• মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    হার দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ সালমাদের

    হার দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ সালমাদের    

    স্কোর

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৯/৯ ( ক্যাপ ২৫, সালমা ৩/২০)

    বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৭৯/৫ ( রুমানা ৩৪*, সেকুখুনে ১/১২)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ রানে জয়ী

     

    বোলাররা প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দেবেন, কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ে জয়ের সুযোগ নষ্ট করবে দলের ব্যাটসম্যানরা। প্রমীলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সব ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের গল্প যেন এই একটাই। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও ফিরে এলো আগের তিন ম্যাচে দেজাভু। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ের পরেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হার দিয়েই শেষ হলো সালমাদের বিশ্বকাপ মিশন। প্রোটিয়াদের কাছে ৩০ রানে হেরে পুরো বিশ্বকাপে জয়শূন্য থেকেই দেশে ফিরছে তাঁরা। এই জয়ের পরেও অবশ্য সেমিফাইনালে যাওয়া হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার।

    টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার। ১৩ বলে ২১ রান করা লিজলে লিকে ফেরেন রান আউট হয়ে। এরপর জুটি গড়েন ড্যান ভ্যান নিকার্ক ও মারিজান ক্যাপ। ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন রুমানা আহমেদ, ২৫ রান করা ক্যাপকে ফেরান তিনি। এরপর ৭ রানের ব্যবধ্যানে আরও দুই উইকেট হারায় আফ্রিকা।

    ৬৭ রানে চার উইকেট হারানোর পর হাল ধরেছিলেন মিগন প্রেজ ও কোল ট্রিয়ন। দুজন যোগ করেন ২৬ রান। ১৮ রান করা ট্রিয়নকে আউট করেন খাদিজা। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। ১৪ রানের মাঝেই পড়ে তাদের শেষ পাঁচ উইকেট। সালমা খাতুন তিন উইকেট নিলে আফ্রিকার ইনিংস থামে ১০৯ রানে।

    ১১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে কখনোই জয়ের আশা দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই এমনভাবেই ব্যাটিং করছিলেন দুই ওপেনার, যেন টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন! চতুর্থ ওভারে দলের স্কোর যখন ৭, ৩ রান করে আউট হন আয়েশা রহমান। অষ্টম ওভারে দলীয় ১৮ রানের মাথায় ফেরেন ২২ বলে ৮ রান করা শারমিন আক্তার।

    ধীর লয়ের ব্যাটিং করেছেন বাকি সবাই। ৩৬ বলে ১৯ রান করেছেন ফারজানা হক। ১৭ তম ওভারে দলের রান যখন ৫৪, তখন সেকুখুনের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান তোলে বাংলাদেশ। ক্রিজে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন রুমানা আহমেদ, ৪০ বলে ৩৪ রান করে তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। পাঁচ উইকেট বাঁচিয়ে রেখে এমন ধীর গতির রানচেজ কেনো করলেন সালমারা, সেটাই বড় প্রশ্ন।