• অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • " />

     

    ডু প্লেসি-মিলারে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

    ডু প্লেসি-মিলারে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার    

     

    স্কোর

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৩২০/৫ ( মিলার ১৩৯, ডু প্লেসি ১২৫, স্টার্ক ২/৫৭)

    অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৮০/৯  (মার্শ ১০৬, স্টোয়নিস ৬৩, স্টেইন ৩/৪৫)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০ রানে জয়ী 

     

    আগের ম্যাচ জিতে টানা হারের বৃত্ত থেকে বের হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য ছিল, শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়। শেষ ম্যাচে সেটার অনেক কাছে গিয়েও পারল না অ্যারন ফিঞ্চের দল। শন মার্শের দারুণ এক সেঞ্চুরিও সিরিজ হার থেকে বাঁচাতে পারল না অস্ট্রেলিয়াকে। ডু প্লেসি-মিলারের জোড়া সেঞ্চুরিতে অজিদের ৪০ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অজিদের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। দ্বিতীয় বলেই ডেল স্টেইনের বলে ফেরেন ক্রিস লিন। লুঙ্গি এনগিদি ফেরান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে, ফিঞ্চ আউট হয়েছেন ১১ রান করেন। মার্করামের দারুণ এক ক্যাচে ৬ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে ফিরতে হয় ট্রাভিস হেডকেও।

    ৩৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অবস্থায় দলের হাল ধরেন মার্কাস স্টোয়নিস ও শন মার্শ। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ১০৭ রান। মারমুখী ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়া বোলারদের নাজেহাল করেন দুজনই। জুটি গড়ার সময় ফিফটি পেয়েছেন তারা। স্টোয়নিস এর মাঝে জীবন পেয়েছেন একবার, মার্করামের বলে তাকে এলবিডব্লিউ দেওয়া হলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত স্টোয়নিস ফিরেছেন ৬৩ রানে। ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭৬ বলে ৬৩ রান করা স্টোয়নিসকে ফিরিয়েছেন প্রেটোরিয়াস।

    স্টোয়নিসের ফেরার পর অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মার্শ। ৮০ রানের জুটি গড়ার সময় পেয়েছে সেঞ্চুরিও। ওয়ানডেতে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর টিকতে পারেননি খুব বেশি সময়। ৭ চার ও ৪ ছয়ে ১০২ বলে ১০৬ রান করে মার্শকে ফিরতে হয়েছে প্রেটোরিয়াসের বলে।

    মার্শ ফিরলেও চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ক্যারি ও ম্যাক্সওয়েল। ৪২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ক্যারি। ম্যাক্সওয়েল শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি, তিনি আউট হন ৩৫ রানে। এরপরই শেষ হয়ে যায় তাদের জয়ের শেষ আশাও। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ২৮০ রানে। 

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওভারেই হারায় কুইন্টন ডি কককে। মিচেল স্টার্কের বলে শুরু থেকে অস্বস্তিতে ভোগা ডি কক ৪ রানে ফিরেছেন তাঁর বলেই। আরেক ওপেনার রেজা হেনড্রিকসও ফেরেন অল্প রানেই, ৮ রানে মার্কাস স্টোয়নিসের বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ফাফ ডু প্লেসিকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেন এইডেন মার্করাম। এক চার ও তিন ছয়ে ৪২ বলে করেছেন ৩২ রান। স্টার্ক ফিরিয়েছেন তাকেও।

    ৫৫ রানে তিন উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে পথ দেখায় ডু প্লেসি-ডেভিড মিলার জুটি। অজি বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তুলেছেন দুজনই। মিলার ছিলেন একটু বেশিই আক্রমণাত্মক মুডে। ১৩ চারের পাশাপাশি মেরেছেন ৪টি ছয়। ডু প্লেসি মেরেছে ১৫টি চার ও দুই ছয়।

    সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিলার-ডু প্লেসি দুজনই। ১১৪ বলে ডু প্লেসি করেন ১২৫ রান, মিলার করেছেন ১০৮ বলে ১৩৯। ২৫২ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙ্গে স্টোয়নিসের বলে ডু প্লেসি ফিরলে। ততক্ষণে অবশ্য দলীয় স্কোর ৩০০ পেরিয়েছে। শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হলো তাদের তোলা ৩২০ রানই।