যাদের জন্য সময় থেমেছিল - পর্ব ৪: মঙ্গোলিয়ার বেদুইনরা
পোস্টটি ১৮২৮ বার পঠিত হয়েছে১৯৯২ সালের ৯ আগস্ট, স্পেনের ঘড়ির কাঁটাটা তখন রাত দশটা ছুঁই ছুঁই করছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ভিআইপি রুমে অপেক্ষা করছেন স্পেনের রাজা হুয়ান কার্লোস, রাণী সোফিয়া, প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ গঞ্জালেস আর ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান আন্তনিও সামারাঞ্চ। অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানের অতিথি তাঁরা ক'জন।
যার জন্য অপেক্ষা তিনি দৌড়াতে দৌড়াতে আসছেন! কিন্তু ঐ ভদ্রলোকের জন্য আটকে আছে অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠান। কি এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাপু তিনি? একটা সময় অপেক্ষমান রাজা মহাবিরক্ত হয়ে অনুমতি দিলেন ঐ মানুষটাকে বাদ দিয়েই অনুষ্ঠান শুরুর। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবশেষে শুরু হল সমাপনী পর্ব।
সেবার প্রথমবারের মত স্পেনে আয়োজিত হয়েছিল অলিম্পিক। কাতালুনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় বসেছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ২৫তম আসর। ২৫ জুলাই শুরু হওয়া গেমস চলেছে টানা ১৬ দিন। শেষ দিনের সর্বশেষ ইভেন্ট পুরুষ ম্যারাথন। বিকেল সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন ৭২ দেশের ১১২ জন অ্যাথলেট। ম্যারাথন শেষেই শুরু হবে সমাপনী অনুষ্ঠান।
যেই ভদ্রলোকের কথা বলছিলাম, তিনি ঐ ১১২ জনেরই একজন। সেই ম্যারাথন দৌড়বিদের নাম পিয়ামবুজিন তুল, দেশ মঙ্গোলিয়া। ১৯৫৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া তুলের দেশে নামের প্রথম অংশটা হয় বংশের পরিচয় বহন করে আর শেষ অংশটা বাবা-মার দেওয়া। মঙ্গোলিয়াতে নামের শেষ অংশ ধরেই ডাকা হয় সবাইকে।
জীবনের ঊনিশ বসন্ত পেরিয়ে কেবল যখন বিশে পা দেবেন, দুর্ঘটনায় হারালেন এক চোখের দৃষ্টিশক্তি। মনোবলটা অটুট থাকলেও ক্রীড়াবিদ হবার স্বপ্নটা আঘাত পেলো নির্মমভাবে। চেয়েছিলেন অলিম্পিকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, কিন্তু এখন তো তা হবার নয়।
অবাক কান্ড! ১৩ বছর পর আশ্চর্যজনকভাবে ঐ চোখটা দিয়েই আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পেলেন, তখন নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, অলিম্পিক ম্যারাথনে দৌড়াবেন। কিন্তু বার্সেলোনা অলিম্পিকের মাত্র বাকি ১২ মাস। নেই কোনো আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা। দেশের বাইরেও যাননি কখনো। হাল ছাড়লেন না, শুরু করলেন পুরোদমে অনুশীলন। ওয়াইল্ড কার্ড কোটায় পেয়েও গেলেন অলিম্পিকের টিকেট। সেবার দেশের অলিম্পিক টিমের একমাত্র ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড প্রতিযোগী হিসেবে পৌঁছালেন বার্সেলোনায়।
৯ আগস্টের বিকেলটা তুলের জন্য শুরু হয়েছিল বাজেভাবে। রেসের শুরুতেই খেলেন হোঁচট, পড়ে গিয়ে ভাঙলেন চশমা। দৃষ্টি ফিরে পেলেও তখনো পরিষ্কারভাবে চোখে দেখতে পান না, লাগে চশমার সাহায্য। সেই চশমাটা ভাঙ্গলেও নিজে ভেঙ্গে পড়লেন না; যে করেই হোক, পূরণ করতে হবে অলিম্পিক স্বপ্ন। পাশে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবকের কাছ থেকে টেপ নিয়ে কোনমতে জোড়াতালি মেরে আবার চোখে ঝুলালেন চশমাটা। তারপর ঝাপসা চোখে আবার শুরু করলেন দৌড়, প্রার্থনা করলেন আর যেন কোনো ভুল না হয়।
