হেলমেট ছাড়া নেমেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন ভিভ রিচার্ডস!
অ্যাশেজের স্টিভ স্মিথের ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই বাউন্সার সামলানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিরাট কোহলির সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের এক আড্ডায়ও উঠেছিল এই প্রসঙ্গ। কোহলির এক প্রশ্নের জবাবে ভিভ বলেছেন, হেলমেট ছাড়াই পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নামা নিয়ে খুব বেশি ভাবতেন না তিনি।
আধুনিক যুগে যেখানে ব্যাটসম্যানরা হেলমেট ছাড়া ফাস্ট বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না, সেখানে ভিভ প্রায় সময় ক্যাপ পরেই নামতেন ক্রিজে। এভাবেই তিনি সামলেছেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের দুর্ধর্ষ সব ফাস্ট বোলারদের। লিলি-থমসন-উইলিসদের তুলধুনোও করেছেন হরহামেশাই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকা ভারতের অধিনায়ক কোহলির সাথে বিশেষ এক আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন ভিভ। সেখানে কোহলি জানতে চান, কীভাবে হেলমেট ছাড়া ফাস্ট বোলারদের মুখোমুখি হতেন তিনি, ‘যখনই আমি আপনার ব্যাটিংয়ের ভিডিও দেখি, তখন দেখি হেলমেট ছাড়াই ক্রিজে নামছেন। কেনো আপনি এমনটা করতেন? আমি জানি পিচগুলো এখনকার মতো ছিল না। তখন তো বাউন্সার নিয়ে খুব বেশি কঠোর নিয়মও ছিল না। মাঠে নামার সময় অনুভূতিটা কেমন ছিল?’
ভিভ এই প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, হেলমেট না পরে ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসটা তাঁর ছিল, ‘আমার আসলে আত্মবিশ্বাসটা বেশিই ছিল! ‘আই অ্যাম দ্যা ম্যান’, এমনটাই ভাবতাম। এটা শুনতে কিছুটা অহংকারের মতো লাগতে পারে। তবে আমি বরাবরই নিজের খেলার ওপর ভরসা রেখেছি, আঘাত পেলেও। আমি হেলমেট পরার চেষ্টা করেছি অনেকবার। কিন্তু এটায় খুব একটা স্বস্তিবোধ করতাম না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেরুন ক্যাপ পরতেই বেশি পছন্দ করতাম। আমি বিশ্বাস করতাম যদি আঘাত লেগেই যায়, ঈশ্বরের কৃপায় আমার কিছু হবে না!’
ভিভের এমন জবাবে কোহলি বলছেন, বোলার তাকে আঘাত করার আগে তিনিই তাঁর ওপর চড়াও হবেন, ‘আমি আসলে নিজেই শুরুতে আক্রমণাত্মক হতে চাই। এটা ভাবতে চাইনা যে কখন সে আমাকে আঘাত করবে!’
কোহলিকে এরপর ভিভ বলেছেন, আঘাত পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোটাই ভালো ব্যাটসম্যানের লক্ষণ, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে তুমি আঘাত পাবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে সেই আঘাত থেকে ঘুরে দাঁড়ানো। আমাদের যুগে তো এত গার্ড ছিল না। যখন আমাদের গায়ে বল লাগত তখন ঘুরে দাঁড়াতাম একটু পরেই। এটা খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ।’