অভিষেকেই ভারতকে জয় এনে দিলেন সাইনি
স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ৯৫/৯ ( পোলার্ড ৪৯, পুরান ২০; সাইনি ১৭/৩, ভুবনেশ্বর ২/১৯)
ভারত ১৭.২ ওভারে ৯৮/৬ (রোহিত ২৪, কোহলি ১৯; নারাইন ২/১৪, কটরেল ২/২০)
ভারত ৪ উইকেটে জয়ী
তাঁর উঠে আসার গল্পটা রূপকথাকেও হার মানাবে। একটা সময় ২০০ রূপি ম্যাচ ফিতে হরিয়ানার অলিগলিতে ক্রিকেট খেলে বেড়ানো নবদীপ সাইনি জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন অনেকদিন ধরেই। বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই বোলার হিসেবে থাকলেও খেলার সুযোগ হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি মাঠে নেমেই বাজিমাত করেছেন এই পেসার। ফ্লোরিডায় লো স্কোরিং ম্যাচে সাইনির তিন উইকেটের সুবাদেই বিরাট কোহলিদের কাজটা সহজ হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো ভারত।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। দ্বিতীয় বলেই জন ক্যাম্পবেলকে ফেরান ওয়াশিংটন সুন্দর। ক্যাম্পবেলের মতো রানের খাতা না খুলে ফিরেছেন আরেক ওপেনার এভিন লুইসও। নিকোলাস পুরান ও কাইরন পোলার্ড কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিচ্ছিলেন। দুইজনই বেশ আক্রমণাত্মক মুডে ব্যাটিং করেছেন।
পঞ্চম ওভারে ২০ রান করা পুরানকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন সাইনি। ৪৯ রান করে পোলার্ডও এলবিডব্লিউ হয়েছেন সাইনির বলেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে দুই অংক ছুঁয়েছেন শুধু পুরান-পোলার্ডই। চার ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে সাইনি নিয়েছেন তিন উইকেট। ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নিজের টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৯ উইকেটে ৯৫ রান।
৯৬ রানের লক্ষ্যটা অবশ্য খুব সহজে পেরোতে পারেনি ভারত। সুনীল নারাইন, শেল্ডন কটরেল, কিমো পলরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বস্তিতে রাখেনি কোহলিদের। ৩২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল ভারত। কোহলি-পান্ডের ৩২ রানের জুটি দলকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। পাঁচ রানের ব্যবধানে দুইজনকে হারিয়ে আবার খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে তাঁরা।
ক্রুনাল পান্ডিয়ার ১২ ও রবীন্দ্র জাদেজার ১০ রানের ইনিংস দুটিই ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট ও ১৬ বল হাতে রেখেই জয় পায় ভারত। আজ রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।