দু'ঘণ্টা পরে অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দৃশ্য। ১৯৩৬ বার্লিন অলিম্পিকে স্বর্ণবিজয়ী সন কি-চুং এর পর প্রথম কোরিয়ান হিসেবে হোয়াং ইয়ং চো যখন ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করলেন তখন সময়টা দেখাচ্ছে ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। এর ৪৭ সেকেন্ডের মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেলো পদক নিতে আর কে উঠবেন চো এর সাথে। জাপানের কইচি মরিশিতা আর জার্মানির স্তেফান ফ্রেইগ্যাং জিতলেন রূপা আর ব্রোঞ্জ।
[যদি অলিম্পিকটা সেবার অন্য কোথাও হত, চো হয়ত ভেঙ্গে ফেলতে পারতেন পর্তুগালের কার্লোস লোপেজের করা ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৯ সেকেন্ডের অলিম্পিক রেকর্ডটা। পারতেন বলছি কারণ, স্থপতির অদ্ভুত খেয়ালে বার্সেলোনার এস্তাদিও দে মন্তজুইক – অলিম্পিক ভেন্যুকে নির্মাণ করা হয়েছিল শহর পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত মন্তজুইক পাহাড়ের চূড়ায়। তাই সেবার প্রচণ্ড গরমে কাহিল হয়ে পড়া অ্যাথলেটদের শেষ ৩ মাইল পাহাড়ি পথ অতিক্রম করেই রেস শেষ করতে হয়। তা না হলে হয়ত টাইমিংটা আরও ভালো হতে পারত সবার]
ওদিকে পদক নির্ধারিত হবার পরপরই বিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরার ফোকাসটা উল্লাসে মত্ত বিজয়ীদের থেকে সরে গিয়েছিল একদম পেছনে থাকা তুলের দিকে, যিনি কেবলমাত্র অর্ধেক পথ শেষ করেছেন এতক্ষণে। ঝাপসা চোখে দৌড়ানো তুল বারবার হোঁচট খাচ্ছেন, ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। পূর্বে কখনো এত বড় প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়ার স্নায়ুচাপ আর পিচগলা গরমের ক্লান্তি তো আছেই। কিন্তু তিনি থামছেন না।
পদক নির্ধারণের পরের রেসটুকু কেবল নিয়মরক্ষার খেলা। কিন্তু সেই সৌজন্যতা প্রদর্শনের আগেই ক্লান্তি আর গরমের কাছে হার মানলেন ২৫ জন। অলিম্পিক ম্যারাথনের ইতিহাসে এক আসরে এর চেয়ে বেশি DNF (ডিড নট ফিনিশ) দেখেনি পৃথিবী। রেস শেষ করলেন ১১২ জনের মধ্যে মাত্র ৮৭ জন।
সেই ২৫ জনে অবশ্য নাম নেই পিয়ামবুজিন তুলের। ৩৩ বছরের মানুষটা তখনো টলতে টলতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দিকে এগোচ্ছেন প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য, অলিম্পিক আদর্শ তুলে ধরার জন্য। তাঁর ঠিক আগের অবস্থানে থাকা মালদ্বীপের হুসেইন হালিম ৩ ঘণ্টা ৪ মিনিটে সম্পন করেছেন রেস।
রাজার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলেও ভাঙ্গেননি তুল। সংকল্প আর সহনশীলতার মিশেলে দৌড়ে গেলেন জয়ের আবীরে রাঙানো মিথ্যে পরাজয়ের দিকে। শেষ পর্যন্ত অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দৌড় শেষ করার সৌভাগ্য হয়নি চেঙ্গিস খানের উত্তরসূরীর। ছয়টি পুলিশ বাইক ও একটা অ্যাম্বুলেন্সের উপস্থিতিতে তুলকে বাধ্য করা হয় পাশের ওয়ার্ম আপ ট্র্যাকে রেস শেষ করতে। মর্যাদাহীন আর দর্শকশূন্য অবস্থায় তাঁর রেস শেষ হয় ৪ ঘণ্টা ৪৪ সেকেন্ড সময়ে। চার ঘণ্টা ধরে চলা অন্তর্বেদনার পর গৌরবের মুহূর্তে প্রতারিত হলেও ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল।
