হেরেই চলেছে অস্ট্রেলিয়া
স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ৩৮.১ ওভারে ১৫২ ( কোল্টার নাইল ৩৪, স্টেইন ২/১৮, ফেলুকায়ো ৩/৩৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯.২ ওভারে ১৫৩/৪ ( ডি কক ৪৭, হেন্ড্রিকস ৪৪, স্টোয়নিস ৩/১৬)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী
পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে দল, অজিদের প্রত্যাশা ছিল এমনটাই। সিরিজের শুরুটা অবশ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী হলো না অ্যারন ফিঞ্চদের। স্টেইন-ফেলুকায়োদের দাপটে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে ডু প্লেসিরা। এই প্রথমবারের মতো টানা সাত ওয়ানডেতে হারল অজিরা।
পার্থে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেল স্টেইন-লুঙ্গি এনগিদিদের বোলিং তোপে ছয় ওভারের মাঝেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এক রান করা ট্রাভিস হেডকে ফেরান স্টেইন। দুই বল পর রানের খাতা না খুলেই ফেরেন আর্কি শর্ট, স্লিপে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন ডু প্লেসি। ৫ রান করে এনগিদির বলে এবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও।
৮ রানে তিন উইকেট হারানো অজিদের কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। সঙ্গী হিসেবে অবশ্য কাউকেই পাননি। ক্রিস লিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোয়নিস; থিতু হতে পারেননি কেউই। তিনজনকেই ফিরিয়েছেন আন্দিল ফেলুকায়ো। ২১ ওভারের মাঝেই ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারির ৭১ বলে ৩৩ রানের সুবাদে ১০০ পেরোয় দল।
ইমরান তাহিরের বলে যখন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যারি, দলের রান তখন মাত্র ১০৭। অস্ট্রেলিয়া দেড়শ পেরিয়েছে নাথান কোল্টার নাইলের ক্যামিওতেই। আফ্রিকান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৫ চার ও এক ছয়ে ৩১ বলে ৩৪ রান করেন কোল্টার নাইল। ৩৯ তম ওভারের প্রথম বলে এনগিদির বলে কোল্টার নাইল প্যাভিলিয়নে ফিরলে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৭ ওভার বল করে ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন স্টেইন, হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারই জয়ের ভিত গড়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেন্ড্রিকসের ৯৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন কোল্টার নাইল। ৭ চারে সাজান ইনিংসে ৪০ বলে ৪৭ রান করে হ্যাজলউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডি কক। হেন্ড্রিকস ফিরেছেন ৪৪ রানে, স্টোয়নিসের বলে যখন আউট হন, দলের রান ১২২।
তিনে নামা এইডেন মারকরামও ছিলেন আক্রমণাত্মক মুডে। চোখ ধাঁধান কিছু শটে ৩২ বলে করে ৩৬ রান, আউট হয়েছে স্টোয়নিসের বলে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৯.২ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁয়ে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।