• ক্রিকেট

"হাথুরুর" বিষয়ে অতিপ্রতিক্রিয়া শুধু লজ্জাই বয়ে এনেছে

পোস্টটি ৩৭৫২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

_20180213_082943বাংলাদেশের সাবেক কোচ ছিলেন তিনি। বিতর্কিত ভাবে চাকরি ছেড়ে এখন  শ্রিলঙ্কা দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। "চন্ডিকা হাথুরু সিংহের" এসব ঘটনা নিয়ে অামরা যথেষ্ট অালোচনা সমালোচনা করেছি।

অতঃপর বাংলাদেশের মাটিতে যখন অান্তর্জাতিক  ক্রিকেটের নতুন মৌসুম শুরু হলে তখন অামাদের নিজেদেরকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার কথা। কিন্তু বাঙ্গালী যে অতি অাবেগ প্রবণ জাতি। পরচর্চা একবার শুরু করলে তা বন্ধ করার নামই নেইনা অামরা।

এদিকে অাবার নতুন ক্রিকেট মৌসুমে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রিলঙ্কা। যাদের বর্তমান হেড কোচ বাংলাদেশে সদ্য বিতর্কিত হওয়া হাথুরু সিংহে। ফলে অামাদের গণমাধ্যম গুলো নিজেদের  ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার চেয়ে হাথুরুর সমালোচনায় বেশি সময় ব্যয় করেছে।

ফলাফল কি হল? বাংলাদেশে এত সমালোচনা হাথুরুর ধারে কাছেও ঘেষতে পারলনা। তাই ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরু ধাক্কা সামলে জয় রথ ছোটাল শ্রিলঙ্কা। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে শ্রিলঙ্কার সাফল্যে নেপথ্যে অাছেন সেই "পারফেক্ট প্রফেশনাল ম্যান"। 

অার অামাদের এই অতিপ্রতিক্রিয়ার মোড়কে করে যাওয়া পরচর্চা অামাদের  জন্যই লজ্জা হয়ে ফিরে অাসল। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত শুরু করা বাংলাদেশ সময়ের সাথে সাথে ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হল। ত্রিদেশীয় সিরিজে শিরোপাটাও হাতছাড়া হল। পরে টেস্ট সিরিজটাও হারতে হল।

বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও মনে করেন "হাথুরু হাথুরু করেই ছেলেদের মনযোগ নষ্ট হয়েছে"। 

ছেলেরা কিন্তু হাথুরু কে নিয়ে মোটেও উত্তেজিত ছিলনা। তারা প্রফেশনাল মনোভাব প্রদর্শন করেছে। সামর্থকরা স্বাভাবিক ভাবেই একটু উত্তেজিত ছিল। কিন্তু হাথুরু কে নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রাখতে  দেশীয় গণমাধ্যম গুলো যে ভূমিকা রেখেছে তা নিন্দনীয়। গণমাধ্যমকে এক্ষেত্রে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতে হতো যাতে করে মাঠের ক্রিকেট ভালভাবে শেষ হতে পারে। কিন্তু গণমাধ্যম গুলো  নিজেদের "সস্তা জনপ্রিয়তা " তৈরিতে ব্যস্ত  ছিল। মাঠের ক্রিকেট নিয়ে তারা ছিল অতি অাত্নবিশ্বাসী। 

ফলাফল সরূপ ব্যর্থতা অার লজ্জাই এসেছে।

এখনো কিছুটা সময় বাকি অাছে। ব্যর্থতা ও লজ্জার ষোলকলা পূর্ণকরতে না চাইলে, অাত্নঘাতি বিতর্ক ও পরচর্চা বন্ধ করে নিজেদের ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে হবে।