• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    তামিমের কাছে খোলা চিঠি

    তামিমের কাছে খোলা চিঠি    

    খেলোয়াড়দের জীবনটা বোধহয় এমনই। যতদিন ভালো খেলেন ততদিন কাঁধে-মাথায় তোলার মতো সমর্থকের অভাব হয় না। যখনই ছন্দপতন হবে, ভক্তদের ভালোবাসার সুরও কেটে যেতে শুরু করবে। তারপরও অনেক অনুরাগী প্রিয় তারকার দুর্দিনে পাশে থাকেন, তাঁর হয়ে সমালোচকদের সাথে লড়েন। তামিম ইকবালের দুঃসময়ে তাঁর উদ্দেশ্যে এই খোলা চিঠি লিখেছেন শেখ মিনহাজ হোসেন

     

    প্রিয় তামিম ইকবাল,

     

    ক্রিকেট নিয়ে আমার ব্যক্তিগত একটা সমস্যা আছে। কারও খেলা প্রথম দেখে ভালো লেগে গেলে তাকে অপছন্দ করাটা খুব কঠিন হয়ে যায় আমার জন্য। জিম্বাবুয়ের সাথে সেই ২০০১ এ মাশরাফিকে যেদিন প্রথম মিডল স্টাম্প উড়িয়ে ফেলতে দেখেছিলাম তখন থেকেই মাশরাফি মনের গহীনে জায়গা করে নিয়েছে। খারাপ ফর্মে থাকলেও অলক কাপালীর স্ট্রোক দেখে প্রথম যেই মুগ্ধ হয়েছিলাম, সেই মুগ্ধতা ছাড়াতে পারিনি কখনোই। এমনকি আপনারই বড় ভাই নাফিস ইকবালকে ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের সাথে সেঞ্চুরির পরে পছন্দ করে ফেলেছিলাম। হঠাৎ হঠাৎ যখন লীগে তার ভালো খেলার খবর পাই, মনে হয় ইস, নাফিস যদি দলে ফিরতো। আপনার মায়ের “দুই ভাইয়ের একসাথে ওপেন করবার” স্বপ্ন যদি সত্যি হতো! বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা, এটা আমারও একটা সুপ্ত স্বপ্ন! যাই হোক, আপনার কথায় আসি!

     

     

    সেই ২০০৫ সালের কথা। হঠাৎ করে একদিন খবরে দেখলাম তামিম ইকবাল নামের একটা ছেলে ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব ১৯ দলের সাথে ৭১ বলে ১১২ রান করেছে! বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড় সেই সময়ে ১৬০ স্ট্রাইক রেটে খেলেছে; ব্যাপারটাই কেমন রোমাঞ্চকর ছিল আমার কাছে।

     

    পরে একদিন লীগের খেলা দেখতে গিয়ে মাঠে বসে প্রথম আপনাকে দেখা। ওই বয়সে কাট-পুল খেলার যে সাহস তা তো অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের মধ্যেও বিরল। তার উপর ডাউন দ্য উইকেটে এসে পেসারকে স্পিনার জ্ঞান করে এগিয়ে আসার মতো ভয়াবহ কান্ড!

     

     

    আমি কী সেদিন সত্যিই কোন বাংলাদেশির খেলা দেখেছিলাম! খুব বেশি রান করতে পারেননি সেদিন। ২০-৩০ এর মধ্যেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে এর মধ্যেই আমি বুঝলাম দেশ এক হীরক খণ্ডের সন্ধান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে আপনাকে প্রথম দেখি ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই বিখ্যাত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দিন! অফ সাইডে একটা বলও ছাড়েননি আপনি। কাট, ড্রাইভ করে জহির খান, মুনাফ প্যাটেলদের সীমানায় পাঠিয়েছেন। তারপর তো জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়ে যাওয়া সেই ছক্কা! বাংলাদেশের সেই স্মরণীয় জয়।

     

     

    তবে দুর্বলতা আপনার ছিল। লেগ সাইডে ভালো খেলতেন না আপনি। পত্রিকায় পড়েছি, এ নিয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন আপনি। ব্যাটিং কোচ মোঃ সালাউদ্দিনকে নিয়ে সারাদিন খেটেছেন। তাকে দিয়ে ননস্টপ আপনার পায়ে বল করাতেন, আর আপনি পুল, ফ্লিক করা শিখতেন! মাঠে শট দেখে আমরা তো কতোই মুগ্ধ হই! কিন্তু তার পিছনে যে কতো পরিশ্রম তা তো আমরা দেখি না। জেমি সিডন্সের তত্ত্বাবধানে আপনি হয়ে উঠলেন পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান।

