রাহানে-কোহলিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে
স্কোর
তৃতীয় দিনশেষে
ভারত ২৯৭ ও ৭২ ওভারে ১৮৫/৩ ( রাহানে ৫৩*, কোহলি ৫১*; চেজ ২/৬৯)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২২
ভারত ২৬০ রানে এগিয়ে
অ্যান্টিগায় প্রথম দুই দিনে ছিল বোলারদের দাপট। তৃতীয় দিনে ভারতের ব্যাটসম্যানই ছড়ি ঘুরিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের ওপর। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল অজিংকা রাহানে। বিরাট কোহলিকে সাথে নিয়ে তাঁর শতরানের জুটিই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে এনে দিয়েছে। তৃতীয় দিনশেষে সাত উইকেট হাতে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ২৬০ রানে এগিয়ে আছেন কোহলিরা।
দ্বিতীয় দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে ছিল দুই উইকেট। দলের লেজকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে গেছেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তাঁর ৩৯ রানের ইনিংসেই প্রথম ইনিংসে ১০০ রানের লিড পায়নি ভারত। হোল্ডার যখন মোহাম্মদ শামির বলে রিশাভ পান্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, ভারতের পুঁজি নেমে এসেছে ৭৫ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শেষভাগে হয়েছে একটি বিশ্বরেকর্ডও। পেসার মিগুয়েল কামিন্স ক্রিজে ছিলেন ৯৫ মিনিট, খেলেছেন ৪৫ বল। কিন্তু আউট হয়েছেন কোনো রান না করেই। টেস্ট ইতিহাসে তাঁর চেয়ে বেশি সময় ক্রিজে থেকে কোন রান না করার ঘটনা ঘটেছে একবারই। ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের জিওফ অ্যালট দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০১ মিনিট ক্রিজে থেকেও শূন্য রানে ফিরেছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ফিরেছেন দ্রুতই। ১৬ রান করে রস্টন চেজের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর লোকেশ রাহুল ও চেতেশ্বর পূজারা লিডটাকে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই।
৩০ ওভারের মাথায় ৯ বলের ব্যবধানে রাহুল-পূজারা দুইজনই ফিরলে বেশ চাপে পড়ে ভারত। ৩৮ রান করা রাহুলকে বোল্ড করেন চেজ। পরের ওভারেই পূজারাকে একইভাবে ফেরান কিমার রোচ। দিনের পরের সময়টায় আর উইকেট হারায়নি ভারত।
প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা রাহানে কালও দাঁড়িয়ে গেছেন। কোহলিও প্রথম ইনিংসের হতাশা পেছনে ফেলেন পেয়েছেন ফিফটি। ফিফটি করয়েছেন রাহানেও। চতুর্থ উইকেটে দুইজন যোগ করেছেন ১০৪ রান। ভাগ্যও অবশ্য রাহানের সাথে ছিল। রোচের বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন এলবিডব্লিউয়ের হাত থেকে। রাহানের ক্যাচ ফেলেছেন জন ক্যাম্পবেল। চতুর্থ দিনে ভারতকে বড় লিড এনে দিতেই আজ ক্রিজে নামবেন রাহানে-কোহলি জুটি।