সামনে উপস্থিত দুই সাংবাদিককে থাম্বস আপ সাইন দেখিয়ে বলেছিলেন, "I am just a runner. As the last runner in the Olympics I am very much satisfied." কথাটা বলা শেষ করা মাত্রই জ্ঞান হারান এবং এরপর দ্রুত তাকে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধারাবিবরণীতে তখন বিবিসির বিখ্যাত ব্রিটিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান, তাঁর সে মুহূর্তের পৌরষদীপ্ত কণ্ঠস্বরটাকে বঙ্গানুবাদ করলে যা দাঁড়ায়, “তুল শেষ পর্যন্ত পারেননি, মন্তজুইক পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করতে, কিন্তু তাঁর শেষ অবস্থানটা তারও অনেক উপরে - অলিম্পিক আদর্শের চুম্বক চূড়ায়। তিনি আজ থেকে থাকুন কেবল অলিম্পিকের স্বপ্নচারী তুল হয়েই”
পরবর্তীতে 'অলিম্পিক ড্রিমার তুল' হিসেবেই সবাই তাকে ডাকা শুরু করে।
বার্সেলোনায় পিয়ামবুজিন তুল
*********
১২ বছর পরের গল্প। ১০৮ বছর তীর্থভূমি এথেন্সে ফিরেছে অলিম্পিক। এই গল্পটা তুলের দেশেরই এক নারীকে নিয়ে। নামটা বড্ড খটমটে - লুভসানখুনদেজিন ওতগোনবায়ার।
২৮ তম আসরের দশম দিন বিকেল ৬টায় শুরু হয়েছে মহিলাদের ম্যারাথন। কিন্তু সেদিন যেন ম্যারাথন শহরে নেমে এসেছেন খোদ জিউস। তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট, সাথে ৩০% আর্দ্রতা। এমন গরমে আর কখনো হয়নি অলিম্পিক ম্যারাথন।
তার উপর উচ্চতার কারণে অ্যাথলেটরা পড়েছেন সমস্যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪৮ ফুট উচ্চতায় শুরু হলেও দূরত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উচ্চতা। ২০ মাইলের দিকে গিয়ে যা দাঁড়িয়েছে ৭৭১ ফুটে। মাঝ পর্যায়ে মাইল প্রতি প্রায় ৫ তলা সমান উচ্চতা উঠতে হচ্ছে অ্যাথলেটদের। আর শেষের ৬ মাইলটা আবার নিম্নগামী, যেখানে মাইল প্রতি প্রায় ৮ তলা সমান উচ্চতা নামতে হবে ঢালু পথ ধরে।
কিন্তু তাতে তো থেমে থাকেনি ম্যারাথন। জাপানের মিজুকি নগুচি প্রথম থেকেই আছেন সামনের সারিতে, একেবারে শেষ সময়ে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন কেনিয়ার ক্যাথেরিন দেরেবা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হারলেন ১২ সেকেন্ডের ব্যবধানে। ২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট ২০ সেকেন্ডে রেস শেষ করে নগুচি স্বর্ণটা রেখে দিলেন জাপানেই। মহিলা অলিম্পিক ম্যারাথনের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দু'বার একই দেশ জিতল স্বর্ণ।
গরম আর উচ্চতার কারণে ম্যারাথন রেসটা এতটাই কঠিন হয়ে পড়েছে যে, ৮২ জনের মধ্যে মাত্র ৬৬ জন রেস সম্পন্ন করেন, দুজনকে স্ট্রেচারে শুয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। এমনকি বিশ্বরেকর্ডধারী ব্রিটিশ পলা রাডক্লিফও গরম আর ক্লান্তির কাছে হার মানেন ৩.৮ মাইল বাকি থাকতে। বাকি থাকা প্রতিযোগীরা একের পর এক রেস শেষ করে বাঁচলেন গরমের হাত থেকে।
কিন্তু হার মানতে নারাজ সুদূর মঙ্গোলিয়া থেকে আসা লুভসানখুনদেজিন ওতগোনবায়ার। রাত যখন প্রায় সাড়ে ৯টা তখন কেবল তিনি আছেন রাস্তায়, বাকি সবারই শেষ। ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগিয়ে যাচ্ছেন সামনের দিকে।
উট এবং মেষপালকদের দেশের ২২ বছরের কন্যা দৌড়ানোর জন্য কঠিন সংগ্রাম করছেন নিজের সাথে। বিবিসির ধারাভাষ্যকাররা তাকে ততক্ষণে ডাকা শুরু করেছেন ‘স্লো মোশন লুভি’ নামে।
