সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজনের ভাবনা ভারতের
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। অবশ্য এজন্য একই সময়ে এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন বাতিলের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাদের। আইসিসি এখনও এই ইভেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত কিছু জানায়নি, তবে সোমবারই আসতে পারে সে সিদ্ধান্ত।
এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ১৩তম আসর। কভিড-১৯ মহামারির কারণে শুরুতে একটা নির্দিষ্ট সময়, এবং পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এটি। সঙ্গে ভারতের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সফরও স্থগিত আছে।
শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মিটিংয়ে আইপিএলের সম্ভাব্য তারিখ, ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি, আন্তর্জাতিক সফর নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পিটিআই। এরই মাঝে ভারতের শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সফর এবং দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ স্থগিত করা হয়েছে।
“অবশ্যই আপিএলের ক্ষেত্রে সব অপশনই ভেবে দেখতে হবে। প্রথমত ভারতের কথাই ভাবা হবে, তবে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে সেটা তো নিশ্চিত নয়। অবশ্যই আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কা অপশন হিসেবে আছে, তবে সেসব ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যাবে, আমার ধারণা আমাদের প্রেসিডেন্টও সম্প্রতি এমনই বলেছেন”, পিটিআইকে এমন জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
আইপিএল আয়োজনের জন্য বিসিসিআইকে এরই মাঝে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ড। এর আগে আইপিএল ভারতের বাইরে হওয়ার রেকর্ডও আছে, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ২০০৯ সালের পুরো আসর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০১৪ সালের প্রথম অংশ হয়েছিল আরব আমিরাতে।
“আমার মনে হয় না ভেন্যু ঠিক করার মতো অবস্থায় এখনও এসেছি আমরা। তবে পরিকল্পনা এবং আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত পরের সপ্তাহ দিলে (আইপিএল) আয়োজনের জন্য উইন্ডো খোঁজার কাজের দিকে এগিয়ে যেতে পারি আমরা”, বলেছেন সেই কর্মকর্তা।
আইপিএলের সঙ্গে এই মিটিংয়ে আলোচনার আরেকটি বড় বিষয় ট্যাক্স-সংক্রান্ত ঝামেলা। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতিপত্র না পাওয়ায় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আইসিসি, আপাতত সে সমস্যা সমাধানে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিসিসিআইকে সময় দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
আর আন্তর্জাতিক সিরিজের ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের বদলে ফেব্রুয়ারিতে টেস্ট সিরিজের পর ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে পাঁচ টেস্টের সংখ্যা কমিয়ে এনে সীমিত ওভারের ম্যাচ যুক্ত করা হতে পারে। জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি পুনরায় নির্ধারণের ব্যাপারও আছে তাদের সামনে।