মাত্র যার ১০৩ গোল রিয়ালের হয়ে। আবার শুনলাম নাকি লা-লীগায় ইতিহাসের ডিফেন্ডারদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলও তার দখলে। অবশ্য এসবে কী আসে যায় বেয়াদব রামোসটার বয়স হয়েছে বয়স হয়েছে বেঁচে দিক। তারপর না হয় আফসোস করলো কিন্তু, তাতে কী নতুনদের সুযোগ না দিয়ে বুড়োদের দলে রাখার কী দরকার।