অলিম্পিক সবসময়ই উদযাপন করে গতিময়তাকে, অভিবাদন জানায় ভারোত্তলকের শক্তিমত্তাকে, মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে হার মানিয়ে পোলভল্টারের উচ্চতাকে করে প্রশংসা, এমনকি সিনক্রোনাইজড সাঁতারু দলের পায়ের মুদ্রাকেও দেয় অকুণ্ঠ সমর্থন। তাই নগুচির স্বর্ণ জয়ের ঘণ্টা দেড়েক পরে লুভসানখুনদেজিন ওতগোনবায়ার খোঁড়াতে খোঁড়াতে সম্পূর্ণ মার্বেল পাথরে গড়া পৃথিবীর একমাত্র স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে আসলেন, তখন তাঁর প্রায় অদৃশ্য গতিকে দেখে হতচকিত না হওয়াটা ছিল অসম্ভব।
এথেন্স ম্যারাথনের মাঝ পর্যায়ে ওতগোনবায়ার
স্টেডিয়ামে ঢুকেই করলেন বমি, এক মুহূর্ত থমকালেন, তারপর আবার ঋজু ভঙ্গিমায় উঠে দাঁড়ালেন। স্লো-মোশন ফিল্মের মত খুবই আস্তে আস্তে দৌড়ে চলেছেন সেই নারী। এতটাই আস্তে যে, স্টেডিয়ামে থাকা শ'খানেক আর টিভির সামনে বসে থাকা লক্ষ দর্শক বুঝি ভাবছেন, কোনো কারণে পৃথিবীটা বুঝি থেমে গেছে কয়েক মিনিটের জন্য।
এরপরই এথেন্সের দর্শকরা জন্য তাঁর সমর্থনে দেওয়া শুরু করলেন শিস, মুহুর্মুহু তালি আর কানে তালা লাগানো চিৎকারে ‘গো, লুভি, গো’ ধ্বনিতে কাঁপছে প্রথম আধুনিক অলিম্পিকের স্মৃতিবিজড়িত প্যানাথিনাইকো স্টেডিয়াম। একসময়কার মধ্য এশিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি চেঙ্গিস খানের বংশধর তখন এগিয়ে যাচ্ছেন অলিম্পিক আদর্শের সন্ধানে।
এক সন্তানের মা ওতগোনবায়ার ফিনিশিং লাইনটা স্পর্শ করেই শুয়ে পড়লেন উপুড় হয়ে, দুই অলিম্পিক কর্মী দ্রুত এগিয়ে এলেন সাহায্যে। স্ট্রেচার আনতে চাইলে বিনীতভাবে তাদেরকে মানা করলেন মঙ্গোলিয়ান। ধীরে ধীরে নিজে থেকেই উঠে দাঁড়ালেন, দর্শকদের দিকে ঘুরে নত হয়ে জানালেন ধন্যবাদ। এরপর টলতে টলতে অদৃশ্য হলেন টানেলের ভেতরে। এভাবেই শেষ হয় ৩ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে ৬৬তম অবস্থানে থাকা ওতগোনবায়ারের এথেন্স অধ্যায়ের।
টাইমস পত্রিকাকে যখন নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন, ছিলেন দর্শকদের প্রশংসা বৃষ্টিতে অভিভূত - "The sound of all the clapping from the fans pushed me forward, and I felt like I was running very fast. Even if I finished last, it was all right, because I still finished and many people, even famous people, didn't do that."
বিবিসি তাকে স্বীকৃতি দেয় এথেন্স অলিম্পিকের আনসাং হিরো হিসেবে।
শেষটা কেমন?
১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিকের পর পুরোদস্তর কূটনীতিক বনে যাওয়া তুল আর কখনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যারাথনে নামেননি। ক্যারিয়ারটা তাই শেষ হয়েছে প্রতিজ্ঞা আর স্বপ্নপূরণের দিনেই।
তবে ওতগোনবায়ার থামেননি এথেন্সে। এখনো প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন দেশকে। ‘স্লো মোশন লুভি’ এশিয়ান গেমসের ২০০৬ আসরে ম্যারাথনে হন ৮ম, আর ২০১০ আসরে ৫০০০ মিটারে অংশ নিয়ে হয়েছিলেন ১২তম।
ওমনোগোভি প্রদেশে জন্ম নেওয়া মঙ্গোলিয়ান ২০০৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৫২তম হলেও ২০১১ আসরে শেষ করেন ৩৯ নম্বরে। ২০১৬ ঝেংঝু ম্যারাথনে ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট নিয়ে তৃতীয় হলেও করেছেন ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং। অংশ নিয়েছেন লন্ডন অলিম্পিকে, আর সব ঠিক থাকলে লুভিকে দেখা যাবে, রিওতেও।
- 0 মন্তব্য