ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয়ের সুযোগ হারালেন সালমারা
স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১০৬/৮ ( নাইট ৩২, স্টেফিনি ২৯, জাহানারা ৩/২৩)
বাংলাদেশ ১৪.৪ ওভারে ৪৬ (ফারজানা ৮, ডটিন ৫/৬)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬০ রানে জয়ী
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মাত্র ১০৬ রান আটকে জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সকে অবশ্য শেষ পর্যন্ত ম্লান করে দিলেন দলের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রমীলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
সালমা খাতুনদের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৭। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনোই জয়ের আশা দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই ফেরেন শামিমা সুলতানা। ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলের সেই শুরু, উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। আয়েশা রহমান, জাহানারা আলম, ফারজানা হক, নিগার সুলতানা; দলের হয়ে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। এগারো ব্যাটসম্যানের একজনও ছুঁতে পারেননি দুই অংকও! ৮ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান ছিল ফারজানার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেন্ট্রা ডটিন বলতে গেলে একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে। ৩.৪ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট, এটা মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার। শেষ পর্যন্ত ৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এটাই মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোর।
টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। জাহানারা আলমের কল্যাণে শুরুটা দারুণ হয় তাদের। ১৪ রানের মাঝেই দুই ওপেনারকে ফেরান জাহানারা। ৩৬ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩ ওভারে তখন ক্যারিবিয়ান মেয়েদের স্কোর ৫ উইকেটে ৫০ রান।
এই অবস্থায় দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কেসিয়া নাইট। স্টেফিনি টেলরকে সাথে নিয়ে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন তিনি। ৪৪ বলে ২৯ রান করে রুমানা আহমেদের বলে ফেরেন স্টেফিনি। স্টেফিনি ফিরলেও নাইট ছিলেন অবিচল। ২ চার ও এক ছয়ে ২৪ বলে নাইট করেন ৩২ রান।
নাইটের দারুণ এই ইনিংসের সুবাদেই ১০০ পেরোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে ক্যরিবিয়ানদের।