     

     

    ২০০৭ এর শেষেই নিউজিল্যান্ড সিরিজের কথাই কিভাবে ভুলি বলেন। অভিষেক টেস্টেই ষাটের ঘরে স্ট্রাইক রেট রেখে দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি! স্ট্রোক প্লের নমুনা দেখলো কিউই বোলাররা। জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ আসলো; আমাদের মান-সম্মানের সিরিজ! কভেন্ট্রি লজ্জা দিলেন ১৯৪ করে। আমরা টার্গেট পেলাম ৩১২। হারলে তো সিরিজ শংকায়! আপনি থাকলেন। আপনার ১৫৪ রানে লজ্জা দূর হলো!

     

     

    সময় যত গিয়েছে আপনি ততই এগিয়ে গেছেন। কোন টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন ইতিহাসেই মাত্র ৪ জন! এদের মধ্যে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানও আছেন। ইংল্যান্ডের সাথে আপনিই তো এর সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন। সোয়ানকে কাঁদিয়ে ৭১ বলে ৮৫ রান করে আউট যখন হলেন তখন সারা বাংলাদেশই আপনার সেঞ্চুরি না পাবার আক্ষেপ করেছে। কিন্তু এখানেও কিন্তু আপনি আপনার খেলাটাই খেলেছিলেন। স্ট্রোক প্লেতে মুগ্ধ করেছিলেন সবাইকে।

     

     

    বাংলাদেশ ইংল্যান্ডে গেলো। বয়কট বললেন, “এই সিরিজের কোন যৌক্তিকতা নেই। বাংলাদেশ টেস্ট খেলার যোগ্যতা রাখে না”। আপনি শুনলেন শুধু। ঔদ্ধত্যের জবাবটা এলো মাঠে। লর্ডস আর ম্যানচেস্টার দেখলো আপনার সেঞ্চুরি! আপনার ধরনেই কিন্তু সেঞ্চুরিগুলো! ১০০ বলে ১০৩, ১১৪ বলে ১০৮! জবাব আপনি দিয়েছেন সবসময়ই।

     

     

    ২০১২ সালে বাংলাদেশের সেই স্মরণীয় এশিয়া কাপের আগে আপনাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো। দলে ফিরলেন নানা বিতর্কের পর। কিন্তু সমালোচনা আর বিতর্ক শুনলেই যে আপনি জেগে উঠেন! শাপে বর হলো আমাদের। টানা চারটি অর্ধশতক করে আপনার সেই গুণতি প্রদর্শন দর্শকদের মনে গেঁথে গেছে আজীবনের জন্য! সেই এশিয়া কাপেই আপনি দেখালেন লেগ সাইডে আপনার ফ্লিকগুলো কতো ভালো হয়েছে। বাঁহাতি ফ্লিকের আদর্শ গ্রায়েম স্মিথ অথবা সাঈদ আনোয়ারের চেয়ে কোন অংশেই আপনি কম নন! এতো উন্নতি কিভাবে করেছেন বলুন তো? পরিশ্রম করেই তো, তাই না?

     

     

    চুম্বক চুম্বক করে অনেক পুরনো কথা টানলাম। অনেকেই আপনার কীর্তিগুলো ভুলে যায়, একটু মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা আর কী! কিন্তু এতো পুরনো কথা টেনে কি হবে বলেন? আমরা তো বর্তমানে বাস করি। তা আপনার বর্তমানটাই দেখি বরং।

     

     

    গত এক বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যে ম্যাচে ৭০ রানে অল আউট হলাম তাতে আপনার রান ৩৭! তৃতীয় ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি। সিরিজে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান কিন্তু আপনারই ছিল। জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজেও ছিলেন দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী! গত এক বছরে আপনার ওয়ানডে গড় কিন্তু ত্রিশের উপরেই। রিয়াদ, মুশফিক, সাকিব ছাড়া আর কারোই এমন নেই।

     

     

