• অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • " />

     

    ৭ রানেই সাতের অভিশাপ কাটাল অস্ট্রেলিয়া

    ৭ রানেই সাতের অভিশাপ কাটাল অস্ট্রেলিয়া    

    অস্ট্রেলিয়া ৪৮.৩ ওভারে ২৩১ (ক্যারি ৪৭, লিন ৪৪, ফিঞ্চ ৪১; রাবাদা ৪/৫৪, প্রিটোরিয়াস ৩/৩২)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ২২৪/৯ (মিলার ৫১, ডু প্লেসি ৪৭; স্টয়নিস ৩/৩৫, হ্যাজলউড ২/৪১, স্টার্ক ২/৫১)

    ফলঃ  অস্ট্রেলিয়া ৭ রানে জয়ী


    ওয়ানডেতে জয় কাকে বলে , সেটা যেন ভুলেই গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এই বছর ১১টি ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে, সর্বশেষ সাত ওয়ানডেতেই পরাজয় দেখতে হয়েছে অজিদের। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে জিতেই সেই অভিশাপ কাটাল অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লো স্কোরিং ম্যাচের জয়ে সিরিজে ফেরাল সমতাও।

    ৭ রানের জয় যেমন বলছে, শেষ দিকে অবশ্য অমন নখ কামড়ে ধরা ম্যাচ হয়নি।৪৮তম ওভারের প্রথম বলে যখন নবম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা, তখনও ১৭ বলে দরকার ৩০ রান অ্যাদাম জাম্পার ওই ওভার ছিল উইকেট মেডেন, দুই ওভারে দরকার ১০ রান। পরের ওভারটাও জাম্পা ভালোই করছিলেন, কিন্তু শেষ বলে লুঙ্গি এনগিডি ছয় মেরে একটু আশার আলো দেখালেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ২০ রান, বোলিং করতে এলেন ম্যাক্সওয়েল। প্রথম বলে চার মেরে ইমরান তাহির আশার বাতিটা আবারও জ্বালিয়ে তুললেন। কিন্তু দপ করেই তা নিভে গেল খানিক পর, পরের চার বল থেকে এলো ৫ রান। শেষ বলে চার মেরে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমালেন তাহির।

    অথচ ২৩২ রানের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা অনেকটা সময়ই বেশ ভালোভাবে ছিল। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি, ১৮ রানেই হারিয়ে ফেলে কুইন্টন ডি কককে। ৪৮ রানের মধ্যে ফিরে যান এইডেন মার্করাম ও রিজা হেন্ড্রিকসও। ৬৮ রানে হেনরিক ক্লাসেন আউট হলে আরেকটু বিপদে পড়ে যায় আফ্রিকা। কিন্তু লক্ষ্যটা বেশি বড় নয়, রান রেটও ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকার শুধু একটা বড় জুটিরই দরকার ছিল। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে সেটা এসেও গিয়েছিল। দুজন পঞ্চম উইকেটে যোগ করলেন ৭৪ রান। ম্যাচটা যখন অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ছুটে যাচ্ছে, ডু প্লেসিকে ৪৭ রানে বোল্ড করে মহামূল্যবান ব্রেক থ্রু এনে দিলেন প্যাট কামিন্স। মিলার অবশ্য ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন, ষষ্ঠ উইকেটে ৩২ রানও যোগ করেছিলেন। প্রিটোরিয়াস ফিরলেন ১৪ রানে, আফ্রিকার রান তখন ১৭৪। ১০ রানের মধ্যে ফিরলেন ডেল স্টেইন। মিলার ততক্ষণে পেয়ে গেছেন ফিফটি, আফ্রিকার আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু স্টয়নিসের বলে বোল্ড হয়ে আশার প্রদীপটাও প্রায় নিভেই গেল। শেষ উইকেটে এনগিডি-তাহির চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

    অথচ অস্ট্রেলিয়ার জয়টা এসেছে আসলে শেষ জুটির কল্যাণেই। ২০৪ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার, এরপর শেষ উইকেটে ২৪ রান যোগ করেন জশ হ্যাজলউড ও জাম্পা। অস্ট্রেলিয়ার সেরা সময়টা এসেছিল ইনিংসের মাঝামাঝি। ৯৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ক্রিস লিন শুরু করেন পালটা আক্রমণ। রাবাদার এক ওভারে প্রথম ৫ বলে নিয়েছেন ১৮ রান, ক্যারিয়ারে কখনো এক ওভারে এত বেশি রান দেননি রাবাদা। কিন্তু শেষ বলেই ক্যাচ দিলেন লিন, রাবাদা হাসলেন শেষ হাসি। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিই শুধু এক প্রান্তে ছিলেন। ৪৭ রান করে ক্যারি যখন আউট হলেন, ২০৪ রানে নবম উইকেট হারিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর জাম্পা-হ্যাজলউডের জুটি, দিন শেষে যা হয়ে গেছে ম্যাচ জেতানো।