    অবশ্য ব্যাপারটা তো আপনার সামর্থ্যের কাছে আমাদের ন্যূনতম পাওনা! আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশাটা যে আরও অনেক অনেক বেশি! বুকে হাত দিয়ে কোন বাংলাদেশি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবে, যে ওইদিন স্কটল্যান্ডের সাথে ৩১৮ রানের এতো বড় টার্গেটে টপ অর্ডারে কেউ দাঁড়িয়ে না গেলে বাংলাদেশ জিততোই? কেউই পারবে না। জিম্বাবুয়ের সাথে ৩১২ যেভাবে তাড়া করে আপনি জিতিয়েছিলেন এখানেও ৩১৮ তাড়া করবার মূল কুশীলব আপনিই!

     

     

    এবার সমালোচনা করি। দেশের আইডল হবার পরও আপনার ব্যবহার নিয়ে মাঝে মাঝেই শিরোনাম হয়েছেন। কোন একদিন অনুশীলন শেষে ফেরার পথে জনৈক দর্শকের সাথে আপনার অশোভন আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এই সেদিন স্কটল্যান্ডের সাথে আশির ঘরে থাকাকালীন সময়ে দ্বাদ্বশ ব্যক্তি আপনার জন্য যে পানীয়টি এনেছিলো, সেটি বোধহয় আপনার পছন্দ হয়নি। আপনি অনেকটা অবজ্ঞা ভরে ছুঁড়ে মারলেন। সতীর্থরা, দর্শকরা যেন কষ্ট না পান সেদিকটায় কি আরও একটু মনোযোগী হওয়া উচিৎ নয়?

     

     

    এবার বলি নিয়মিত রান করার পরও কেন আপনার উপর সবার এতো ক্ষোভ! আপনি লক্ষ্য করেছেন কি না জানিনা, আপনি তখনই আলো ছড়িয়েছেন যখন আপনার দিকে সমালোচনার তীর এসেছে আর আপনি আপনার মতো করে খেলেছেন! হ্যাঁ, আপনার মতো করে খেলাটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ!

     

     

    ২০০৭ এর বিশ্বকাপের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত পেস কোয়ার্টেটের একজন কলিন ক্রফট বলেছিলেন, 'ডোন্ট কিল হিম'। আমাদের বড় দুর্ভাগ্য আমরা আপনাকে সে পথেই ঠেলছি! আপনি আক্রমাত্মক ঘরানার ব্যাটসম্যানদের দলে। স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছোটানোই যাদের কাজ। কোনদিন কাজে দেবে, কোনদিন দেবে না। কিন্তু আপনাদের থামা চলবে না। ওটাই যে আপনাদের স্বাভাবিক খেলা!

     

     

    উদাহরণ দেই। সনাৎ জয়াসুরিয়া তখন সাত-আট নম্বরে ব্যাট করতেন। ব্যাটসম্যানের চেয়ে লেফট আর্ম বোলার পরিচয়টাই মুখ্য। ১৯৯৫ সালে জয়াসুরিয়াকে ডেকে রানাতুঙ্গা বললেন, “তুমি এখন থেকে ওপেনে নামবে। তোমার মতো মেরে খেলবে। টানা দশ ম্যাচে শূণ্য করে আউট হলেও সমস্যা নেই!” চিন্তা করে দেখুন তো একজন খেলোয়ার যখন এমন ‘ফ্রি লাইসেন্স’ পান তখন তার আত্মবিশ্বাস কিভাবে বেড়ে যায়! এরপর তো জয়া-কালু জুটি ওয়ানডে ক্রিকেটটাই পাল্টে দিলো।

     

     

    আরও বলি। ক্যারিয়ারের শুরুতে শেবাগ ৫-৬ এমন পজিশনে ব্যাট করতেন। গাঙ্গুলী তাকে একবার ওপেনিংয়ে নামিয়ে দিলেন। আর নেমেই সেঞ্চুরি! সেই শেবাগ এখন ভারতের সর্বকালের সেরা দুই ওপেনারের একজন। কী টেস্ট, কী ওয়ানডে শেবাগ কখনো খেলা পরিবর্তন করেন নি।

     

     

    মানতে দ্বিধা নেই, শেবাগ নির্ভয়ে খেলতে পারতেন কারণ পরের দিকে শচীন, দ্রাবিড়রা ছিলেন। কিন্তু আপনারও তো মুশফিক, সাকিব, রিয়াদরা আছেন। দলকে বলুন ওদের উপর একটু ভরসা করতে। আপনার ন্যাচারাল খেলাটাকে খোলসে বাঁধতে গিয়ে যে আপনি সবদিক দিয়েই আমাদের বঞ্চিত করছেন!

     

     

    দলের কড়া নির্দেশ শুরুতে ধরে খেলো। উইকেট ধরে রাখতে পারলে পরে মারা যাবে। কিন্তু আপনি যে সেই ঘরানার নন, সেটা একটু টিম ম্যানেজম্যান্টকে বোঝান। আমার কাছে আপনি তো জয়াসুরিয়া-শেবাগ-গেইল ঘরানার। যাদের ঠেকাতে বললেই বরং ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা বেশি!

     

     

    মারবেন নাকি ঠেকাবেন, এই দোটানায় থেকে যে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা একটু নিজে বোঝেন, সবাইকে বোঝান। সম্ভব হলে, এই চিঠির এই অংশটুকু মাশরাফিকে পড়িয়ে দেখাতে পারেন। উনি যেন আপনাকে ঠিক রানাতুঙ্গার মতো লাইসেন্স দেন সে ব্যাপারে তাকে একটু অনুরোধ করি!

     

     

    আপনার প্রতি ভালবাসা দিয়ে চিঠিটা শুরু করেছিলাম। ভালবাসার আরেক উপাখ্যান বলি। কোন সন্দেহ ছাড়াই আপনি দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন। গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচের স্বীকৃতিটাও আপনারই ছিল।

     

     

    সেই আপনি যখন ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচে মোক্ষম সময়ে ক্যাচ ফেলে দিলেন তখন অন্য সবার মতো আমিও খুব হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু আপনার জন্য অজানা আশংকায় মন কেঁপে উঠেছিলো। প্রচণ্ড ভয় হয়েছিলো! প্রিয় খেলোয়ারের সামান্যতম দুর্দশার শংকা আমাকে ভীত করে তুলেছিলো।

     

     

    এবার শেষ করা যাক। নিন্দুকেরা বলে ‘চাচার জোরে’ আপনি টানা খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন বলে মাঝে মাঝে ভালো খেলে ফেলেন। অন্যরা এতো সুযোগ পেলে নাকি তারাও এমন করতো। পরিসংখ্যান ভিন্ন কথা বললেও তারা মানতে চায় না! কিন্তু আপনার সামর্থ্যের উপর আস্থা থেকে জানি যে, আপনি অবশ্যই অন্যদের চেয়ে আলাদা! ওপেনিংয়ে বাংলাদেশে তামিম ইকবালের ধারে-কাছে নাসের হুসেইন নামের ভদ্রলোকটি নাকি শুধু নাফিস ইকবালকেই দেখেছেন! ইংল্যান্ডের সাথেই যে সেঞ্চুরিটা করেছিলেন নাফিস!

     

     

    আমি বলি ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সামর্থ্যের ধারে কাছে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউই আসেনি! সমস্যা হচ্ছে, আমি যে তামিমকে চিনি আপনি সেই তামিম হিসেবে খেলছেন না। দয়া করে আপনি আপনার খেলাটা আবার খেলুন। জহির খানের পেস বলে ১৮ বছর বয়সী যে ছেলে ডাউন দ্যা উইকেটে ছয় মারে আর কমেন্ট্রি বক্স থেকে ইয়ান বিশপের মতো কিংবদন্তী বলে ওঠেন, “ওহ হো হো...লুক অ্যাট দ্যাট!”, আমি সেই তামিম ইকবালকে চাই! শেষ কবে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে খেলেছেন, মনে আছে আপনার? আমার নেই।

     

     

    আমরা এখন কোয়ার্টার ফাইনালে। বিশ্বকে দেখিয়ে দেবার জন্য এর চেয়ে বড় সুযোগ আবার কবে আসবে জানিনা। আমি তো দূরের স্বপ্ন দেখি। শুরুটা যে সেই তামিমের মতো হওয়া চাই! ভালবাসার মর্যাদাটুকু রাখবেন, প্লিজ!

     

    বিনীত,

    আপনার এক গুণমুগ্ধ ভক্ত